এডিবির পূর্বাভাস
২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক

বাংলাদেশে আগামী অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি থাকবে। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ ২০২৫’-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ৮ শতাংশে।
গত দুই বছরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। তবে ২০২৬ সালে কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৮ শতাংশে—যা এখনকার তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম।
এডিবির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মূল্যস্ফীতি অনেক নিচে থাকবে। আফগানিস্তান ১ শতাংশ, মালদ্বীপ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ভুটান ৩ দশমিক ৭শতাংশ, ভারত ৪ দশমিক ২ শতাংশ, নেপাল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৬ শতাংশ—সব দেশেই বাংলাদেশের তুলনায় মুল্যস্ফীতি অনেক কম হবে। দক্ষিণ এশিয়ার গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে।
অবশ্য শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের মূল্যস্ফীতি গত বছরের তুলনায় বাড়বে। আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমবে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি। হো ইউন জিয়ং, বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

বাংলাদেশে আগামী অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি থাকবে। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ ২০২৫’-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ৮ শতাংশে।
গত দুই বছরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। তবে ২০২৬ সালে কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৮ শতাংশে—যা এখনকার তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম।
এডিবির প্রতিবেদন বলছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মূল্যস্ফীতি অনেক নিচে থাকবে। আফগানিস্তান ১ শতাংশ, মালদ্বীপ ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ভুটান ৩ দশমিক ৭শতাংশ, ভারত ৪ দশমিক ২ শতাংশ, নেপাল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৬ শতাংশ—সব দেশেই বাংলাদেশের তুলনায় মুল্যস্ফীতি অনেক কম হবে। দক্ষিণ এশিয়ার গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশে।
অবশ্য শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের মূল্যস্ফীতি গত বছরের তুলনায় বাড়বে। আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমবে।
বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি। হো ইউন জিয়ং, বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষ খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
২ দিন আগে
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিচালিত দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারিতে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের তথ্যের মধ্যে ‘ব্যবসা নিবন্ধন তথ্যের’ এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই অসংগতি পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ধরনে প্রায় ১৪ শতাংশ, কার্যক্রমের ধরনে ৮ শতাংশ, মালিকানা তথ্যের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ এবং অগ্নি নিরাপত্তা তথ্যের ক্ষেত্রে
৩ দিন আগে
শুধু জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দিয়ে বাজার তদারকি করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই সমস্যার টেকসই ও কার্যকর সমাধানের জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
৩ দিন আগে
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৫ টাকা।
৩ দিন আগে