leadT1ad

জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৭
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংগৃহীত ছবি

শুধু জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দিয়ে বাজার তদারকি করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই সমস্যার টেকসই ও কার্যকর সমাধানের জন্য একটি রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের যে নৈতিক ক্ষমতা, সাংগঠনিক কাঠামো এবং তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী থাকে, তা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নেই।’

আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভরা মৌসুমেও চালের দাম কেন ঊর্ধ্বমুখী—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চালের দাম শুধু সরবরাহের (সাপ্লাই) ওপর নির্ভর করে না। সরবরাহ ঠিক থাকলেও বিতরণ চ্যানেলগুলো, বিশেষ করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার ওপর এটি অনেকাংশে নির্ভরশীল। আমাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখভাল করছে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের। তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও জিনিসের দাম বাড়ে, কিন্তু তা হয় যথেষ্ট যৌক্তিক কারণে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায়, পর্যাপ্ত চাল বা পণ্য মজুত থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা হঠাৎ একজোট হয়ে বা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়।’

বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এসব সমস্যার সমাধান কেবল প্রশাসনিকভাবে বা আমলাতান্ত্রিক উপায়ে হয় না। এগুলোর সমাধান একটি রাজনৈতিক সরকারই ভালো করতে পারে। কারণ রাজনৈতিক সরকারের একটি নৈতিক ক্ষমতা এবং জোরালো কন্ঠস্বর থাকে। তাদের মাঠপর্যায়ে কর্মী ও নিজস্ব সেট-আপ থাকে, যা দিয়ে তারা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু প্রশাসন থেকে কেবল ডিসি বা ইউএনও পাঠিয়ে বাজার বা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন।’

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে তাদের বিদ্যমান বাজেট ব্যবহার করেই এটি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

ক্যামেরার সংখ্যা ও ব্যবহার প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বডি ক্যামেরা কতগুলো কেনা হবে বা কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা নির্ধারণ করা আমার দায়িত্ব নয়। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তাদের অধীনস্থ পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার বিষয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করে দিতে পারে, কিন্তু সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্যামেরার কারিগরি দিকগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই দেখভাল করবে।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত