.png)
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচন করবেন ১৭৯ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন। পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন ১৩৫ জন। অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ৭৫.৪২ শতাংশই পুরুষ এবং নারী প্রার্থী ২৪.৫৮ শতাংশ।

স্ট্রিম প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল সংসদের ১৫০টি পদের মধ্যে ৭০টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। কোনো প্রার্থী নেই ৫৮টি পদে। ১০টি হল মিলিয়ে মোটে ২২টি পদে লড়াই হতে যাচ্ছে।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল সংসদের ভোটগ্রহণও হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি হলে ১৫টি করে পদ আছে। সে হিসেবে ২১টি আবাসিক হলে ৩১৫টি পদে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে মেয়েদের হলে পদ ১৫০টি।
ছেলেদের হলগুলোতে নির্ধারিত সব পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে বিপরীত চিত্র মেয়েদের হলে। প্রায় অর্ধেক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফাঁকাই থাকছে ৫৮টি পদ।
জাকসুতেও নারী কম
গত শুক্রবার বিকেলে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচন করবেন ১৭৯ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন। পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন ১৩৫ জন। অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ৭৫.৪২ শতাংশই পুরুষ এবং নারী প্রার্থী ২৪.৫৮ শতাংশ।
জাকসুর ৪৪ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে নারীদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অন্য পদে মাত্র ১১ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জিএস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুইজন করে নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে একজন করে নারী প্রার্থী রয়েছেন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দশজনই পুরুষ।
নারীদের অনাগ্রহ কেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সমানসংখ্যক ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনেও তাই ছেলে ও মেয়ে ভোটার সংখ্যায় প্রায় সমান।
এরপরেও নারী শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহী হওয়ার কারণ হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা স্ট্রিমকে বলেন, সারা বাংলাদেশে নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। নারীরা জুলাই-আগস্টের পরে নিরাপদে নেই। যারা নারী শিক্ষার্থী আছে তারা তো ছোট, আমি পঞ্চাশোর্ধ একজন নারী হয়েও কোথাও সাক্ষাৎকার দিলে শেমিংয়ের শিকার হই। সে জায়গা থেকে আমার মনে হয় যে নারীরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। অর্থাৎ, নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছে। তবে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য ও জাকসু নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী আদৃতা রায় বলেন, জাহাঙ্গীরনগরের নাম নিয়ে কিছু ফেসবুক পেজ এবং অ্যাকাউন্ট নারীদের গালিগালাজ ও শেমিং করছে। সব দলের ও মতের নারীরাই এর শিকার। সে কারণেই নারীরা অনাগ্রহী হতে পারে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক ও জাকসুর এজিএস পদপ্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নারীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক ম্যান্ডেট নিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রও ব্যতিক্রম নয়। ক্যাম্পাসেও যে নারীরা আন্দোলন করেছেন তাদের নানাভাবে হেয় করা হয়েছে; যার বিচার এখন পর্যন্ত প্রশাসন করেনি। যার ফলে এই ক্যাম্পাসে নারীরা মনে করছেন তারা যদি জাকসুতে নির্বাচিত হয়ে সামনে আসেন তাদের একই রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। যার ফলে অনেকেই সেই আশঙ্কা থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করছেন না।
জানতে চাইলে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার স্ট্রিমকে বলেন, নারী প্রার্থী কম আসার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যা জানতে পারি তা হলো নারীরা নির্বাচনে আসলে তারা বডি শেমিং থেকে শুরু করে নানা অপপ্রচারের শিকার হতে পারে। এ কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী নির্বাচনে আসেনি। যদি এই সমস্যাগুলো নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আসতো তাহলে আমরা হয়তো একটি সমাধান দিতে পারতাম।
কোন হলে কত পদ ফাঁকা
হল সংসদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের কোনটিতেই লড়াই হচ্ছে না। ১০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন করে। অর্থাৎ, এই ১০ পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আর বাকি পাঁচ পদে কোনো প্রার্থী নেই। প্রার্থী না থাকা পদগুলো হলো- ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও ৩টি কার্যকরী সদস্য।
বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে রিডিং রুম সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে একজন করে নির্বাচন করছেন। কমনরুম সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক ও তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই হলটিতে।
রোকেয়া হলে সাহিত্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। রিডিংরুম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও ৩ টি কার্যকরী সদস্য পদের জন্য কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।
প্রীতিলতা হলে ১৫টি পদের বিপরীতে ১২টি পদে প্রার্থী আছে। তবে তাঁরা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে যাচ্ছেন। সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক এবং দুটি কার্যকরী সদস্য পদ খালি রয়েছে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ভিপি, জিএস, সাহিত্য সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন; অর্থাৎ ছয় পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বাকি ৯ পদ খালি।
ফজিলাতুন্নেছা হলে শুধু জিএস, এজিএস ও সাহিত্য সম্পাদক পদে দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই। বাকি পদগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ভিপি ও জিএস পদে লড়াই হবে। তবে এজিএস পদে প্রার্থী একজন। বাকি পদগুলোতে প্রার্থী নেই।
বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি পদে তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করবেন। জিএস পদে দুজন লড়ছেন। তবে এজিএস, সাহিত্য সম্পাদক, রিডিং রুম সম্পাদক, ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। খালি আছে কমনরুম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক ও তিনটি কার্যকরী সদস্য পদ।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলে জিএস, এজিএস ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কার্যকরী সদস্যের একটিসহ সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, কমনরুম সম্পাদকের পদ খালি। বাকি পদগুলোতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
এছাড়া জাহানারা ইমাম হলে সাহিত্য সম্পাদক, রিডিং রুম সম্পাদক, কমনরুম সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সহ-ক্রীড়া সম্পাদক- এই ৮ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক এবং তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই। বাকি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল সংসদের ১৫০টি পদের মধ্যে ৭০টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। কোনো প্রার্থী নেই ৫৮টি পদে। ১০টি হল মিলিয়ে মোটে ২২টি পদে লড়াই হতে যাচ্ছে।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল সংসদের ভোটগ্রহণও হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি হলে ১৫টি করে পদ আছে। সে হিসেবে ২১টি আবাসিক হলে ৩১৫টি পদে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে মেয়েদের হলে পদ ১৫০টি।
ছেলেদের হলগুলোতে নির্ধারিত সব পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে বিপরীত চিত্র মেয়েদের হলে। প্রায় অর্ধেক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফাঁকাই থাকছে ৫৮টি পদ।
জাকসুতেও নারী কম
গত শুক্রবার বিকেলে জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, জাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচন করবেন ১৭৯ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন। পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন ১৩৫ জন। অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ৭৫.৪২ শতাংশই পুরুষ এবং নারী প্রার্থী ২৪.৫৮ শতাংশ।
জাকসুর ৪৪ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে নারীদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে অন্য পদে মাত্র ১১ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জিএস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুইজন করে নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে একজন করে নারী প্রার্থী রয়েছেন। সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দশজনই পুরুষ।
নারীদের অনাগ্রহ কেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সমানসংখ্যক ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনেও তাই ছেলে ও মেয়ে ভোটার সংখ্যায় প্রায় সমান।
এরপরেও নারী শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহী হওয়ার কারণ হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা স্ট্রিমকে বলেন, সারা বাংলাদেশে নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। নারীরা জুলাই-আগস্টের পরে নিরাপদে নেই। যারা নারী শিক্ষার্থী আছে তারা তো ছোট, আমি পঞ্চাশোর্ধ একজন নারী হয়েও কোথাও সাক্ষাৎকার দিলে শেমিংয়ের শিকার হই। সে জায়গা থেকে আমার মনে হয় যে নারীরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। অর্থাৎ, নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছে। তবে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য ও জাকসু নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী আদৃতা রায় বলেন, জাহাঙ্গীরনগরের নাম নিয়ে কিছু ফেসবুক পেজ এবং অ্যাকাউন্ট নারীদের গালিগালাজ ও শেমিং করছে। সব দলের ও মতের নারীরাই এর শিকার। সে কারণেই নারীরা অনাগ্রহী হতে পারে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক ও জাকসুর এজিএস পদপ্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নারীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক ম্যান্ডেট নিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রও ব্যতিক্রম নয়। ক্যাম্পাসেও যে নারীরা আন্দোলন করেছেন তাদের নানাভাবে হেয় করা হয়েছে; যার বিচার এখন পর্যন্ত প্রশাসন করেনি। যার ফলে এই ক্যাম্পাসে নারীরা মনে করছেন তারা যদি জাকসুতে নির্বাচিত হয়ে সামনে আসেন তাদের একই রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। যার ফলে অনেকেই সেই আশঙ্কা থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করছেন না।
জানতে চাইলে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার স্ট্রিমকে বলেন, নারী প্রার্থী কম আসার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যা জানতে পারি তা হলো নারীরা নির্বাচনে আসলে তারা বডি শেমিং থেকে শুরু করে নানা অপপ্রচারের শিকার হতে পারে। এ কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী নির্বাচনে আসেনি। যদি এই সমস্যাগুলো নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আসতো তাহলে আমরা হয়তো একটি সমাধান দিতে পারতাম।
কোন হলে কত পদ ফাঁকা
হল সংসদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫টি পদের কোনটিতেই লড়াই হচ্ছে না। ১০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন করে। অর্থাৎ, এই ১০ পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আর বাকি পাঁচ পদে কোনো প্রার্থী নেই। প্রার্থী না থাকা পদগুলো হলো- ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও ৩টি কার্যকরী সদস্য।
বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে রিডিং রুম সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে একজন করে নির্বাচন করছেন। কমনরুম সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক ও তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই হলটিতে।
রোকেয়া হলে সাহিত্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। রিডিংরুম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ও ৩ টি কার্যকরী সদস্য পদের জন্য কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।
প্রীতিলতা হলে ১৫টি পদের বিপরীতে ১২টি পদে প্রার্থী আছে। তবে তাঁরা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে যাচ্ছেন। সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক এবং দুটি কার্যকরী সদস্য পদ খালি রয়েছে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ভিপি, জিএস, সাহিত্য সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন; অর্থাৎ ছয় পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। বাকি ৯ পদ খালি।
ফজিলাতুন্নেছা হলে শুধু জিএস, এজিএস ও সাহিত্য সম্পাদক পদে দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন। কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই। বাকি পদগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ভিপি ও জিএস পদে লড়াই হবে। তবে এজিএস পদে প্রার্থী একজন। বাকি পদগুলোতে প্রার্থী নেই।
বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি পদে তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করবেন। জিএস পদে দুজন লড়ছেন। তবে এজিএস, সাহিত্য সম্পাদক, রিডিং রুম সম্পাদক, ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। খালি আছে কমনরুম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক ও তিনটি কার্যকরী সদস্য পদ।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলে জিএস, এজিএস ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কার্যকরী সদস্যের একটিসহ সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, কমনরুম সম্পাদকের পদ খালি। বাকি পদগুলোতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
এছাড়া জাহানারা ইমাম হলে সাহিত্য সম্পাদক, রিডিং রুম সম্পাদক, কমনরুম সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক, সামাজিক বিনোদন ও নাট্য সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সহ-ক্রীড়া সম্পাদক- এই ৮ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ডাইনিং ও ক্যানটিন সম্পাদক এবং তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে কোনো প্রার্থী নেই। বাকি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
.png)

জুলাই জাতীয় সনদে সই হওয়া সব বিষয়কে ধারণ ও বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এ সময় সনদ বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত না করতে আহ্বান জানায় দলটি।
৭ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগ হইতে পারবে না, আমরা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা রাতে (ঘরে) ঘুমাতে পারেন নাই, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা তাদের সম্মান জানাই।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত দলীয় তিন প্রার্থী এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে যে বিষয়টি অস্বস্তির কারণ হয়ে থেকেছে— সেটি হচ্ছে ফারাক্কা।
৯ ঘণ্টা আগে
১০ হাজার টাকায় মনোনয়ন ফরম উন্মুক্ত করল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে কেউ চাইলে আরও বেশি টাকা দিতে পারবেন। আর শ্রমিক শ্রেণির প্রার্থীরা এই ফরম কিনতে পারবেন মাত্র দুই হাজার টাকায়।
১৩ ঘণ্টা আগে