স্ট্রিম প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি সিইসির ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
বক্তব্যে জামায়াত আমির হাদির ওপর আক্রমণকে ‘বেদনাদায়ক ও কাপুরুষোচিত’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এই আক্রমণের পর গোটা দেশ দারুণভাবে ব্যথিত, সকলেই সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন। এমন সময়ে সিইসির দেওয়া বক্তব্যটি গ্রহণযোগ্য নয়।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা তাঁর (হাদির) জীবন নিয়ে দারুণভাবে শঙ্কিত। আজকে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানি না আল্লাহ তায়ালা তাঁর কপালে-কিসমতে কী লিখে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তো মৃতকেও জীবিত করতে পারেন।’
সিইসির বক্তব্যের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীল একটি জায়গায় থেকে, বর্তমানে কার্যত বাংলাদেশ এই কয়টা দিন যাঁদের নিয়ন্ত্রণে চলবে, সেই নির্বাচন কমিশনের প্রধানের আজকের বক্তব্য জাতির সামনে এসেছে। জাতি তাঁর এই বক্তব্যকে মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। অথচ তিনি আছেন একটি নিরপেক্ষ জায়গায়। আমি তাঁকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, আপনার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা আপনাকে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি (সিইসি) বক্তব্য দিয়ে জাতির মনে যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, আপনি যে সেনসিটিভ (স্পর্শকাতর) জায়গায় এখন দায়িত্ব পালন করছেন, এই জায়গায় দায়িত্ব পালনের জন্য আপনি উপযুক্ত ব্যক্তি। এটা আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে।’
এ সময় তিনি সিইসিকে দেরি না করে বক্তব্য স্পষ্ট করার অনুরোধ জানান। সিইসিসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের সকলের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, আপনারা কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো আচরণ এই জাতির সাথে করবেন না। সকল জায়গা থেকে আমরা দায়িত্বপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই।’
সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা এটাও চাই না যে, এইরকম তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে, মৃত্যুর দুয়ারে চলে যাবে, তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে। এই অবস্থা বা এই দুঃসাহস কেউ যাতে না দেখাতে পারে, এই জন্য সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের ব্যাপারে দাবি উঠেছে। আমরা তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা পদত্যাগ নয়, বরঞ্চ দায়িত্ব পালনের যোগ্য—এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, মনে রাখবেন ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে। কিন্তু এটা আমাদের কামনা নয়। কেন বারবার এই জাতি জীবন দেবে? কেন রক্তের হোলি খেলা হবে? আমাদের কামনা হচ্ছে আগামীর একটি ঐক্যবদ্ধ, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। যেই বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের বাংলাদেশ। যেই তরুণরা বিজয় এনে দিয়েছে, আমরা এই বাংলাদেশ তাঁদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই জন্যই আজকে তরুণরা টার্গেট, এর জন্যই আজকে বিপ্লবীরা টার্গেট।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
এর আগে, ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি সিইসির ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
বক্তব্যে জামায়াত আমির হাদির ওপর আক্রমণকে ‘বেদনাদায়ক ও কাপুরুষোচিত’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এই আক্রমণের পর গোটা দেশ দারুণভাবে ব্যথিত, সকলেই সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন। এমন সময়ে সিইসির দেওয়া বক্তব্যটি গ্রহণযোগ্য নয়।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা তাঁর (হাদির) জীবন নিয়ে দারুণভাবে শঙ্কিত। আজকে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানি না আল্লাহ তায়ালা তাঁর কপালে-কিসমতে কী লিখে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তো মৃতকেও জীবিত করতে পারেন।’
সিইসির বক্তব্যের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীল একটি জায়গায় থেকে, বর্তমানে কার্যত বাংলাদেশ এই কয়টা দিন যাঁদের নিয়ন্ত্রণে চলবে, সেই নির্বাচন কমিশনের প্রধানের আজকের বক্তব্য জাতির সামনে এসেছে। জাতি তাঁর এই বক্তব্যকে মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। অথচ তিনি আছেন একটি নিরপেক্ষ জায়গায়। আমি তাঁকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, আপনার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা আপনাকে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি (সিইসি) বক্তব্য দিয়ে জাতির মনে যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, আপনি যে সেনসিটিভ (স্পর্শকাতর) জায়গায় এখন দায়িত্ব পালন করছেন, এই জায়গায় দায়িত্ব পালনের জন্য আপনি উপযুক্ত ব্যক্তি। এটা আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে।’
এ সময় তিনি সিইসিকে দেরি না করে বক্তব্য স্পষ্ট করার অনুরোধ জানান। সিইসিসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের সকলের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব, আপনারা কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো আচরণ এই জাতির সাথে করবেন না। সকল জায়গা থেকে আমরা দায়িত্বপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই।’
সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা এটাও চাই না যে, এইরকম তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে, মৃত্যুর দুয়ারে চলে যাবে, তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে। এই অবস্থা বা এই দুঃসাহস কেউ যাতে না দেখাতে পারে, এই জন্য সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের ব্যাপারে দাবি উঠেছে। আমরা তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা পদত্যাগ নয়, বরঞ্চ দায়িত্ব পালনের যোগ্য—এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, মনে রাখবেন ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে। কিন্তু এটা আমাদের কামনা নয়। কেন বারবার এই জাতি জীবন দেবে? কেন রক্তের হোলি খেলা হবে? আমাদের কামনা হচ্ছে আগামীর একটি ঐক্যবদ্ধ, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। যেই বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের বাংলাদেশ। যেই তরুণরা বিজয় এনে দিয়েছে, আমরা এই বাংলাদেশ তাঁদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই জন্যই আজকে তরুণরা টার্গেট, এর জন্যই আজকে বিপ্লবীরা টার্গেট।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
এর আগে, ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিশেষ বৃত্তিতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে টানা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী প্রকল্প’-এর শিক্ষার্থীরা।
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বলেছে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট ও আধিপত্যবাদী শক্তি’ সম্মিলিতভাবে জুলাই বিপ্লবীদের ‘গুপ্ত হত্যায়’ মাঠে নেমেছে।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬ ডিসেম্বরকে জাতির অহংকার, আনন্দ আর বেদনার এক মহাকাব্যিক দিন অভিহিত করে বলেছেন, ‘১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের নীলনকশা এখনো চলমান।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘পতিত পলাতক একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছিল, অনেক ক্ষেত্রে দলীয় ইতিহাসে তারা পরিণত করেছিল। এই অপচেষ্টার কারণেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে।’
৫ ঘণ্টা আগে