leadT1ad

পাশে দাঁড়িয়েই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩০
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাদিক কায়েম। পাশেই দাঁড়ানো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

শরিফ ওসমান হাদির হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ ৩ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। অনতিবিলম্বে এ তিন দফা দাবি না মানা হলে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন ডাকসু ভিপি।

মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। সাদিক কায়েম যখন কথা বলছিলেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাদিক কায়েম।

সাদিক কায়েম বলেন, ‘অনতিবিলম্বের আমাদের দাবি না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’

ডাকসু ভিপি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব ও হাদির ওপর হামলাকারীদের সমর্থনকারী সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদীদের অবিলম্বে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’

সাদিক কায়েম তিনটি দাবি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সকল সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সকল সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই হামলাকে সমর্থন যুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অনতিবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।’

দ্বিতীয় দাবিতে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সকল সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আর সহ্য করা হবে না।’

শেষ দাবিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্তদের ফেরত না দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।’

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত