leadT1ad

বাংলার ভূত-প্রেতের পলিটিক্স

ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করুক বা না করুক, ভূত নিয়া মানুষের কৌতূহল ও উৎসাহের অন্ত নাই। বাংলার লোককাহিনী ও বিশ্বাসে আছে নানান রকম ভূত-প্রেতের উপস্থিতি। এইসব ভূতের স্বভাব-চরিত্র ও আচরণে কি বাংলার জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন থাকে? বাংলার বিচিত্রসব ভূতকে ঘিরে, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা এই লেখা।

রায়হান রাহিম
রায়হান রাহিম

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৩০
স্ট্রিম গ্রাফিক

‘ব্রো কি প্যারানর্মাল জিনিসপাতি বিলিভ করেন?’ - এই একটা কোশ্চেন দিয়া অনেক আড্ডা যেমন শুরু হইতে দেখছি, অনেক আড্ডা ভাইঙ্গাও যাইতে দেখছি। চারপাশে প্রচুর লোকজন আছেন যারা ভূতে বিশ্বাস করেন। আবার ভূত মানেই একটা ফানি, ক্লিশে, অবৈজ্ঞানিক জিনিস এই রকম জাজমেন্টাল লোকজনেরও অভাব নাই।

আমার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে। হরেক রকমের ভূতের গল্পটল্প শুইনা চাইল্ডহুড কাটছে আমার। এসএসসি পরীক্ষার আগে আগে আমি একবার দারুণ ভূতের ভয় পাইলাম। আমার আব্বা এই ভয়রে লজিক দিয়া ডিবাঙ্ক কইরা দেবার পর আমার তো তখন পুরা মাননীয় স্পিকার দশা। এরপর থিকাই আমার মাথায় একটা জিনিস অলয়েজ ঘুরপাক খাইতো যে ভূত কি কেবলই ভয় বা ফোকলোর এলিমেন্ট কিনা? আমার অব্জার্ভেশন বলতেছে, বাংলার লোকবিশ্বাস আর কালচারে ভূতেরা স্রেফ প্রেতাত্মা আর ডরের ঘটনা না। বরং বাংলাদেশে ভূতের একজিস্টেন্স একটা অলিখিত পলিটিক্যাল ঘটনা, যেইটা জীবিত সমাজের কমপ্লেক্স ক্লাস, জেন্ডার আর এনভায়রনমেন্টের ক্ষমতা-সম্পর্কের একটা রিফ্লেকশন।

টেক্সট ফর্মেটে ভূতের গল্পের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঠাকুরমার ঝুলির মধ্য দিয়া। ঠাকুরমার ঝুলি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ এলাকা থিকা কালেক্ট করা রূপকথার গল্পের একটা সংকলন। ঠাকুরমার ঝুলির গল্পগুলা দিয়া পরবর্তীতে একটা এনিমেশন সিরিজও হইছিলো। ঐ এনিমেশন সিরিজের একটা এপিসোড ছিলো ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ। সেই এপিসোডে এক ভূতের সাথে আমার পরিচয় হয়। ভুতের নাম ব্রহ্মদৈত্য। ব্রহ্মদৈত্য ভূত হইলেও লোক ভালো।

ব্রহ্মদৈত্য। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক
ব্রহ্মদৈত্য। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

ইন্টারনেটে ব্রহ্মদৈত্য নিয়া ঘাটলে জানবেন যে, ব্রাহ্মণ অপঘাতে মারা গেলে ব্রহ্মদৈত্য হন। বাজারের চালু মিথে সব ভূত খারাপ হইলেও এই ব্রহ্মদৈত্য ভালো কেন এইটা নিয়া আমার কিউরিওসিটি হইলো। সনাতন বাঙালি সমাজে ব্রাহ্মণদের যে একটা উচা জায়গা ছিল এইটারই একটা রিফ্লেকশন হইতেছে ব্রহ্মদৈত্য একটা ভালো ভূত। ব্রহ্মদৈত্যের ফিচার ঘাটলে আপনে খেয়াল করবেন মরার পরেও বামুনরা আসলে পবিত্র আর সম্মানিত থাকে। বামুনকেন্দ্রিক হায়ারার্কির ঘটনাই এই ব্রহ্মদইত্যের কন্সেপ্ট। ইভেনকি অন্য ভূতেরা যখন শ্যাওড়া বা জলাভূমির মত পরিত্যক্ত প্লেসে থাকেন বইলা শোনা যায়, ব্রহ্মদৈত্যের বাস তখন বেল বা অশ্বত্থ গাছের মতো পবিত্র প্লেসে।

ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ এপিসোডের একটা ফ্রেম। ছবি: সফটটুন হরর এন্ড ক্রাইম বাংলা
ভুতের বাপের শ্রাদ্ধ এপিসোডের একটা ফ্রেম। ছবি: সফটটুন হরর এন্ড ক্রাইম বাংলা

এইবার বাংলার ফিমেইল ভুতেদের নিয়া একটু আলাপ দেই। পেত্নী, শাকচুন্নি, আলেয়ার নাম তো সবাই শুনছেন। এই ফিমেইল ভূতগুলা সোসাইটিতে নারীর দুর্বল অবস্থান ও অত্যাচারের শিকার হওয়ার হিস্ট্রির নিশানা।

পেত্নী নিয়াই এই জেন্ডার পলিটিক্সের আলাপটা শুরু করা যাক।

পেত্নী কী এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় বলা যায়, পেত্নী হইলো একটা আনস্যাটিসফাইড ফিমেইল সৌল যে কিনা অপূর্ণ বাসনা নিয়া অপঘাতে মইরা গেছে। রুপকথা ঘাটলে বুঝবেন, সাধারণত প্রসবকালে, গর্ভবতী অবস্থায় বা অবিবাহিত অবস্থায় মারা যাওয়া নারীর আত্মারে পেত্নী ডাকা হয়। মাদারহুড বা বিয়ারে সোসাইটিতে নারী জীবনের পূর্ণতা হিসাবে দেখার চল আছে। যখন এই সামাজিক আকাঙ্ক্ষাগুলি অপূর্ণ রাইখা কোন নারী মইরা যান, তখন তাকে এক অপূর্ণ বা অতৃপ্ত আত্মা হিসেবে দেখা হয়। এই ঘটনা জীবিত নারীর উপর সমাজের চাপায় দেওয়া সেই মূল্যবোধরে তুইলা ধরে, যেইখানে বিয়া আর বাচ্চাই নারীর জীবনের মেইন গোল। এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হইলেই সে পেত্নী রূপে হাজির হয়। গ্রামেগঞ্জে এখনও বিয়া ছাড়া কোনো নারী প্রেগনেন্ট হয়ে গেলে ‘গায়ে বাতাস লাগা’ কথাটা বলা হয়, যেন কোনো অশুভ শক্তির প্রভাবে সে অসুস্থ হয়া পড়ছে।

ওরাল হিস্ট্রি অনুযায়ী, শাকচুন্নিরা সাদা শাড়ি পইরা থাকে, তাদের হাতে বিয়াইত্তা মহিলাদের মতো শাখা থাকে। শেওড়া গাছ শাকচুন্নিদের রেসিডেনশিয়াল এরিয়া।
তারা সাধারণত ধনী বিবাহিত মহিলাদের ভর করে, যাতে তারা তাদের আরামের জীবনটা উপভোগ করতে পারে। এই নোক্তা ধইরা আগাই আপাতত। ঘটনা শুইনা যা বোঝা যাইতেছে, শাকচুন্নীর মূল আকাঙ্ক্ষা একটা স্বাভাবিক বিবাহিত জীবন উপভোগ করা। হেয়ার উই গো এগেইন! শাকচুন্নীর কাহিনীতেও এইটা উইঠা আসছে যে নারীর ১০০/১০০ জীবন মানেই বিয়া আর বাচ্চার কম্বো! শাকচুন্নী এই কম্বোর স্বাদ না পায়াই মরার পর অতৃপ্ত বাসনা মিটাইতে অন্য নারীর সংসারে ঢুইকা যাইতে চাচ্ছে।

পেত্নী দেখতে ভয়ংকর হয়। অনেকেই বলে দেখতে নোংরা থাকে পেত্নী, তার পা দুইটাও উলটা হয়া থাকে। পেত্নীর এই রুপ নিয়া একটু ক্রিটিক্যালি চিন্তা করলে দেখবেন এই রূপ জীবিত অবস্থায় নারীর সৌন্দর্যের উপর সমাজের চাপায় দেয়া মানদণ্ডরে ক্যান্সেল করে। ফোকলোরের পেত্নী সমাজের ঐ নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে যাদের কথা বলার অধিকার বা পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা ছিল না। তার অশরীরী উপস্থিতি ও কার্যকলাপ যেন সেই আনস্পোকেন নারীদের অবদমিত কণ্ঠস্বরের লাউড স্ক্রিমিং।

এইবার একটু শাকচুন্নি নিয়া বলি। সংস্কৃত শঙ্খচুর্নী থিকা শাকচুন্নি শব্দটা তৈরি হইছে। শঙ্খচুর্নী মানে হইলো ভাঙ্গা শাখা। বিবাহিত অবস্থায় মারা যাওয়া মহিলাদের প্রেতযোনী প্রাপ্ত আত্মাকে শাকচুন্নি বলা হয়। ওরাল হিস্ট্রি অনুযায়ী, শাকচুন্নিরা সাদা শাড়ি পইরা থাকে, তাদের হাতে বিয়াইত্তা মহিলাদের মতো শাখা থাকে। শেওড়া গাছ শাকচুন্নিদের রেসিডেনশিয়াল এরিয়া।

তারা সাধারণত ধনী বিবাহিত মহিলাদের ভর করে, যাতে তারা তাদের আরামের জীবনটা উপভোগ করতে পারে। এই নোক্তা ধইরা আগাই আপাতত। ঘটনা শুইনা যা বোঝা যাইতেছে, শাকচুন্নীর মূল আকাঙ্ক্ষা একটা স্বাভাবিক বিবাহিত জীবন উপভোগ করা। হেয়ার উই গো এগেইন! শাকচুন্নীর কাহিনীতেও এইটা উইঠা আসছে যে নারীর ১০০/১০০ জীবন মানেই বিয়া আর বাচ্চার কম্বো! শাকচুন্নী এই কম্বোর স্বাদ না পায়াই মরার পর অতৃপ্ত বাসনা মিটাইতে অন্য নারীর সংসারে ঢুইকা যাইতে চাচ্ছে।

বাংলার লোকবিশ্বাস আর কালচারে ভূতেরা স্রেফ প্রেতাত্মা আর ডরের ঘটনা না। বরং বাংলাদেশে ভূতের একজিস্টেন্স একটা অলিখিত পলিটিক্যাল ঘটনা, যেইটা জীবিত সমাজের কমপ্লেক্স ক্লাস, জেন্ডার আর এনভায়রনমেন্টের ক্ষমতা-সম্পর্কের একটা রিফ্লেকশন।

অহ ওয়েট! নারী মানেই জেলাস ! এই কন্সেপ্টের এন্ডোর্সমেন্টও স্লাইটলি ঢুইকা যাচ্ছে শাকচুন্নীর প্রোফাইলিংয়ে। কিন্তু, একটু তলায়া দেখলে ডার্ক সাইড অফ যৌতুকের একটা সাইন লাগে এই শাকচুন্নিরে। পারিবারিক কাঠামোর ভিত্রে নারীর অধীনতা ও অত্যাচাররে সেন্টার করলে শাকচুন্নীর ঘটনাটা সম্ভবত এমন যে এই শাকচুন্নী হয়তো জীবিত অবস্থায় স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের শিকার, তাই মৃত্যুর পর প্রতিশোধ নিতে ফিরা আসে। এইটারে প্যাট্রিয়ার্কাল পাওয়ারের এগেইন্সটে নারীর প্রতিবাদের একটা রিফ্লেকশন বললে অত্যোক্তি হইবোনা আই গেজ। আর হরর যদি হয় পুরাটা সাইকোলজিক্যাল মামলা তাইলে হয়তো শাকচুন্নী একটা মেন্টাল রিলিফের ঘটনা। প্যারায় থাকা ম্যারিড মহিলা সাংসারিক গেঞ্জামে যে এক্সপ্রেশন দিতে পারেন না, তিনি হয়তো শাকচুন্নি ভরের ঘটনায় তা এক্সপ্রেস করার একটা স্কোপ খুইজা পান। বলতেছি না এইটাই ঘটনা, বাট এইভাবে ভাবাও যাইতে পারে আরকি।

শাকচুন্নি।  ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক
শাকচুন্নি। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

২০১১ সালে আমার মা মারা যাওয়ার পর আমি গেছি নানা বাড়ি। রাতে ঘুমানোর আগে আমার নানী আইসা বইলা গেলেন রাইতে আম্মার গলায় আইসা কেউ ডাকলে যেন দরজা না খুলি। তখন আমি নিশি ভূতের কন্সেপ্টের লগে প্রথম পরিচিত হই। নিশি ভূত হইতেছে এমন একটা ভূত, যে গভীর রাতে আপনেরে আপনার পরিচিত ফিমেইলের ভোকালে ডাকবে। ঘর থিকা বাইর হইছেন তো, আপনি মরছেন। নিশি আপনেরে এমন একজায়গায় লইয়া যাবে, অইখান থিকা ফিরার কোন চান্স নাই। সিলি জেন্ডার স্টেরিওটাইপের জন্য নিশির কন্সেপ্ট সেরারে! এই জিনিস গ্রিক পুরাণে সাইরেন, বাইবেলে ডালিলা বা বিভিন্ন লোককথায় ডাইনি বা অপ্সরা হইয়া হাজার হাজার বছর ধইরা টিইকা আছে। এই জিনিস মডার্ন লিটারেচার বা ফিল্মেও পাইবেন। ফেম ফাতালখ্যাত নারী চরিত্ররা তার আকর্ষণী পাওয়ার ইউজ কইরা পুরুষরে বিপদে ফেলে বা ধ্বংসের দিকে ঠেইলা দেয়, জাস্ট লাইক নিশিভূত।

নিশিভূত। ছবি: নিশিভূত
নিশিভূত। ছবি: নিশিভূত

জেন্ডার পলিটিক্স নিয়া বহুত কচকচানি হইলো। এইবার একটু বাংলার ভূতের সাথে যে ক্লাইমেট পলিটিক্সেরও একটা রিশতা আছে সেই বিষয়ে নজর দেই। এইখানে আমার রেফারেন্স মেছো ভূত, গেছো ভূত আর বেঘো ভূত। বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান আর এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ক্লাইমেটের উপর কি পরিমান ডিপেন্ডেন্ট, ভূতের গল্প শুনলেও বুঝবেন। এই যেমন মেছো ভূত।

মেছোভূত। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক
মেছোভূত। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

মেছো ভূত মাছ খেতে খুবই ভালোবাসে। গ্রামে যে সব পুকুর বা জলাশয়ে ভাল ভাল মাছ পাওয়া যায় তার আশেপাশেই এদের বাস। আবার অনেক সময় বাড়ির রান্না ঘর বা জেলেদের নৌকা থেকেও এরা মাছ চুরি করে খায়। একা মাছ নিয়ে রাতে বাসায় ফেরার সময় অনেকে মেছো ভূতের কবলে পড়েন।

আবার গাছপালাপ্রবণ বাংলার আরেকটা পপুলার ভূত হল গেছোভূত। কথিত আছে, যে সব মানুষ গলায় ফাঁস দিয়ে গাছ থেকে ঝুলে মারা যান তারাই পরে গেছো ভূত হয়ে সেই সব গাছে থেকে যায়।

গেছো ভূত। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক
গেছো ভূত। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

আবার বেঘো ভূতের কথাই ধরেন। বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলের জনপ্রিয় ভূতের নাম বেঘো ভূত। সাধারণত বাঘের হাতে মারা গেছেন যে সব মানুষ, তাঁদের আত্মাকেই বেঘো ভূত বলা হয়। জঙ্গলে মধু বা কাঠ কাটতে যাওয়া শ্রমিকদের এরা ভয় দেখায়া বাঘের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার মনে হয় এই মেছো, গেছো বা বেঘো ভূত হইলো মাছ ধরতে গিয়া বা কাঠ কাটতে গিয়া প্রান্তিক মানুষের লাইফ রিস্ক ও রাষ্ট্রীয় অসহযোগিতার ফলে সৃষ্ট ট্রমার আউটকাম। এই ভূতগুলারে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর লোকালদের কন্ট্রোল ফিরায় আনার কালচারাল এটেম্পট হিসাবেও দেখা যাইতে পারে। আই মীন যখন বহিরাগত কর্পোরেশন বা সরকার এই সম্পদগুলো দখল করতে আসে, তখন এই ভৌতিক গল্পগুলো স্থানীয়দের ঐতিহ্যবাহী অধিকার রক্ষার টুল হিসাবে কাজ করে।

এই আলাপের ইতি টানবো মামদো ভূত দিয়া। মামদোরে বলা হয় সবচেয়ে ভয়ংকর ভূত। মামদো কবরস্থানে থাকে।

মামদো ভূত।  ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক
মামদো ভূত। ছবি: স্ট্রিম গ্রাফিক

মামদো এত ভয়ংকর হইলো কেন এই উত্তর তালাশ করতে গিয়া যা পাইলাম মামদো ভূত হইতেছে মুসলমান ভূত। যেহেতু বাংলার লোকসাহিত্য ও লিখিত ভূতের গল্পে দীর্ঘ সময় ধরে হিন্দু লেখকদের আধিপত্য ছিল, তাই তাদের পরিচিত ধর্মীয় পরিসরের বাইরের ভূতকে 'অন্য' বা 'ভয়ংকর' হিসাবে তুলে ধরার প্রবণতা দেখা যেতে পারে। যেই কারনে ব্রহ্মদৈত্য ভালো, ঠিক সেই একই কারনে মামদো খারাপ হইবার সম্ভাবনাই বেশি। মামদো যে কালচারাল পলিটিক্সের ফলাফল এই কথা কইলে ভুল হইবো কি?

জানিনা!

Ad 300x250

সম্পর্কিত