স্ট্রিম প্রতিবেদক
দেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। একই সময়ে বেড়েছে ব্যাংক আমানত প্রবৃদ্ধি। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। এতে গেল সেপ্টেম্বরে চালসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমার কথা বলা হয়েছে। এ সময়ে বেড়েছে রিজার্ভ ও আমানত। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য ‘সতর্কতামূলক আশাবাদের’ ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
গেল জুন থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল ও উচ্চমাত্রায় রয়েছে। মে মাসে এটি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে আসে। আগস্টে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও প্রায় একই ধারায় ছিল।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে, যথাক্রমে ০ দশমিক ০৪ এবং ০ দশমিক ০৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে।
২০২২ সালের আগস্ট থেকে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বেশ স্থিতিশীল রয়ে গেছে। গত মাসে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২২ সালের আগস্টকে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির একটি বড় মোড় পরিবর্তনের সময় হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ ওই বছরের ৫ আগস্ট রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সরকার জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
২০২২ সালের আগস্টে জুলাইয়ের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি আকস্মিকভাবে দুই শতাংশ বেড়ে যায়। খাদ্যশ্রেণির মধ্যে সেপ্টেম্বরে চালের অবদান কমে দাঁড়ায় ৪৫ শতাংশে, যা আগস্টে ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ থাকায় তখন চালের অবদান আরও বেশি ছিল।
আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল মাছের ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মাংসের ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ফলের ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং তেলের ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। মূলজাত ফসল ও সবজির অবদান সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৯৩ ও ১ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমে আসে।
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে মাঝারি চাল (১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ), মোটা চাল (১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ), উৎকৃষ্ট মানের চাল (৬ দশমিক ৪০ শতাংশ), সয়াবিন তেল (৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ), পাঙাশ মাছ (৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ) এবং বেগুন (৭ দশমিক ০৫ শতাংশ)। অন্যদিকে, আলু ও পেঁয়াজের অবদান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করেছে।
চালের দাম কমেছে
আগস্ট মাসের সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে করা পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে চালের দাম এক শতাংশ কমেছে। চালের তিনটি শ্রেণিতেই সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। তবে মোটা ও মিহি চালের মুদ্রাস্ফীতি এখনও ১৫ শতাংশে অবস্থান করছে।
সরকার এরইমধ্যে ৮ অক্টোবর ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ টন গম আমদানি অনুমোদন দিয়েছে, যাতে বাজারে সরবরাহ স্থিতিশীল থাকে। সরকার নভেম্বরের মধ্যে খাদ্য মজুদ রক্ষার জন্য আরও ৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করার পরিকল্পনা করছে, কারণ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন চাল বাজারে পাওয়া যাবে না। জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়া দ্রুততার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের সময়কাল ২৭ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে মোট ১৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। বিতরণের ক্ষেত্রে, চলতি অর্থবছরে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
বেড়েছে রিজার্ভ ও আমানত
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে এই সময়ে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
কয়েক মাস ৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকার পর সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। আগস্টে এটি ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় বেশি, যা খাতটির স্থিতিস্থাপকতা নির্দেশ করে।
২০২৫ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরে টাকার বিনিময় হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল—প্রতি মার্কিন ডলারে ১২১ থেকে ১২২ টাকা। একই সময়ে রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট (আরইইআর) সামান্য বেড়ে ১২১ দশমিক ২ থেকে ১২৭ দশমিক ২ হয়েছে, যা উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতার ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন নির্দেশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোট আমানত বছরে ১০ দশমিক ০১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ব্রড মানি (এম২) ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে সম্প্রসারিত হয়েছে। রাজস্ব আদায়ও গতি পেয়েছে।
২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ২১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ, আয়কর ২৪ শতাংশ। তবে শুল্ক রাজস্ব ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে এনবিআর ১২টি নতুন কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউস স্থাপন এবং ৩ হাজার ৬০০ নতুন পদ সৃজন করেছে। এর মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ ও নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
দেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। একই সময়ে বেড়েছে ব্যাংক আমানত প্রবৃদ্ধি। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। এতে গেল সেপ্টেম্বরে চালসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমার কথা বলা হয়েছে। এ সময়ে বেড়েছে রিজার্ভ ও আমানত। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য ‘সতর্কতামূলক আশাবাদের’ ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
গেল জুন থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল ও উচ্চমাত্রায় রয়েছে। মে মাসে এটি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে আসে। আগস্টে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিও প্রায় একই ধারায় ছিল।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে, যথাক্রমে ০ দশমিক ০৪ এবং ০ দশমিক ০৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে।
২০২২ সালের আগস্ট থেকে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বেশ স্থিতিশীল রয়ে গেছে। গত মাসে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২২ সালের আগস্টকে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির একটি বড় মোড় পরিবর্তনের সময় হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ ওই বছরের ৫ আগস্ট রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সরকার জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
২০২২ সালের আগস্টে জুলাইয়ের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি আকস্মিকভাবে দুই শতাংশ বেড়ে যায়। খাদ্যশ্রেণির মধ্যে সেপ্টেম্বরে চালের অবদান কমে দাঁড়ায় ৪৫ শতাংশে, যা আগস্টে ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জুলাইয়ে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ থাকায় তখন চালের অবদান আরও বেশি ছিল।
আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল মাছের ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ, মাংসের ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ফলের ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং তেলের ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। মূলজাত ফসল ও সবজির অবদান সেপ্টেম্বরে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৯৩ ও ১ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমে আসে।
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে মাঝারি চাল (১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ), মোটা চাল (১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ), উৎকৃষ্ট মানের চাল (৬ দশমিক ৪০ শতাংশ), সয়াবিন তেল (৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ), পাঙাশ মাছ (৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ) এবং বেগুন (৭ দশমিক ০৫ শতাংশ)। অন্যদিকে, আলু ও পেঁয়াজের অবদান যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করেছে।
চালের দাম কমেছে
আগস্ট মাসের সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে করা পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে চালের দাম এক শতাংশ কমেছে। চালের তিনটি শ্রেণিতেই সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। তবে মোটা ও মিহি চালের মুদ্রাস্ফীতি এখনও ১৫ শতাংশে অবস্থান করছে।
সরকার এরইমধ্যে ৮ অক্টোবর ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ টন গম আমদানি অনুমোদন দিয়েছে, যাতে বাজারে সরবরাহ স্থিতিশীল থাকে। সরকার নভেম্বরের মধ্যে খাদ্য মজুদ রক্ষার জন্য আরও ৪ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করার পরিকল্পনা করছে, কারণ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন চাল বাজারে পাওয়া যাবে না। জরুরি ক্রয় প্রক্রিয়া দ্রুততার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক দরপত্রের সময়কাল ২৭ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন করা হয়েছে।
১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের তত্ত্বাবধানে মোট ১৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। বিতরণের ক্ষেত্রে, চলতি অর্থবছরে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
বেড়েছে রিজার্ভ ও আমানত
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে এই সময়ে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
কয়েক মাস ৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকার পর সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। আগস্টে এটি ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব এবং তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় বেশি, যা খাতটির স্থিতিস্থাপকতা নির্দেশ করে।
২০২৫ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরে টাকার বিনিময় হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল—প্রতি মার্কিন ডলারে ১২১ থেকে ১২২ টাকা। একই সময়ে রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট (আরইইআর) সামান্য বেড়ে ১২১ দশমিক ২ থেকে ১২৭ দশমিক ২ হয়েছে, যা উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতার ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন নির্দেশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোট আমানত বছরে ১০ দশমিক ০১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ব্রড মানি (এম২) ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে সম্প্রসারিত হয়েছে। রাজস্ব আদায়ও গতি পেয়েছে।
২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। আগের বছরের তুলনায় এটি ২১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ, আয়কর ২৪ শতাংশ। তবে শুল্ক রাজস্ব ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে এনবিআর ১২টি নতুন কমিশনারেট ও কাস্টমস হাউস স্থাপন এবং ৩ হাজার ৬০০ নতুন পদ সৃজন করেছে। এর মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ ও নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
হজ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা আগামী ১৮ অক্টোবর (শনিবার) খোলা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে আজ এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৭ দিন আগেরাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সৌদি আরব ও কাফকো থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৭২২ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা।
৯ দিন আগেআগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৬ সাল) জন্য মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) নবম শ্রেণি, দাখিল নবম শ্রেণি, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণি এবং কারিগরি ট্রেড নবম ও দশম শ্রেণির বিনামূল্যের ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৯টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৯ দিন আগেঅবশেষে চালু হচ্ছে দেশের আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেন। এতে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) দেওয়া বিকাশ, নগদ ও রকেট নিজেদের মধ্যে তাৎক্ষণিক লেনদেন করতে পারবে।
১০ দিন আগে