স্ট্রিম প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল শুক্রবার রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় দ্বিতীয়বারের মতো এ ভাষণ দেন তিনি। এসময় বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবারও ঘোষণা দেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় জানিয়ে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত করতে নির্বাচনের পাশাপাশি সংস্কার কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কারের এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করে যেতে চাই, যাতে পরবর্তী সময়ে যে-ই সরকার গঠন করুক, সংস্কার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা, যাতে আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব না ঘটে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার পাশে বিএনপি, জামায়াত ও নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছয়জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের সময়সূচি ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তাঁরা।
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর গতকাল রাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবু তাহের বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এ নিয়ে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। তবে তার আগে জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে ‘গোল্ড মেডেল পাওয়ার মতো’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবু তাহের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে নিয়ে গেছেন, এই বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে।
একই সময়ে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অত্যন্ত দৃঢ় ও জোরালো ছিল। তিনি বলেন, ‘তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আর কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। আমরা খুশি যে তিনি এই সফরে সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করেছেন। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ঐক্য বিশ্ববাসীর সামনে প্রতিফলিত হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনও ভাষণকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা গেলে তা আরও ফলপ্রসূ হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘের ভাষণ নিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) স্ট্রিমকে বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে এটা অনেক আগে থেকেই বলছেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এভাবে না বলে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সব দলের জন্য অংশগ্রণের নিশ্চয়তা রাখা উচিত। এছাড়াও আরপিও থেকে শুরু করে আরও অনেকগুলো সংস্কার রাখা উচিত এই নির্বাচন নির্বাচন মুখে না বলে তখন কার্যতই মানুষ অনুভব করবে।’
রুহিন হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে মানুষ এমনিতেই বুঝবে যে নির্বাচন হবে। তখন মানুষ নিজেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে যাবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল শুক্রবার রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় দ্বিতীয়বারের মতো এ ভাষণ দেন তিনি। এসময় বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবারও ঘোষণা দেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় জানিয়ে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত করতে নির্বাচনের পাশাপাশি সংস্কার কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কারের এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করে যেতে চাই, যাতে পরবর্তী সময়ে যে-ই সরকার গঠন করুক, সংস্কার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা, যাতে আর কোনো স্বৈরশাসকের আবির্ভাব না ঘটে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার পাশে বিএনপি, জামায়াত ও নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছয়জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের সময়সূচি ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তাঁরা।
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর গতকাল রাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবু তাহের বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এ নিয়ে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। তবে তার আগে জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে ‘গোল্ড মেডেল পাওয়ার মতো’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবু তাহের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে নিয়ে গেছেন, এই বিষয়টি প্রশংসার দাবি রাখে।
একই সময়ে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অত্যন্ত দৃঢ় ও জোরালো ছিল। তিনি বলেন, ‘তাঁর এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আর কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। আমরা খুশি যে তিনি এই সফরে সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করেছেন। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ঐক্য বিশ্ববাসীর সামনে প্রতিফলিত হয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনও ভাষণকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা গেলে তা আরও ফলপ্রসূ হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘের ভাষণ নিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) স্ট্রিমকে বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে এটা অনেক আগে থেকেই বলছেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এভাবে না বলে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সব দলের জন্য অংশগ্রণের নিশ্চয়তা রাখা উচিত। এছাড়াও আরপিও থেকে শুরু করে আরও অনেকগুলো সংস্কার রাখা উচিত এই নির্বাচন নির্বাচন মুখে না বলে তখন কার্যতই মানুষ অনুভব করবে।’
রুহিন হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে মানুষ এমনিতেই বুঝবে যে নির্বাচন হবে। তখন মানুষ নিজেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে যাবে।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাকর্মীদেরকে জনগণের সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দেশের ‘ভাঙাচোরা শিক্ষা ব্যবস্থা’ রাখবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সমন্বয় এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটন জামায়াতের অঙ্গীকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, বর্তমান প্রশাসনের ব্যর্থতায় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা চলছে। তাঁদের মতে, প্রশাসনে যে শিক্ষকেরা এখন আছেন তাদের অভিজ্ঞতারও অভাব রয়েছে। এ জন্য উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব দফায় দফায় একবার এই পোষ্য কোটা দিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের মুখে তা স্থগিতও করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ওই প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির যে চিত্র উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গৌরবময় ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
২১ ঘণ্টা আগে