
.png)

আহমদ রফিক ছিলেন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের শেষ জীবন্ত স্তম্ভ। তাঁর কুঞ্জিত চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে ছিল মিছিল, স্লোগান, কাঁদানে গ্যাস, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আত্মগোপন, ফেরার জীবন… আরও কত রোমাঞ্চকর ইতিহাস।

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক কিছুক্ষণ আগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন লেখক ও অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী।

জীবনের শেষ অধ্যায়েও ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক ভেবেছেন ভবিষ্যতের পাঠক, সাহিত্য ও সংস্কৃতির কথা। মৃত্যুর আগে নিজের সমস্ত লেখা, অমূল্য পান্ডুলিপি ও অর্জিত পুরস্কার ‘ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন’-এ দান করে গেছেন তিনি।

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক কিছুক্ষণ আগে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন লেখক ও অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। এই মহান ভাষাসংগ্রামীর প্রয়াণে স্ট্রিমের শোকাঞ্জলি।

রাস্তায় নেমে যখন কেউ দীপ্ত কণ্ঠে গেয়ে ওঠে—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, তখন সেই গানের গহিনে তাকালে দেখা যায়, এক প্রবীণ পুরুণ দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর চোখে আলো নেই, বয়সের ভারে ন্যুজ্ব হয়ে গেছে পিঠ, কিন্তু কণ্ঠে ঠিকই ধ্বনিত হচ্ছে তেজদীপ্ত হুঙ্কার—‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’। তিনি আহমদ রফিক, আমাদ

সেই অর্থে আহমদ রফিক সামাজিকভাবে কোনো সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না। তাতে খুব-একটা ক্ষতি যে হয়েছে, সেটি আমরা অন্তত মনেও করি না। জার্মান লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ বলতেন যে, ‘সম্মানজনক পদের তুলনায় ব্যক্তির সম্মানের গুণ অনেক বেশি মূল্যবান।’

ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কেমন ছিল তাঁর জীবনের শেষদিনগুলো?

ভাষাসৈনিক, কবি, গবেষক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে ল্যাবএইডে ভর্তি করা হয়েছে।