পূর্ব বাংলার ক্ষেত্রে, পুরো বদ্বীপের মানুষের মধ্যে কিছু জায়গায় ঐক্য রয়েছে–জীবনযাপন ও রাজনীতিতে। আবার কিছু ভিন্নতাও রয়েছে। যেমন, পশ্চিম বাংলার ভূমি যেখানে একটু অনুর্বর হয়েছে, সেখানে মানুষকে কৃষি বা অন্য পেশা বেছে নিতে হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আপনারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। গরিব মানুষকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে আপনারা অত্যাচার করছেন। কিন্তু আমার হৃদয়ে গরিব মানুষ আছে… আমি কোনো জাতপাত মানি না। আমি মানি মনুষত্ব।
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করেছে বলেছে, অবৈধ বাংলাদেশি বাসিন্দারা ‘বাংলা’ নয়, ‘বাংলাদেশি ভাষা’য় কথা বলে। পুলিশের এই অভিযোগের সমালোচনায় মুখর হয়ে সাধারণ ভারতীয় থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত। এমনকি এই ভাষার রাজনীতি নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন ভারতীয় লেখক অরিঘ্ন গুপ্ত।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুলিশ বহু মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের বেশিরভাগই মুসলিম ও বাংলাভাষী। সরকার বলছে, যাদের আটক করা হয়েছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, প্রধানত একটি বিশেষ ধর্ম ও ভাষার মানুষদের টার্গেট করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপিতে সাতচল্লিশ সালে শরণার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছিল: যখন দণ্ডকারণ্যে রিফিউজিরা চলে যাবার আগে কমিউনিষ্ট পার্টি, ফরওয়ার্ড ব্লক এর নেতারা রিফিউজিদের বাংলাতে থেকে যেতে বলেন। আন্ডামান যাবার বেলায়ও বাংলাতে পুনর্বাসনের জন্য আন্দোলন করেন।
মমতার ভাষা আন্দোলনের ডাক, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি
বাংলাভাষীদের ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক ও বাংলাদেশে ‘ঘাড়ধাক্কা’ দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। ঘটনার শুরু দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকের আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে।