leadT1ad

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা: গাজার জন্য স্বস্তি, নাকি নতুন ফাঁদ

এসএম ইমরানুজ্জামান
এসএম ইমরানুজ্জামান
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ০৩
স্ট্রিম গ্রাফিক

গত দুই বছরে ৭০ হাজারের বেশি প্রাণ ঝরেছে গজায়। সেখানকার আকাশ ভরে উঠেছে ধুলোয়। আর নেমে এসেছে এক অদ্ভূত নীরবতা।

বিধ্বস্ত উপত্যকাটির সংকট মোকাবিলায় চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের প্রস্তাবগুলো যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজার ভবিষ্যৎকে আমূল পুনর্গঠনের প্রস্তাব। ট্রাম্প তাঁর প্রস্তাবকে অভিহিত করেছেন ‘একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ হিসেবে। তাঁর ভাষায়, ‘এই অগ্রগতি তিন হাজার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে পারে।’

ইসরায়েল ও হামাস বন্দি বিনিময় এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর সেনাদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে গত ৯ অক্টোবর।

এরপর ১১ অক্টোবর ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এই চুক্তিতে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। বন্দিদের মধ্যে নারী ও শিশু এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে আটক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এছাড়া বহুদিন ধরে আটকে থাকা ত্রাণ-সহায়তার গাড়িগুলোও প্রবেশ করতে পারবে।

তবু এই আশাবাদের মাঝেও একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই চুক্তি কি টেকসই শান্তি আনবে, নাকি নিপীড়ন ও হতাশার গভীর ক্ষতে কেবল অস্থায়ী ব্যান্ডেজ?

আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান ও নিরাপত্তার শর্তে ভরা এই পরিকল্পনায় পুনর্গঠন ও আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি থাকলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন, এটি হয়তো পুরোনো নিয়ন্ত্রণেরই নতুন রূপ। তাই এই পরিকল্পনার বাস্তবতা বুঝতে হলে এর ভিত্তি বিশ্লেষণ করতে হবে, প্রতিক্রিয়া জানতে হবে এবং ইতিহাস ফিরে দেখতে হবে।

এই পরিকল্পনার মূল কাঠামো তিন ধাপে ভাগ করা। তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, নিরস্ত্রীকরণ ও অন্তর্বর্তী শাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার।

প্রথম ধাপে যুদ্ধ থামানো, বোমা হামলা স্থগিত করা এবং বাকি থাকা ৪৮ জন বন্দির বিনিময় সম্পন্ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা অবাধে পৌঁছাবে। প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে পানি, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল ও ধ্বংসাবশেষ সরানো। ২৩ লাখ মানুষের গাজা শহরের ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এসব পদক্ষেপ জীবনরক্ষাকারী হতে পারে।

অনেক এলাকায় জীবনের কোনো চিহ্ন নেই, সবকিছু মুছে গেছে। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক এলাকায় জীবনের কোনো চিহ্ন নেই, সবকিছু মুছে গেছে। ছবি: সংগৃহীত।

দ্বিতীয় ধাপে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও প্রশাসনে। হামাস ও তাদের মিত্র গোষ্ঠীগুলো প্রশাসনিক ক্ষমতা ছেড়ে দেবে এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে সব ধরনের ‘সামরিক, সন্ত্রাসী ও আক্রমণাত্মক স্থাপনা’ ধ্বংস করা হবে। অস্ত্র সমর্পণকারীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। এসময় মিশর, জর্ডান ও পশ্চিমা মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল স্টেবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ) গাজায় মোতায়েন করা হবে।

এই বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে ও সীমান্ত সুরক্ষিত রাখবে। ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা কোনো দখল করবে না এবং ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করবে। তবে অস্থায়ী নিরাপত্তা বাফার রাখবে। ট্রাম্পের মতে, এই নিরস্ত্রীকরণ গাজাকে ‘সন্ত্রাসমুক্ত, শান্ত ও উন্নয়নমুখী এলাকায়’ পরিণত করবে।

সবচেয়ে বড় উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে তৃতীয় ধাপে। বোর্ড অব পিসের তত্ত্বাবধানে একটি টেকনোক্র্যাটিক (প্রযুক্তিবিদ-শাসিত) ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করা হবে। এই বোর্ডের সভাপতি হবেন ট্রাম্প নিজে, সঙ্গে থাকবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ আরও কয়েকজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। এই বোর্ড দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করবে, যতক্ষণ না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) নিজেদের সংস্কার সম্পন্ন করে আবার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও ব্যাপক। বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ‘অর্থনৈতিক মিরাকল সিটি’ প্রকৌশলীদের সহায়তায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ‘গাজার ভবিষ্যতের জন্য আশা’ জাগানো যার উদ্দেশ্য। জনগণকে জোর করে সরানো হবে না। তারা চাইলে বাইরে যেতে বা ফিরে আসতে পারবে।

পাশাপাশি, এক আন্তধর্মীয় সংলাপ শুরু করা হবে, যাতে শত্রুতার মানসিকতা বদলানো যায়। শেষ প্রস্তাব অর্থাৎ ২০ নম্বর দফায় বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনিদের আত্মসংকল্প ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি বাস্তবসম্মত পথ তৈরি করা হবে’, যা নির্ভর করবে পিএ সংস্কার ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের পরবর্তী আলোচনার ওপর।

এসব প্রতিশ্রুতি ফিলিস্তিনিদের কাছে আশার আলো জ্বালাতে পারে। পুনর্গঠন ও ত্রাণ কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে অনেকের জীবনেই নতুন শুরু আসতে পারে। ২০২৩ সালের পর থেকে গাজার জিডিপি অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল, নতুন কর্মসংস্থানের ফলে তা আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।

পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একে বলেছেন ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানের শুরু’। হামাসও মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর, তুরস্ক ও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘গাজার জনগণ অসম্ভব সাহস দেখিয়েছে। স্বাধীনতা ও আত্মসংকল্পের লক্ষ্যেই আমরা এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ সংগঠন বলেছে, ‘এই চুক্তি গাজার ত্যাগের ফল, কোনো দয়ার ফল নয়।’

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই জীবনযাপন শুরু করেছেন গাজাবাসী। ছবি: সংগৃহীত।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই জীবনযাপন শুরু করেছেন গাজাবাসী। ছবি: সংগৃহীত।

সারা বিশ্বে এই চুক্তির প্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ও অবাধ ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কায়া কালাস বলেছেন, এটি একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁ থেকে ভারতের মোদি পর্যন্ত বহু নেতা একে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির আশা’ হিসেবে দেখেছেন।

এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী আরব রাষ্ট্রগুলোও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। কাতার চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে। সৌদি আরব ১৯৬৭ সালের সীমান্তে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে। এমনকি ইরানও ‘গণহত্যা বন্ধে’ চুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ট্রাম্পকে ‘রাজনৈতিক সাহস দেখানোর জন্য’ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একে ‘মহান দিন’ অভিহিত করে বন্দিদের ফেরানোর জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছেন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন।

তবে ভেতরে ভেতরে বিভাজনও স্পষ্ট। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ কোনো পূর্ণ যুদ্ধবিরতি মানতে নারাজ। স্মোত্রিচের দাবি, ‘হামাসের সম্পূর্ণ বিনাশ’ ছাড়া কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনপন্থী গ্রিক অর্থনীতিবিদ ইয়ানিস ভারুফাকিস এই চুক্তি ‘অপর্যাপ্ত’ উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ইসরায়েলের দমনমূলক শাসনের সহযোগিতা বন্ধ করে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের দিকে যেতে হবে।

ইউটিউবের বিভিন্ন বিশ্লেষণমূলক চ্যানেলে একে ‘জিসিসি (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) স্টাইলের চুক্তি’ বলা হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনের ভূমিকা দুর্বল করে আরব ধনসম্পদের ওপর ইসরায়েলের নির্ভরতা বাড়াবে।

সব প্রতিক্রিয়াই ইঙ্গিত দেয় এই পরিকল্পনা একদিকে জীবনরক্ষাকারী সুযোগ, অন্যদিকে অসমতার নতুন কাঠামো হতে পারে। টেকসই সফলতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর। কিন্তু বেশ কিছু ঝুঁকির বিষয় স্পষ্ট। ‘বোর্ড অব পিস’-এর নেতৃত্বে ট্রাম্প থাকায় আশঙ্কা হচ্ছে, গাজা হয়তো একটি আধা-উপনিবেশে পরিণত হতে পারে। প্রশাসন চলবে, কিন্তু কার স্বার্থে?

২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিও ট্রাম্পের বড় অর্জন ছিল। কিন্তু সেই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের কোনো মতামত বা অংশগ্রহণ ছাড়াই আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নিজেদের বাদ পড়া বা উপেক্ষিত হওয়ার ধারণা আরও গভীর হয়।

২০২৩-এর ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান যৌক্তিক মনে হলেও এটি একতরফা নিরস্ত্রীকরণের ইঙ্গিত দেয়। ইসরায়েলের অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার ও পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি স্থাপন অক্ষতই রয়ে গেছে। চুক্তির ১৯ নম্বর দফায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এমন এক পথের কথা বলা হয়েছে, যা অস্পষ্ট ও আশা-নির্ভর। এটি অসলো চুক্তির ফাঁকা প্রতিশ্রুতিরই প্রতিধ্বনি।

ইতিহাস বলে, গাজার যুদ্ধবিরতি সব সময়ই অসম বাস্তবতায় ভেঙে পড়েছে। ২০১৪ সালের যুদ্ধবিরতি অবরোধে ধসে যায়। ২০২১ সালের নড়বড়ে শান্তিচুক্তি থেকেই জন্ম নেয় বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি। ট্রাম্প তাঁর পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও আরব সমর্থন কাজে লাগাচ্ছেন, কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে—হামাস কি সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণে রাজি হবে, আর ইসরায়েল কি স্থায়ীভাবে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হবে? বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, দ্বিতীয় ধাপে আইএসএফ মোতায়েন স্থিতিশীলতা আনতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলের অবৈধ বসতি ও পূর্ব জেরুজালেমের দাবির মতো গুরুতর বিষয়টি অমীমাংসিত থাকলে শান্তি কেবল বাহ্যিকই হবে।

ফিলিস্তিনিদের জন্য টেকসই শান্তি মানে শুধু ধ্বংসস্তূপ সরানো নয়, বরং প্রকৃত সার্বভৌমত্ব অর্জন। পরিকল্পনার আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক দিক যদি ভূমি ও সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা দিতে না পারে, তবে তা কেবল ‘ভূমধ্যসাগরের ধারে একটি দুবাই’ হয়ে দাঁড়াবে। যেখানে স্থানীয়রা শ্রমিক, মালিক নয়।

ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ বলেছে, বামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সরাসরি এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান যুক্তিহীন। যদিও এই ২০ দফা পরিকল্পনায় চূড়ান্ত সমাধানের রূপরেখা দুর্বল, তবুও এটি ধ্বংসযজ্ঞ ঠেকাতে সহায়ক হতে পারে। তবে আমেরিকান স্বাধীন রাজনৈতিক ও বিশ্লেষণধর্মী প্রকাশনা কাউন্টারপাঞ্চ একে আখ্যা দিয়েছে ‘চাপ প্রয়োগের রাজনীতি’ হিসেবে, যেখানে হামাসকে কোণঠাসা করা হচ্ছে, আর ইসরায়েলকে নিরাপদ রাখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের এই উদ্যোগ এক সূক্ষ্ম ভারসাম্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়িত হয়, অর্থাৎ আইএসএফ স্থিতিশীলতা আনে, কর্মসংস্থান বাড়ে এবং বিভাজন কমে, তাহলে এটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে পারে। এমনকি আঞ্চলিক শান্তির নতুন অধ্যায়ও শুরু হতে পারে। কিন্তু কঠোর বাস্তবায়ন ও উভয় পক্ষের জবাবদিহিতা ছাড়া, বিশেষ করে জাতিসংঘের বাধ্যতামূলক প্রস্তাবের মাধ্যমে ইসরায়েলকে দায়বদ্ধ না করলে এই চুক্তিও অতীতের মতোই ব্যর্থ হতে পারে।

ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি মানে কাগুজে নকশা বা বোর্ডরুমের সিদ্ধান্ত নয়, বরং ফিলিস্তিনের সম্মান ফিরিয়ে আনা, সীমান্ত পুনর্নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা হয়তো মানচিত্র দিয়েছে। কিন্তু পথচলা কঠিন। বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষতবিক্ষত এই ভূমিতে শান্তির আলো টিকে থাকতে হলে লাগবে দৃঢ় মনোবল। আপাতত, গাজার ভোরে আশা ক্ষীণ হলেও জ্বলছে। সেই আশাই হয়তো একদিন এই অঞ্চলকে নতুন ন্যায়ের সূর্যে জাগাবে।

লেখক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)

Ad 300x250

সম্পর্কিত