
.png)

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন ও গণভোটের পদ্ধতি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বিভক্তি ও উত্তেজনার মধ্যেই সনদটি বাস্তবায়নের জন্য আদেশ জারির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় বিষয়ে সবৈর্ব্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘অতিসম্প্রতি মহল বিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে, যার মূলে রয়েছে রাষ্ট্র কাঠামোর আমূল সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা। এই সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন ৮৪ দফা সুপারিশ পেশ করেছে।

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের আগের কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

ঐক্যমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের চুড়ান্ত সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে। তবে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু মতামত ও প্রস্তাবনা পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় এই সনদ এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।

রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার অভ্যাস থাকলে এরই মধ্যে নিশ্চয়ই আপনার চোখে পড়েছে। অনেকেই ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ লিখে পোস্ট করেছেন, আবার অনেকেই এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। এমন পোস্টে সয়লাব নিউজফিড। হঠাৎ এমন পোস্টের কারণ আসলে কী? চলুন, খোঁজা যাক।

জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে করা সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে প্রথমে একটি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি, পরে আদেশের প্রশ্নে গণভোট এবং সবশেষ আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা (সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ) পালনের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন।

আহত 'জুলাই যোদ্ধা'দের চিকিৎসা বঞ্চিত হওয়া, পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষার অভাব এবং ১৭ অক্টোবরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা।

জুলাই সনদ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দল। জুলাই সনদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের যোগাযোগ, সংলাপ বা মতামত নেওয়া হয়নি তাদের থেকে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দলও এই প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল বলে জানা গেছে। তবে, ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের

পরবর্তীতে স্বাক্ষরের সুবিধা রেখেই জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এই স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে আলোচনায় শরিক দল কতদিন সময় পেতে তা জানায়নি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, আলোচনায় অংশ নেওয়া সব দলই স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় নেবে এবং স্বাক্ষর অনুষ্ঠ

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদ পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের গণভোটের বিষয়ে একমত হলেও ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি ‘প্যাকেজ’ প্রস্তাব করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।