আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস
আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের খোঁজে ১৯৪৭ থেকে বহুবার রক্ত দিয়েছে এই বাংলার মানুষ। আদর্শ ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা কখনোই পায়নি। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও মানুষ গণতন্ত্রের জন্য পথ চেয়ে আছে। এই লেখায় স্লাভয় জিজেক দেখানোর চেষ্টা করেছেন, উদারতাবাদী বৈশ্বিক গণতন্ত্র থেকে আমাদের কেন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। লেখাটি জিজেক ২০১৭ সালে লিখলেও, গণতন্ত্রের প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য এখনো প্রাসঙ্গিক।
স্ট্রিম ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ভাষণ ছিল নিখাদ আদর্শবাদে ভরা। তিনি বলেছিলেন—আমি অবহেলিত ও শোষিত শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি। আমি তোমাদেরই কণ্ঠস্বর। তোমরাই এখন ক্ষমতায়। কিন্তু বাস্তবে তাঁর মন্ত্রিসভার মনোনয়নগুলো ছিল সেই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। উদাহরণস্বরূপ, রেক্স টিলারসনের মতো ধনীদের প্রতিনিধি কীভাবে শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠ হতে পারেন?
ট্রাম্প সমালোচনা করেছিলেন ওয়াশিংটনের অভিজাতদেরও। কিন্তু তিনি পুঁজিপতি বা বড় ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তিনি দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্ব-পুলিশের ভূমিকা নেবে না। অথচ তিনি মুসলিম সন্ত্রাসবাদ ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দেন। আবার কখনো বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ঠেকাবেন। চীনের দক্ষিণ চীন সাগরে দখল প্রতিরোধ করবেন। অর্থাৎ মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের মুখোশ ছাড়াই সরাসরি আমেরিকার স্বার্থে সামরিক হস্তক্ষেপ চলবে।
১৯৬০-এর দশকে পরিবেশ আন্দোলনের স্লোগান ছিল, ‘বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করো, স্থানীয়ভাবে পদক্ষেপ নাও!’ ট্রাম্প এর বিপরীত কাজ করতে চান—‘স্থানীয়ভাবে চিন্তা করো, বৈশ্বিকভাবে পদক্ষেপ নাও!’
বিশ শতকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলার প্রয়োজন ছিল না। সেটি ছিল স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু একুশ শতকে ট্রাম্প এ স্লোগান ব্যবহার করে দেখালেন যে আমেরিকার বৈশ্বিক আধিপত্য আরও নগ্ন ও কঠোর রূপ নেবে।
বামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্ব-পুলিশ’ ভূমিকার সমালোচনা করেছে। কিন্তু পরিহাসের ব্যাপার হলো, এখন হয়তো তারা আগের দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করতে বাধ্য হবে। কারণ, তখন ভণ্ডামী সত্ত্বেও আমেরিকা অন্তত বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মানদণ্ড চাপিয়ে দিত।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় ট্রাম্পের নীতি নয়, বরং নিজেদের পরাজয়ের প্রতি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া। তারা এই ঐতিহাসিক পরাজয়কে মোকাবিলা করতে গিয়ে দুটি চরমে অবস্থানের মধ্যে দোল খাচ্ছে। একদিকে, ট্রাম্পকে ‘বড় খারাপ নেকড়ে’ হিসেবে উপস্থাপন করে ভয় দেখানো। অন্যদিকে, পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক ভাবা এবং মনে করা যে বিশেষ কিছু ঘটেনি।
উদাহরণস্বরূপ, একদিকে এমএসএনবিসির ক্রিস ম্যাথিউস বলেন, তিনি ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণে ‘হিটলারের মতো’ কিছু দেখেছেন। অন্যদিকে, পলিটিকোর জন ব্রেসনাহান জানান, ন্যান্সি পেলোসি ‘বারবার এক দশক আগের ঘটনার কথা মনে করান। তার জন্য শিক্ষা স্পষ্ট, ভূতকালই ভবিষ্যতের প্রস্তাব। যা আগে কাজ করেছে, তা আবারও কাজ করবে। ট্রাম্প আর রিপাবলিকানরা বাড়াবাড়ি করবে। আর ডেমোক্র্যাটদের তখন সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
অন্যভাবে বলতে গেলে, ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়াকে শুধু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টদের নিয়মিত পরিবর্তনের একটি ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেমন রিগান—বুশ—ক্লিনটন—বুশ—ওবামা এবং এখন ট্রাম্প। এই দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের নির্বাচনের প্রকৃত তাৎপর্যকে উপেক্ষা করছে। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দুর্বলতাগুলো, যা এই বিজয়কে সম্ভব করেছে এবং এটি যে রাজনৈতিক পরিসর পুরোপুরি পুনর্গঠনের সংকেত দিচ্ছে, সেসব বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।
কিন্তু যদি ট্রাম্পের সংরক্ষণবাদ, বৃহৎ জনকল্যাণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প, অভিবাসীবিরোধী নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিস্থাপন কোনোভাবে কাজ করে, সাময়িকভাবে ভালো ফল দেয়, তাহলে কী হবে? এই আশঙ্কাই প্রকৃতপক্ষে ভয় দেখাচ্ছে বামপন্থী উদারপন্থীদের—যে ট্রাম্প কোনোভাবে বিপর্যয় না হয়ে, কিছুটা সফল হতে পারেন।
তবে আমি মনে করি, আমাদের এমন আতংকে আটকে যাওয়া উচিত হবে না। ট্রাম্প যদি কোনোভাবে সাফল্য দেখায়ও তবুও তাঁর নীতির ফলাফল সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে অস্পষ্টই থাকবে। আর খুব শীঘ্রই সাধারণ মানুষ সেই সফলতার ব্যথাও অনুভব করবে।
ট্রাম্পকে পরাস্ত করার একমাত্র উপায় হলো, লিবারেল গণতন্ত্রের মৃতদেহ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং একটি নতুন ধরনের বামপন্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই নতুন বামপন্থার কর্মসূচির উপাদানগুলোও কল্পনা করা সহজ।
ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন সমর্থিত বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নতুন বামপন্থার বিকল্প হতে পারে নতুন ও ভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তির একটি প্রকল্প। এসব চুক্তি ব্যাংকের ওপর জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত মান, শ্রমিক অধিকার, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গ ও জাতিগত সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করবে।
বিশ্বপুঁজিবাদের বড় শিক্ষা হলো, শুধু জাতিরাষ্ট্র একা এই কাজ করতে পারবে না। শুধু একটি নতুন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংগঠনই বিশ্বপুঁজিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
সাবেক এক কমিউনিস্টবিরোধী বামপন্থী আমাকে বলেছিলেন, স্ট্যালিনের একমাত্র ভালো দিক ছিলো তিনি পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। একইভাবে ট্রাম্পেরও একটি ভালো দিক হলো, তিনি উদারপন্থীদের সত্যিই ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পশ্চিমা শক্তিগুলো সোভিয়েত হুমকির জবাবে নিজেদের দুর্বলতার দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। এর ফলে তারা কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করতে পেরেছিল। আজকের বাম-উদারপন্থীরা কি এমন কিছু করতে সক্ষম হবেন?
লেখক: স্লোভেনিয়ান দার্শনিক ও মনোবিশ্লেষক।
(লেখাটি প্রখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ইন দিস টাইমস-এ ২০১৭ সালে প্রকাশিত। ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মাহবুবুল আলম তারেক)
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ভাষণ ছিল নিখাদ আদর্শবাদে ভরা। তিনি বলেছিলেন—আমি অবহেলিত ও শোষিত শ্রমজীবী মানুষের প্রতিনিধি। আমি তোমাদেরই কণ্ঠস্বর। তোমরাই এখন ক্ষমতায়। কিন্তু বাস্তবে তাঁর মন্ত্রিসভার মনোনয়নগুলো ছিল সেই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। উদাহরণস্বরূপ, রেক্স টিলারসনের মতো ধনীদের প্রতিনিধি কীভাবে শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠ হতে পারেন?
ট্রাম্প সমালোচনা করেছিলেন ওয়াশিংটনের অভিজাতদেরও। কিন্তু তিনি পুঁজিপতি বা বড় ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তিনি দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্ব-পুলিশের ভূমিকা নেবে না। অথচ তিনি মুসলিম সন্ত্রাসবাদ ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দেন। আবার কখনো বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ঠেকাবেন। চীনের দক্ষিণ চীন সাগরে দখল প্রতিরোধ করবেন। অর্থাৎ মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের মুখোশ ছাড়াই সরাসরি আমেরিকার স্বার্থে সামরিক হস্তক্ষেপ চলবে।
১৯৬০-এর দশকে পরিবেশ আন্দোলনের স্লোগান ছিল, ‘বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করো, স্থানীয়ভাবে পদক্ষেপ নাও!’ ট্রাম্প এর বিপরীত কাজ করতে চান—‘স্থানীয়ভাবে চিন্তা করো, বৈশ্বিকভাবে পদক্ষেপ নাও!’
বিশ শতকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলার প্রয়োজন ছিল না। সেটি ছিল স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু একুশ শতকে ট্রাম্প এ স্লোগান ব্যবহার করে দেখালেন যে আমেরিকার বৈশ্বিক আধিপত্য আরও নগ্ন ও কঠোর রূপ নেবে।
বামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্ব-পুলিশ’ ভূমিকার সমালোচনা করেছে। কিন্তু পরিহাসের ব্যাপার হলো, এখন হয়তো তারা আগের দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করতে বাধ্য হবে। কারণ, তখন ভণ্ডামী সত্ত্বেও আমেরিকা অন্তত বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মানদণ্ড চাপিয়ে দিত।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় ট্রাম্পের নীতি নয়, বরং নিজেদের পরাজয়ের প্রতি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া। তারা এই ঐতিহাসিক পরাজয়কে মোকাবিলা করতে গিয়ে দুটি চরমে অবস্থানের মধ্যে দোল খাচ্ছে। একদিকে, ট্রাম্পকে ‘বড় খারাপ নেকড়ে’ হিসেবে উপস্থাপন করে ভয় দেখানো। অন্যদিকে, পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক ভাবা এবং মনে করা যে বিশেষ কিছু ঘটেনি।
উদাহরণস্বরূপ, একদিকে এমএসএনবিসির ক্রিস ম্যাথিউস বলেন, তিনি ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণে ‘হিটলারের মতো’ কিছু দেখেছেন। অন্যদিকে, পলিটিকোর জন ব্রেসনাহান জানান, ন্যান্সি পেলোসি ‘বারবার এক দশক আগের ঘটনার কথা মনে করান। তার জন্য শিক্ষা স্পষ্ট, ভূতকালই ভবিষ্যতের প্রস্তাব। যা আগে কাজ করেছে, তা আবারও কাজ করবে। ট্রাম্প আর রিপাবলিকানরা বাড়াবাড়ি করবে। আর ডেমোক্র্যাটদের তখন সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
অন্যভাবে বলতে গেলে, ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়াকে শুধু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্টদের নিয়মিত পরিবর্তনের একটি ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যেমন রিগান—বুশ—ক্লিনটন—বুশ—ওবামা এবং এখন ট্রাম্প। এই দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের নির্বাচনের প্রকৃত তাৎপর্যকে উপেক্ষা করছে। অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দুর্বলতাগুলো, যা এই বিজয়কে সম্ভব করেছে এবং এটি যে রাজনৈতিক পরিসর পুরোপুরি পুনর্গঠনের সংকেত দিচ্ছে, সেসব বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।
কিন্তু যদি ট্রাম্পের সংরক্ষণবাদ, বৃহৎ জনকল্যাণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প, অভিবাসীবিরোধী নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিস্থাপন কোনোভাবে কাজ করে, সাময়িকভাবে ভালো ফল দেয়, তাহলে কী হবে? এই আশঙ্কাই প্রকৃতপক্ষে ভয় দেখাচ্ছে বামপন্থী উদারপন্থীদের—যে ট্রাম্প কোনোভাবে বিপর্যয় না হয়ে, কিছুটা সফল হতে পারেন।
তবে আমি মনে করি, আমাদের এমন আতংকে আটকে যাওয়া উচিত হবে না। ট্রাম্প যদি কোনোভাবে সাফল্য দেখায়ও তবুও তাঁর নীতির ফলাফল সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে অস্পষ্টই থাকবে। আর খুব শীঘ্রই সাধারণ মানুষ সেই সফলতার ব্যথাও অনুভব করবে।
ট্রাম্পকে পরাস্ত করার একমাত্র উপায় হলো, লিবারেল গণতন্ত্রের মৃতদেহ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং একটি নতুন ধরনের বামপন্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই নতুন বামপন্থার কর্মসূচির উপাদানগুলোও কল্পনা করা সহজ।
ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন সমর্থিত বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নতুন বামপন্থার বিকল্প হতে পারে নতুন ও ভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তির একটি প্রকল্প। এসব চুক্তি ব্যাংকের ওপর জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত মান, শ্রমিক অধিকার, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গ ও জাতিগত সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করবে।
বিশ্বপুঁজিবাদের বড় শিক্ষা হলো, শুধু জাতিরাষ্ট্র একা এই কাজ করতে পারবে না। শুধু একটি নতুন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংগঠনই বিশ্বপুঁজিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
সাবেক এক কমিউনিস্টবিরোধী বামপন্থী আমাকে বলেছিলেন, স্ট্যালিনের একমাত্র ভালো দিক ছিলো তিনি পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। একইভাবে ট্রাম্পেরও একটি ভালো দিক হলো, তিনি উদারপন্থীদের সত্যিই ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পশ্চিমা শক্তিগুলো সোভিয়েত হুমকির জবাবে নিজেদের দুর্বলতার দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। এর ফলে তারা কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করতে পেরেছিল। আজকের বাম-উদারপন্থীরা কি এমন কিছু করতে সক্ষম হবেন?
লেখক: স্লোভেনিয়ান দার্শনিক ও মনোবিশ্লেষক।
(লেখাটি প্রখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ইন দিস টাইমস-এ ২০১৭ সালে প্রকাশিত। ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মাহবুবুল আলম তারেক)
আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের খোঁজে ১৯৪৭ থেকে বহুবার রক্ত দিয়েছে এই বাংলার মানুষ। আদর্শ ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা কখনোই পায়নি। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও মানুষ গণতন্ত্রের জন্য পথ চেয়ে আছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা কেন বারবার হোঁচট খায়?
২৬ মিনিট আগেরাজশাহীর পবা উপজেলায় সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে। ঋণের দায়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মিনারুল ইসলাম নামে এক যুবকের আত্মহত্যার পর তাঁর বাবা রুস্তম আলী ছেলের চল্লিশায় ১২ শ লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াইছেন। আর খাওয়ানোর জন্য এ খরচ তিনি জোগাড় করেছেন ঋণ করে। কেন এই প্রদর্শনবাদিতার অংশ হলেন তিনি? এর পেছনে কারণ কী?
৩ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের খোঁজে ১৯৪৭ থেকে বহুবার রক্ত দিয়েছে এই বাংলার মানুষ। আদর্শ ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দেখা কখনোই পায়নি। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও মানুষ গণতন্ত্রের জন্য পথ চেয়ে আছে। এই লেখায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে, বৈশ্বিক গণতন্ত্রের বর্তমান পরিস্তিত
৩ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের আগস্ট থেকেই বেইজিং মিয়ানমারের বিপর্যস্ত জান্তা সরকারকে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন জুগিয়ে চলেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতায় ছিল মিন অং হ্লাইং-এর জান্তা সরকার। এমতাবস্থায় সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন এবং বেইজিংয়ের সামরিক কুচক
৪ ঘণ্টা আগে