leadT1ad

ড. ইউনূস সাংবিধানিক আদেশ না দিলে তাঁর এক্সিট নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট ও অন্যান্য বিষয়ে সাংবিধানিক আদেশ জারি না করেন, তাহলে তাঁর এই দেশ থেকে কোনো ‘এক্সিট’ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এনসিপি আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পাটওয়ারী বলেন, ‘আজকে খসড়া প্রকাশ করায় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ। আমরা আমাদের অবস্থান বজায় না রাখলে খসড়াটি আসতো না। ড. ইউনূস আমাদের হাজারো শহীদ ও আহত ভাইদের রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। এখন তাঁকে তাদের কাছেই ফিরে যেতে হবে। শহীদ মিনারে জনগণের সামনে ড. ইউনূস সাংবিধানিক আদেশ জারি করবেন। তিনি যদি তা না করেন, তাহলে তাঁর এই দেশ থেকে যাওয়ার কোনো এক্সিট নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস অনেকদিন লুকিয়ে থেকেছেন। এবার জনগণের সামনে এসে তাদের প্রাপ্যটা বুঝিয়ে দিন। সাংবিধানিক আদেশ জারি হলেই আমরা সনদে স্বাক্ষর করব — এই নিশ্চয়তা আমাদের দিতে হবে।’

‘আসিফ নজরুলেরও এক্সিট নেই’

উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের প্রসঙ্গ টেনে পাটওয়ারী বলেন, ‘সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলেরও এক্সিট নেই। দুটি কাজই তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ৫ আগস্টের পর আমাদের ক্যান্টনমেন্টে নিতে চাওয়া হয়েছিল, আমরা যাইনি। জনগণকে আমরা বুঝিয়েছি রাষ্ট্রে তাদের ক্ষমতা কতটা। আসিফ নজরুল স্যারকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু নির্বাচনের আগে যদি তিনি সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ না করেন, তাহলে তাঁরও এক্সিট নেই।’

‘বিএনপি লাউ, জামায়াত কদু’

বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে পাটওয়ারী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই হবে, তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে। এত সহজে লাউ-কদুর নির্বাচন হতে দেব না। বিএনপি হচ্ছে ‘লাউ’, আর জামায়াত হচ্ছে ‘কদু’। বছরের পর বছর একসঙ্গে থেকে এখন আবার নিজেরা নির্বাচন করতে চায় — এক দল সরকারি দল হবে, আরেক দল বিরোধীদল। এই লাউ-কদুর নির্বাচন হবে না।’

নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘এনসিপি জুলাই বিক্রি করতে আসেনি, জুলাইকে সঠিক পথে রাখতেই এসেছে। আমাদের তরুণেরা সঠিক পথে রাখতে হাজির হয়েছে। যদি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে যেমন ফ্যাসিস্ট সরকার টিকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কেউ টিকতে পারবে না।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শিশির মনির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ শাহান, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

Ad 300x250

সম্পর্কিত