স্ট্রিম ডেস্ক
আমরা এক বিশৃঙ্খল নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান প্রত্যক্ষ করছি। এ ব্যবস্থার তিন কারিগর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকাশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিরোধী। নতুন এই বিশ্বব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ ও একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশক পর্যন্ত টিকে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল অর্ডারের (এলআইও) সঙ্গে খুব বেশি মিলে না। মূল কারিগরেরা (খেলোয়াড়) একই থাকলেও তাদের ভূমিকা বদলে গেছে, যেমন বদলেছে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে আমরা এখন একটি ক্ষমতা-নির্ভর বিশ্ব দেখব, যার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে ভূরাজনীতি। বিশ্বজুড়ে মুক্ত বাণিজ্যের যুগ শেষ হয়ে গিয়ে এখন প্রতিটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি নিজেদের স্বার্থে আলাদা জোট তৈরি করছে, বাড়ছে আত্মনির্ভরতার ঝোঁক। অ্যানালগ বিশ্বের পরিবর্তে আমরা দেখব ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্ব, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতি অর্থনৈতিক জীবনে নির্ধারক ভূমিকা রাখবে, এমনকি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই রূপান্তর নিঃসন্দেহে আমাদের সময়ের প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা। এ প্রবণতা ইউরোপকে কেবল প্রভাবিত করবে না, বরং ইউরোপ আদৌ তার চেনা-জানা রূপে টিকে থাকবে কি না, সেটিও নির্ধারণ করতে পারে।
‘ইউরোপ’ কেবল একটি ভৌগোলিক পরিচয় নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা। অস্ত্র কিংবা সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, ইউরোপ গঠিত হয়েছে বিভিন্ন দেশের অভিন্ন ধারণা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার (এলআইও) এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পশ্চিম ইউরোপে এই ব্যবস্থার আদলে ইইউ গঠিত হয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে শত্রু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ঐক্য প্রকল্প হিসেবে অত্যন্ত সফল হয়েছিল ইইউ। এর সফলতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তার সরাসরি ভূমিকা ছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এলআইও ব্যবস্থার পতন যত স্পষ্ট হয়েছে, ততই গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে ইইউ। ২০১৬ সাল ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। ওই বছরই যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দেয় এবং মার্কিনিরা প্রথমবার ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। পেছনে তাকালে আমরা এখন বুঝি, এসব ঘটনাই সবকিছু বদলে দিয়েছিল।
চীনের উত্থান ও ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মঞ্চ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ব্রেক্সিট ও ট্রাম্পের চমকপ্রদ জয় তখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন এলআইও ব্যবস্থার মৃত্যুবার্তা হিসেবে দেখা না দিলেও বহুদিন ধরে লুকিয়ে থাকা বিপজ্জনক শক্তিগুলোকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই শক্তিগুলোর ক্ষমতা প্রকাশ পায়। এরপর আসে গত বছরের ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন। ফলে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার খুঁটিনাটি বিরোধের সমস্যার জায়গা নেয় ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সংহতি এবং সমগ্র ইউরোপজুড়ে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংহতি অর্জনের যৌথ প্রচেষ্টা।
লন্ডন, ব্রাসেলসসহ ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলোর নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক নেতারা বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। পুতিনের আগ্রাসী মনোভাব ও কর্মকাণ্ড ইউরোপীয় দেশগুলোকে আবারও একত্রে কাজ করতে বাধ্য করেছে। ইইউ সদস্য হোক বা না হোক, সবার নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন একই ভূরাজনৈতিক নৌকায় ঠাঁই নিয়েছে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইউরোপীয়দের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের হুমকির ঝুঁকি থেকে নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি ও ফ্রান্স—কোন দেশই বাদ যাবে না। কাজেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সবার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। ইউরোপীয় নেতা ও অধিকাংশ নাগরিক বুঝতে পারছেন, ট্রাম্প যদি ইউরোপের সামরিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আর না দেন এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেন, তবে ইউরোপকে নিজেদের সীমান্ত ও অস্তিত্ব রক্ষায় নিজস্ব ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুতিনের হুমকি ও ট্রাম্পের চাপের মুখে ইউরোপকে অবশ্যই নিজেদের স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। যদিও ইউরোপের উচিত যতদিন সম্ভব ট্রান্সআটলান্টিক অংশীদারত্ব বজায় রাখা, তবে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকাকে বাস্তবতা উপেক্ষা করে বিশ্বাস করা যাবে না। তাই ইউরোপের একটি বিকল্প পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে বা বাইরে—সব ইউরোপীয় দেশকে পুনরায় সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। আমেরিকা উপস্থিত বা অনুপস্থিত, উভয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতেও ইউরোপীয় দেশগুলোকে যতটা সম্ভব ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ জন্য ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ডের মতো বড় দেশ—যাদের প্রয়োজনীয় মানবিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে, তাদের যৌথ নেতৃত্ব প্রয়োজন।
বর্তমান বাস্তবতার মুখে আগের মতাদর্শিক পার্থক্যগুলো প্রায় অর্থহীন হয়ে গেছে। ইউরোপীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় এখন আর ইইউ সম্প্রসারণ বা একীকরণ কিংবা জাতীয় স্বাধীনতা নয়; এখন মূল বিষয় হলো ইউরোপের স্বাধীনতা রক্ষা করা ও অভিন্ন মূল্যবোধ ধরে রাখা।
প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে প্রকাশিত জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-চ্যান্সেলর ইয়োশকা ফিশারের মতামত অবলম্বনে অনুবাদ করেছেন তুফায়েল আহমদ
আমরা এক বিশৃঙ্খল নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান প্রত্যক্ষ করছি। এ ব্যবস্থার তিন কারিগর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকাশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিরোধী। নতুন এই বিশ্বব্যবস্থা বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ ও একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশক পর্যন্ত টিকে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল অর্ডারের (এলআইও) সঙ্গে খুব বেশি মিলে না। মূল কারিগরেরা (খেলোয়াড়) একই থাকলেও তাদের ভূমিকা বদলে গেছে, যেমন বদলেছে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পরিবর্তে আমরা এখন একটি ক্ষমতা-নির্ভর বিশ্ব দেখব, যার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে ভূরাজনীতি। বিশ্বজুড়ে মুক্ত বাণিজ্যের যুগ শেষ হয়ে গিয়ে এখন প্রতিটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি নিজেদের স্বার্থে আলাদা জোট তৈরি করছে, বাড়ছে আত্মনির্ভরতার ঝোঁক। অ্যানালগ বিশ্বের পরিবর্তে আমরা দেখব ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্ব, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতি অর্থনৈতিক জীবনে নির্ধারক ভূমিকা রাখবে, এমনকি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেও প্রভাবিত করতে পারে।
এই রূপান্তর নিঃসন্দেহে আমাদের সময়ের প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা। এ প্রবণতা ইউরোপকে কেবল প্রভাবিত করবে না, বরং ইউরোপ আদৌ তার চেনা-জানা রূপে টিকে থাকবে কি না, সেটিও নির্ধারণ করতে পারে।
‘ইউরোপ’ কেবল একটি ভৌগোলিক পরিচয় নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা। অস্ত্র কিংবা সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, ইউরোপ গঠিত হয়েছে বিভিন্ন দেশের অভিন্ন ধারণা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার (এলআইও) এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পশ্চিম ইউরোপে এই ব্যবস্থার আদলে ইইউ গঠিত হয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে শত্রু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ঐক্য প্রকল্প হিসেবে অত্যন্ত সফল হয়েছিল ইইউ। এর সফলতার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তার সরাসরি ভূমিকা ছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এলআইও ব্যবস্থার পতন যত স্পষ্ট হয়েছে, ততই গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে ইইউ। ২০১৬ সাল ছিল সবচেয়ে কঠিন সময়। ওই বছরই যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দেয় এবং মার্কিনিরা প্রথমবার ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। পেছনে তাকালে আমরা এখন বুঝি, এসব ঘটনাই সবকিছু বদলে দিয়েছিল।
চীনের উত্থান ও ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার মঞ্চ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। ব্রেক্সিট ও ট্রাম্পের চমকপ্রদ জয় তখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন এলআইও ব্যবস্থার মৃত্যুবার্তা হিসেবে দেখা না দিলেও বহুদিন ধরে লুকিয়ে থাকা বিপজ্জনক শক্তিগুলোকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই শক্তিগুলোর ক্ষমতা প্রকাশ পায়। এরপর আসে গত বছরের ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন। ফলে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার খুঁটিনাটি বিরোধের সমস্যার জায়গা নেয় ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সংহতি এবং সমগ্র ইউরোপজুড়ে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংহতি অর্জনের যৌথ প্রচেষ্টা।
লন্ডন, ব্রাসেলসসহ ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলোর নীতিনির্ধারক ও রাজনৈতিক নেতারা বুঝতে পারেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। পুতিনের আগ্রাসী মনোভাব ও কর্মকাণ্ড ইউরোপীয় দেশগুলোকে আবারও একত্রে কাজ করতে বাধ্য করেছে। ইইউ সদস্য হোক বা না হোক, সবার নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন একই ভূরাজনৈতিক নৌকায় ঠাঁই নিয়েছে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইউরোপীয়দের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের হুমকির ঝুঁকি থেকে নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি ও ফ্রান্স—কোন দেশই বাদ যাবে না। কাজেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সবার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। ইউরোপীয় নেতা ও অধিকাংশ নাগরিক বুঝতে পারছেন, ট্রাম্প যদি ইউরোপের সামরিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আর না দেন এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেন, তবে ইউরোপকে নিজেদের সীমান্ত ও অস্তিত্ব রক্ষায় নিজস্ব ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুতিনের হুমকি ও ট্রাম্পের চাপের মুখে ইউরোপকে অবশ্যই নিজেদের স্বাধীন প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। যদিও ইউরোপের উচিত যতদিন সম্ভব ট্রান্সআটলান্টিক অংশীদারত্ব বজায় রাখা, তবে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন আমেরিকাকে বাস্তবতা উপেক্ষা করে বিশ্বাস করা যাবে না। তাই ইউরোপের একটি বিকল্প পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে বা বাইরে—সব ইউরোপীয় দেশকে পুনরায় সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। আমেরিকা উপস্থিত বা অনুপস্থিত, উভয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
শুধু প্রতিরক্ষায় নয়, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতেও ইউরোপীয় দেশগুলোকে যতটা সম্ভব ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ জন্য ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ডের মতো বড় দেশ—যাদের প্রয়োজনীয় মানবিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে, তাদের যৌথ নেতৃত্ব প্রয়োজন।
বর্তমান বাস্তবতার মুখে আগের মতাদর্শিক পার্থক্যগুলো প্রায় অর্থহীন হয়ে গেছে। ইউরোপীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় এখন আর ইইউ সম্প্রসারণ বা একীকরণ কিংবা জাতীয় স্বাধীনতা নয়; এখন মূল বিষয় হলো ইউরোপের স্বাধীনতা রক্ষা করা ও অভিন্ন মূল্যবোধ ধরে রাখা।
প্রজেক্ট সিন্ডিকেটে প্রকাশিত জার্মানির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-চ্যান্সেলর ইয়োশকা ফিশারের মতামত অবলম্বনে অনুবাদ করেছেন তুফায়েল আহমদ
দেশের মানুষের ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক দিনপঞ্জিতে তারিখটিকে স্থায়ী করে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে এক বছর আগে–২০২৪-এর ৫ আগস্ট। সেদিন এদেশের কোটি কোটি মানুষের আত্মার সামষ্টিক আকুতিকে সাফল্যের আনন্দে ভাসিয়ে দিয়ে এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের পরিণতি এসেছিল।
৬ ঘণ্টা আগেফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ভাষায়, দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিশ্বাসের মাত্রার ওপর অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে।
১ দিন আগেকেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফার ডাক। পথে নেমে আসেন ছাত্র-জনতা—নাগরিকেরা। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক।
২ দিন আগেসম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রজ্ঞাপন আমার নজরে এল। প্রজ্ঞাপনটি হলো, রাত দশটার পর হলে ফিরলে ছাত্রীদের হলের সিট বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি তা দশটা এক মিনিট হলেও। অবাক করা প্রজ্ঞাপন বটে!
৩ দিন আগে