.png)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশে দেরি হওয়া ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।

স্ট্রিম প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশে দেরি হওয়া ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, গতকাল বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণের একদিন পার হলেও ভোট গণনা শেষ হয়নি। একদিন পরেও শুধু হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শুরু হয়নি। হল সংসদে ভোটের যে সংখ্যা কেন্দ্রীয় সংসদে তার দ্বিগুণ। এখানে সুস্পষ্টভাবে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা ভোটের আগের দিন থেকে প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে বলে আসছিলাম—কোন জায়গাগুলোতে লুপ হোল রয়েছে, কোন জায়গাগুলোতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেগুলোর স্বচ্ছতা আপনারা নিশ্চিত করেন। আমরা একটি ফেয়ার নির্বাচন চাই, শিক্ষার্থীরা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন কিন্তু আপনারা ফেয়ার নির্বাচন করেন। আমরা দেখতে পেয়েছি নির্বাচনের আগের নির্বাচন কমিশনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, বিএনপি নেতা, যুবদলের নেতা, জাবি ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক এবং বিএনপিপন্থী দুজন শিক্ষক সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে বৈঠক করেছেন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের লোকজনের বাইরে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই সেখানে তারা প্রবেশ করেছেন, আলোচনা করেছেন। কোন এখতিয়ারে তারা এটি করলো আমরা সেই প্রশ্ন রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, গতকাল নির্বাচনে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল, পোলিং এজেন্ট, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, নির্ধারিত সময় ভোটগ্রহণ শুরু না হওয়ার মতো অব্যবস্থাপনা আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো ছাপিয়ে গিয়েছে ছাত্রদলের আগ্রাসী কার্যক্রম, বাগছাসের ক্রমাগত ব্যাশিং (বিদ্রুপ) এবং মিথ্যাচার। গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (সাবেক শিক্ষার্থী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে আটক হয়েছিলেন অবৈধভাবে হলে অবস্থান এবং নির্বাচন বানচালের প্রয়াসের জন্য। ছাত্রীদের ১৫ নম্বর হলে তুচ্ছ ঘটনায় মব ফ্রেমিং করে শিবিরের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে এবং হট্টগোল করে নির্বাচনি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। ২১ নম্বর হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছে। নির্বাচনের ভোটের ওএমআর যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে ছাত্রদল এবং বাগছাস মিলে সেটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে ওএমআর বাতিলের চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেয়েছি প্রতিষ্ঠানটি জামায়াতপন্থী না বরং বিএনপিপন্থী ছিল। ওএমআর বাতিল করায় মনে হচ্ছে প্রশাসন যেন তার অভিমানী সন্তানের অভিমান ভাঙাতে চায়। প্রশাসনের ওএমআর বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তার গ্লানি এখনো আমাদের টানতে হচ্ছে।
'এখন পর্যন্ত যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাস্তবিকভাবে কোনোভাবেই আজকের মধ্যে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওএমআর মেশিনে ত্রুটির ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। নির্বাচনকে বানচালের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অন্য হলের প্রাধ্যক্ষ হয়েও একটি ছাত্রী হলে ঢুকে মব সৃষ্টি করে, যার ফলে নির্বাচন কিছুক্ষণ স্থগিত হয়। ছাত্রদলকে ব্যবহার করে তিনি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। হলের বাইরে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজকে সকালে একজন শিক্ষিকা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, যিনি গতকাল দায়িত্ব পালন করেননি। নজরুল ইসলামের গ্রুপ সেটাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস কোনো স্যারের গ্রুপের নয়, কোনো দলের নয়। শিক্ষার্থীরা ৩৩ বছর জাকসু চায়। আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি আমরা একটি ফেয়ার (নিরপেক্ষ) নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচিত হই বা না হই, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন তাদের প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারে। যারা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট চায় না তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে যদি ফলাফল ঘোষণা না হয়, আমরা দৃঢ় অবস্থান নেব। নির্বাচন বানচাল করার অপপ্রয়াস কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে। আশা করি, আজকের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও ফল প্রকাশে দেরি হওয়া ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন শিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, গতকাল বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণের একদিন পার হলেও ভোট গণনা শেষ হয়নি। একদিন পরেও শুধু হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শুরু হয়নি। হল সংসদে ভোটের যে সংখ্যা কেন্দ্রীয় সংসদে তার দ্বিগুণ। এখানে সুস্পষ্টভাবে আমরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা ভোটের আগের দিন থেকে প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে বলে আসছিলাম—কোন জায়গাগুলোতে লুপ হোল রয়েছে, কোন জায়গাগুলোতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেগুলোর স্বচ্ছতা আপনারা নিশ্চিত করেন। আমরা একটি ফেয়ার নির্বাচন চাই, শিক্ষার্থীরা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন কিন্তু আপনারা ফেয়ার নির্বাচন করেন। আমরা দেখতে পেয়েছি নির্বাচনের আগের নির্বাচন কমিশনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, বিএনপি নেতা, যুবদলের নেতা, জাবি ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক এবং বিএনপিপন্থী দুজন শিক্ষক সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে বৈঠক করেছেন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের লোকজনের বাইরে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই সেখানে তারা প্রবেশ করেছেন, আলোচনা করেছেন। কোন এখতিয়ারে তারা এটি করলো আমরা সেই প্রশ্ন রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, গতকাল নির্বাচনে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল, পোলিং এজেন্ট, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, নির্ধারিত সময় ভোটগ্রহণ শুরু না হওয়ার মতো অব্যবস্থাপনা আমরা দেখেছি। কিন্তু সেগুলো ছাপিয়ে গিয়েছে ছাত্রদলের আগ্রাসী কার্যক্রম, বাগছাসের ক্রমাগত ব্যাশিং (বিদ্রুপ) এবং মিথ্যাচার। গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (সাবেক শিক্ষার্থী) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে আটক হয়েছিলেন অবৈধভাবে হলে অবস্থান এবং নির্বাচন বানচালের প্রয়াসের জন্য। ছাত্রীদের ১৫ নম্বর হলে তুচ্ছ ঘটনায় মব ফ্রেমিং করে শিবিরের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে এবং হট্টগোল করে নির্বাচনি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। ২১ নম্বর হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছে। নির্বাচনের ভোটের ওএমআর যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে ছাত্রদল এবং বাগছাস মিলে সেটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে ওএমআর বাতিলের চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেয়েছি প্রতিষ্ঠানটি জামায়াতপন্থী না বরং বিএনপিপন্থী ছিল। ওএমআর বাতিল করায় মনে হচ্ছে প্রশাসন যেন তার অভিমানী সন্তানের অভিমান ভাঙাতে চায়। প্রশাসনের ওএমআর বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তার গ্লানি এখনো আমাদের টানতে হচ্ছে।
'এখন পর্যন্ত যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাস্তবিকভাবে কোনোভাবেই আজকের মধ্যে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওএমআর মেশিনে ত্রুটির ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। নির্বাচনকে বানচালের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অন্য হলের প্রাধ্যক্ষ হয়েও একটি ছাত্রী হলে ঢুকে মব সৃষ্টি করে, যার ফলে নির্বাচন কিছুক্ষণ স্থগিত হয়। ছাত্রদলকে ব্যবহার করে তিনি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। হলের বাইরে অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজকে সকালে একজন শিক্ষিকা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, যিনি গতকাল দায়িত্ব পালন করেননি। নজরুল ইসলামের গ্রুপ সেটাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস কোনো স্যারের গ্রুপের নয়, কোনো দলের নয়। শিক্ষার্থীরা ৩৩ বছর জাকসু চায়। আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি আমরা একটি ফেয়ার (নিরপেক্ষ) নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচিত হই বা না হই, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন তাদের প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারে। যারা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট চায় না তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে যদি ফলাফল ঘোষণা না হয়, আমরা দৃঢ় অবস্থান নেব। নির্বাচন বানচাল করার অপপ্রয়াস কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না। কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে। আশা করি, আজকের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷
.png)

জুলাই জাতীয় সনদে সই হওয়া সব বিষয়কে ধারণ ও বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে বিএনপি। এ সময় সনদ বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত না করতে আহ্বান জানায় দলটি।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগ হইতে পারবে না, আমরা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা রাতে (ঘরে) ঘুমাতে পারেন নাই, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা তাদের সম্মান জানাই।
৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি সংসদ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত দলীয় তিন প্রার্থী এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি দিন ধরে যে বিষয়টি অস্বস্তির কারণ হয়ে থেকেছে— সেটি হচ্ছে ফারাক্কা।
৪ ঘণ্টা আগে
১০ হাজার টাকায় মনোনয়ন ফরম উন্মুক্ত করল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে কেউ চাইলে আরও বেশি টাকা দিতে পারবেন। আর শ্রমিক শ্রেণির প্রার্থীরা এই ফরম কিনতে পারবেন মাত্র দুই হাজার টাকায়।
৯ ঘণ্টা আগে