
.png)

চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বরে সরকারের বাজেট সংশোধনের ঘোষণা গভীর অর্থনৈতিক সংকট নির্দেশ করে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, রাজস্ব ঘাটতি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এই পদক্ষেপ কি অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা, নাকি আসন্ন নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনৈতিক কৌশল—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। একই সময়ে বেড়েছে ব্যাংক আমানত প্রবৃদ্ধি। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কাল থেকে বন্ধ ইলিশ আহরণ
নৌকায় ইলিশ ধরার পর ভোক্তার হাত পর্যন্ত পৌঁছতে একটি ইলিশ চার থেকে ছয়বার হাতবদল হয়। আর প্রতিবারই ৬০ শতাংশের মতো দাম বেড়ে যায়। অর্থাৎ যদি ৪ বার হাতবদল হয়, তাহলে মাছের দাম বেড়ে যায় ২৪০ শতাংশ পর্যন্ত। আর যদি ৬ বার হয় তাহলে তা বাড়ে ৩৬০ শতাংশ।

এডিবির পূর্বাভাস
বাংলাদেশে আগামী অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি থাকবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ ২০২৫’-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াতে পারে ৮ শতাংশে।

অর্থনীতিবিদ, ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও ট্রেজারি প্রধানদের মতে, আমানত প্রবৃদ্ধি থেমে থাকার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, বিনিয়োগ স্থবিরতা, আয় না বাড়া এবং ডলার পাচার।
দীর্ঘ ২৭ মাসের পর মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে বাংলাদেশে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি ও বাজার সংস্কারের ফলে মাত্র ১১ মাসে এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে। তবে আগের সরকারের দীর্ঘসময়ের ব্যর্থতা ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ এখনো মেটেনি–এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করবে সেই কারণ ও ফলাফল।
দীর্ঘ ২৭ মাস পর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের নিচে নেমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, এটি ২০২৩ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন। তবে পণ্যের দাম এখনো বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এই উন্নয়ন স্বস্তির হলেও আত্মতৃপ্তির কোনো জায়গা নেই।