শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বিবৃতি থামাতে নয়াদিল্লিকে জানিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বলা হয়, শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন।
ইনস্ক্রিপ্ট প্রতিবেদক
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরে বারবার প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা ভারতে অবস্থান করছেন। এমনকি বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে দেশটিতে একাধিকবার জনসমক্ষে দেখাও গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে ঢাকা জানতে চেয়েছিল, কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে অবাধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে ভারত সরকার বলছে, দেশটির মাটিতে অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদিত নয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আসাদুজ্জামান কামালকে রমজান মাসে কলকাতার একাধিক রেস্টুরেন্টে ইফতার পার্টিতে দেখা গেছে। নানা সময়ে দেখা গেছে ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য কয়েকজন নেতাকেও। সর্বশেষ খবর বলছে, আওয়ামী লীগ কলকাতায় তাদের দলীয় কার্যালয় খুলেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের অফিস তৈরির খবর বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অনলাইন সক্রিয়তাও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে বারবার টেলিগ্রামে এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। সেই বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু কলকাতায় নয় বারবার অভিযোগ উঠেছে, রাজধানী দিল্লিতেও আওয়ামী লীগ নেতারা অবাধেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা-সহ এই নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে। এই অবস্থায় তাঁদের কেন রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের পরিকাঠামো দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি আবার দিল্লি প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একটি অনুষ্ঠানের কথাও সামনে আসে। কীভাবে প্রকাশ্যে সভা করতে পারে লীগ, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। শুরুর দিকে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে চুপচাপ থাকলেও কয়েক মাস পরেই তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ পেতে থাকে। তাঁর এ ধরনের ভার্চুয়াল বিবৃতি থামাতে নয়াদিল্লিকে জানিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বলা হয়, শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। ঢাকার পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক জবাবও পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিবেশী দেশটিতে আবারও সক্রিয় হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে নয়াদিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনেরও অভিযোগ উঠেছে।
তবে ভারতে আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা ভারতীয় আইনের পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড’ সম্পর্কে সরকার অবগত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে পোস্ট করা ওই বিবৃতি জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘ভারতের মাটি থেকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার অনুমতি দেয় না সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ বিবৃতি ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে জয়সওয়াল বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা এবং রায় নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করে ভারত।’
এর আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রতিবেশী দেশটিকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা—বিশেষত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে কার্যালয় স্থাপনসহ বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ দলটি ভারতে কার্যালয় স্থাপন করেছে বলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে যখন ‘ভারতের মাটিতে বাড়তে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘এই উন্নয়ন বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-ভারত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করছে।’
বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, এই বিষয়টি ‘বাংলাদেশে জনমত উত্তেজিত করতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’
‘অতএব, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যাতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের মাটিতে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে, এবং কোনোভাবেই এমন কার্যক্রমকে অনুমোদন বা সহায়তা দেওয়া না হয়।’
‘পাশাপাশি, ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অফিসসমূহ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের অনেক সিনিয়র নেতা ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধে দায়ের করা একাধিক মামলায় পলাতক অবস্থায় এখনো ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছে।’
বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, চলতি বছরের ২১ জুলাই একটি এনজিও’র আড়ালে ‘এই নিষিদ্ধ দলের কিছু সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে গণসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল এবং পরবর্তীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে বুকলেট বিতরণ করেছিল।’
এছাড়া বিবৃতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও উল্লেখ করা হয়, যেখানে দলটির ‘ভারতের মাটি থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ’ নিশ্চিত করা হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরে বারবার প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা ভারতে অবস্থান করছেন। এমনকি বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে দেশটিতে একাধিকবার জনসমক্ষে দেখাও গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে ঢাকা জানতে চেয়েছিল, কেন ভারতীয় ভূখণ্ডে অবাধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করার জন্য শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে?
এই প্রশ্নের উত্তরে ভারত সরকার বলছে, দেশটির মাটিতে অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদিত নয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আসাদুজ্জামান কামালকে রমজান মাসে কলকাতার একাধিক রেস্টুরেন্টে ইফতার পার্টিতে দেখা গেছে। নানা সময়ে দেখা গেছে ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য কয়েকজন নেতাকেও। সর্বশেষ খবর বলছে, আওয়ামী লীগ কলকাতায় তাদের দলীয় কার্যালয় খুলেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের অফিস তৈরির খবর বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অনলাইন সক্রিয়তাও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে বারবার টেলিগ্রামে এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। সেই বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু কলকাতায় নয় বারবার অভিযোগ উঠেছে, রাজধানী দিল্লিতেও আওয়ামী লীগ নেতারা অবাধেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা-সহ এই নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে। এই অবস্থায় তাঁদের কেন রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের পরিকাঠামো দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি আবার দিল্লি প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একটি অনুষ্ঠানের কথাও সামনে আসে। কীভাবে প্রকাশ্যে সভা করতে পারে লীগ, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। শুরুর দিকে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে চুপচাপ থাকলেও কয়েক মাস পরেই তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ পেতে থাকে। তাঁর এ ধরনের ভার্চুয়াল বিবৃতি থামাতে নয়াদিল্লিকে জানিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বলা হয়, শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। ঢাকার পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক জবাবও পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে গণ-অভ্যুত্থানে প্রতিবেশী দেশটিতে আবারও সক্রিয় হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে নয়াদিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনেরও অভিযোগ উঠেছে।
তবে ভারতে আওয়ামী লীগের সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বা ভারতীয় আইনের পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড’ সম্পর্কে সরকার অবগত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে পোস্ট করা ওই বিবৃতি জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘ভারতের মাটি থেকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার অনুমতি দেয় না সরকার।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ বিবৃতি ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে জয়সওয়াল বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা এবং রায় নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করে ভারত।’
এর আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রতিবেশী দেশটিকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা—বিশেষত নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে কার্যালয় স্থাপনসহ বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষিদ্ধ দলটি ভারতে কার্যালয় স্থাপন করেছে বলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে যখন ‘ভারতের মাটিতে বাড়তে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘এই উন্নয়ন বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে এবং পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-ভারত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করছে।’
বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, এই বিষয়টি ‘বাংলাদেশে জনমত উত্তেজিত করতে পারে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’
‘অতএব, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় যাতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের মাটিতে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না পারে, এবং কোনোভাবেই এমন কার্যক্রমকে অনুমোদন বা সহায়তা দেওয়া না হয়।’
‘পাশাপাশি, ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অফিসসমূহ দ্রুত বন্ধ করতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের অনেক সিনিয়র নেতা ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধে দায়ের করা একাধিক মামলায় পলাতক অবস্থায় এখনো ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছে।’
বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, চলতি বছরের ২১ জুলাই একটি এনজিও’র আড়ালে ‘এই নিষিদ্ধ দলের কিছু সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে গণসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল এবং পরবর্তীতে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে বুকলেট বিতরণ করেছিল।’
এছাড়া বিবৃতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনও উল্লেখ করা হয়, যেখানে দলটির ‘ভারতের মাটি থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ’ নিশ্চিত করা হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, ৩১ আগস্ট দুপুর দুইটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা হবে। এতে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের মানুষ এখন প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতেই ভোট দিতে চায়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, আর ফ্যাসিবাদের কোনো সুযোগ থাকে না।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের ভিত্তিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা, আইনগত ভিত্তি ও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে দ্রুত বৈঠক শুরুর তাগিদ দিয়েছে তারা।
১ দিন আগেআজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
১ দিন আগে