ফিরে দেখা ২৮ জুলাই
২৮ জুলাই ২০২৪। এদিন আন্দোলনকারীরা দেয়ালে দেয়ালে জানিয়ে দেন ‘প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য’, ‘দেশটা কারো বাপের না’, ‘পুলিশের বর্বরতার বিচার চাই’। এদিন ডিবি হেফাজতে থাকা সমন্বয়কদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হয় ভিডিওবার্তা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রুদ্ধশ্বাস দিনগুলোয় ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে জন্ম নিয়েছে কত না সত্য গল্প। সেসব দিনে ফিরে দেখা।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজধানীর পলাশী মোড়। কিছু বিক্ষোভকারী চারপাশে ইতিউতি তাকাচ্ছে। ভালো করে পরখ করে নিচ্ছে জায়গাটা। চোখজোড়া চরকির মতো ঘুরছে। আশপাশে কোনো পুলিশ নেই তো?
তাদের হাতে ছবি আঁকার রংতুলি। সেটিই তখন যুদ্ধে লড়ার অস্ত্র। তাই দিয়েই নগরের দেয়ালগুলোয় তুলির আঁচড় দিতে লাগলেন শিল্পীরা। মাথার ওপর তখন খড়গের মতো গ্রেপ্তার-আতঙ্ক ঝুলছে। তবে যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন গ্রেপ্তারের চেয়েও বড় ভয় হলো বুলেটের। আঁকতে আঁকতেই হয়তো কোনো এক বুলেট এসে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে পারে মাথা।
কিন্তু এসব নিয়ে ভাবার আর সময় নেই। শিল্পীরা ততক্ষণে কাজে লেগে পড়েছেন। একে একে তাঁরা বিভিন্ন জিনিস আঁকলেন; লিখলেন গায়ের লোম খাড়া করা সব স্লোগান। তাঁদের হাতের রংতুলি প্রশ্ন তুলল, ‘আমার ভাইদের মারলি কেন?’
শুধু পলাশী নয়। গত বছরের ২৮ জুলাই দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় গ্রাফিতি ও দেয়াললিখনে নামেন আন্দোলনকারীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেদিনের কর্মসূচি ছিল এটি।
বিক্ষোভকারীরা সেদিন দেয়ালে দেয়ালে জানিয়ে দেন ‘প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য’। তাঁরা লেখেন, ‘লোহার টুপি মগজ খায়’, ‘দেশটা কারো বাপের না’, ‘পুলিশের বর্বরতার বিচার চাই’।
কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, বুর্জোয়ারা গণহত্যার দিকে তাকিয়ে চোখের পলকও ফেলেন না। কিন্তু সামান্য ইট-পাথরের গায়ে আঁচড় লাগলে তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মার্ক্সের সেই কথাকে বেদবাক্য মেনেই কি না, ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো স্টেশন দেখে কাঁদো কাঁদো হয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কাণ্ড দেখে আন্দোলনকারীরা এর নাম দেন ‘মেট্রোনোভূতি’। আর শুধু নাম দিয়েই ক্ষান্ত হননি তাঁরা। দেয়ালে দেয়ালে এই কথা সেঁটেও দেন। সঙ্গে তীব্র ভর্ৎসনার সুরে লেখেন, ‘মায়ের বুক খালি করে পাথর দেখে কাঁদো!’
২৮ তারিখ রাত ৯টার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে একটি ভিডিওবার্তা পাঠানো হয়। ডিবি কার্যালয়ে ধারণকৃত ওই ভিডিওতে ছয় সমন্বয়ককে দেখা যায়। সেই ভিডিওতেই নাহিদ ইসলামকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে দেখা যায়।
হাতে থাকা একটি কাগজ থেকে নাহিদ ইসলাম পাঠ করেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এদিন আরও দুই সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে আনা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল। ভিডিওবার্তায় নুসরাতকে দেখা গেলেও ছিলেন না আরিফ।
সেদিন ভিডিওবার্তাটি প্রকাশের পর রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আরেক সমন্বয়ক রিফাত রশীদ। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘সিনিয়ররা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, সমন্বয়কদের মাঝে এক গ্রুপকে তুলে নিয়ে গেলে বাকিরা নেতৃত্ব দেবে। কাউকে যদি আটক করে জোরপূর্বক কোনো বিবৃতি আদায় করা হয় তবে আমরা সেটা না মেনে যারা মাঠে থাকব, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
নাহিদ, আসিফ ও বাকের আগেই এ ব্যাপারে বলে গিয়েছিলেন জানিয়ে রিফাত লেখেন, ‘গণস্বাস্থ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে নাহিদ ভাই, আসিফ ভাই ও বাকের ভাই তিনজনই স্পষ্ট করে বলেছিল, “আমরা যদি না-ও থাকি আন্দোলন চালাইয়া নিবা, আন্দোলন যাতে থেমে না থাকে। আমাদের ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা যাবে, যারা বাইরে থাকবে তারাই অন-কমান্ডে থাকবে।” তাই সিনিয়রদের শেষ কথাগুলোকে বুকে ধারণ করেই আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জোরপূর্বক আদায় করা বিবৃতি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করছে।’
এ সময় রিফাতের সঙ্গে আরও দুই সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও আবদুল হান্নান মাসউদও ছিলেন। তাঁদের দুজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।
২৮ তারিখে কোটা আন্দোলনে নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে সরকার।
১০ দিন বন্ধ থাকার পর এদিন থেকে ফের চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে বিধিনিষেধ জারি রাখা হয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ওপর। এতদিন বন্ধ থাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহকদের তিন দিনের জন্য পাঁচ জিবি মোবাইল ডেটা দেওয়ার কথা জানান তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কিন্তু এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন, এতগুলো মানুষের হত্যাকে লুকিয়ে রাখার দাম কি এই পাঁচ জিবি মোবাইল ডেটা?
নিহতের সংখ্যা লুকোনো বা কমানোর চেষ্টা করছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আন্দোলনকে ঘিরে ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অথচ গণমাধ্যমগুলোর হিসেবে ততদিনে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
রাজধানীর পলাশী মোড়। কিছু বিক্ষোভকারী চারপাশে ইতিউতি তাকাচ্ছে। ভালো করে পরখ করে নিচ্ছে জায়গাটা। চোখজোড়া চরকির মতো ঘুরছে। আশপাশে কোনো পুলিশ নেই তো?
তাদের হাতে ছবি আঁকার রংতুলি। সেটিই তখন যুদ্ধে লড়ার অস্ত্র। তাই দিয়েই নগরের দেয়ালগুলোয় তুলির আঁচড় দিতে লাগলেন শিল্পীরা। মাথার ওপর তখন খড়গের মতো গ্রেপ্তার-আতঙ্ক ঝুলছে। তবে যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন গ্রেপ্তারের চেয়েও বড় ভয় হলো বুলেটের। আঁকতে আঁকতেই হয়তো কোনো এক বুলেট এসে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিতে পারে মাথা।
কিন্তু এসব নিয়ে ভাবার আর সময় নেই। শিল্পীরা ততক্ষণে কাজে লেগে পড়েছেন। একে একে তাঁরা বিভিন্ন জিনিস আঁকলেন; লিখলেন গায়ের লোম খাড়া করা সব স্লোগান। তাঁদের হাতের রংতুলি প্রশ্ন তুলল, ‘আমার ভাইদের মারলি কেন?’
শুধু পলাশী নয়। গত বছরের ২৮ জুলাই দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় গ্রাফিতি ও দেয়াললিখনে নামেন আন্দোলনকারীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেদিনের কর্মসূচি ছিল এটি।
বিক্ষোভকারীরা সেদিন দেয়ালে দেয়ালে জানিয়ে দেন ‘প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য’। তাঁরা লেখেন, ‘লোহার টুপি মগজ খায়’, ‘দেশটা কারো বাপের না’, ‘পুলিশের বর্বরতার বিচার চাই’।
কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, বুর্জোয়ারা গণহত্যার দিকে তাকিয়ে চোখের পলকও ফেলেন না। কিন্তু সামান্য ইট-পাথরের গায়ে আঁচড় লাগলে তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মার্ক্সের সেই কথাকে বেদবাক্য মেনেই কি না, ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো স্টেশন দেখে কাঁদো কাঁদো হয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কাণ্ড দেখে আন্দোলনকারীরা এর নাম দেন ‘মেট্রোনোভূতি’। আর শুধু নাম দিয়েই ক্ষান্ত হননি তাঁরা। দেয়ালে দেয়ালে এই কথা সেঁটেও দেন। সঙ্গে তীব্র ভর্ৎসনার সুরে লেখেন, ‘মায়ের বুক খালি করে পাথর দেখে কাঁদো!’
২৮ তারিখ রাত ৯টার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে একটি ভিডিওবার্তা পাঠানো হয়। ডিবি কার্যালয়ে ধারণকৃত ওই ভিডিওতে ছয় সমন্বয়ককে দেখা যায়। সেই ভিডিওতেই নাহিদ ইসলামকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে দেখা যায়।
হাতে থাকা একটি কাগজ থেকে নাহিদ ইসলাম পাঠ করেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, এদিন আরও দুই সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে আনা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল। ভিডিওবার্তায় নুসরাতকে দেখা গেলেও ছিলেন না আরিফ।
সেদিন ভিডিওবার্তাটি প্রকাশের পর রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আরেক সমন্বয়ক রিফাত রশীদ। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘সিনিয়ররা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল, সমন্বয়কদের মাঝে এক গ্রুপকে তুলে নিয়ে গেলে বাকিরা নেতৃত্ব দেবে। কাউকে যদি আটক করে জোরপূর্বক কোনো বিবৃতি আদায় করা হয় তবে আমরা সেটা না মেনে যারা মাঠে থাকব, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
নাহিদ, আসিফ ও বাকের আগেই এ ব্যাপারে বলে গিয়েছিলেন জানিয়ে রিফাত লেখেন, ‘গণস্বাস্থ্য থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগে নাহিদ ভাই, আসিফ ভাই ও বাকের ভাই তিনজনই স্পষ্ট করে বলেছিল, “আমরা যদি না-ও থাকি আন্দোলন চালাইয়া নিবা, আন্দোলন যাতে থেমে না থাকে। আমাদের ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা যাবে, যারা বাইরে থাকবে তারাই অন-কমান্ডে থাকবে।” তাই সিনিয়রদের শেষ কথাগুলোকে বুকে ধারণ করেই আমরা আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জোরপূর্বক আদায় করা বিবৃতি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করছে।’
এ সময় রিফাতের সঙ্গে আরও দুই সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও আবদুল হান্নান মাসউদও ছিলেন। তাঁদের দুজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।
২৮ তারিখে কোটা আন্দোলনে নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে সরকার।
১০ দিন বন্ধ থাকার পর এদিন থেকে ফের চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। তবে বিধিনিষেধ জারি রাখা হয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ওপর। এতদিন বন্ধ থাকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহকদের তিন দিনের জন্য পাঁচ জিবি মোবাইল ডেটা দেওয়ার কথা জানান তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কিন্তু এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলেন, এতগুলো মানুষের হত্যাকে লুকিয়ে রাখার দাম কি এই পাঁচ জিবি মোবাইল ডেটা?
নিহতের সংখ্যা লুকোনো বা কমানোর চেষ্টা করছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আন্দোলনকে ঘিরে ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অথচ গণমাধ্যমগুলোর হিসেবে ততদিনে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ই আগস্টের মধ্যেই তা ঘোষিত হবে। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণ–আকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
২৫ মিনিট আগেফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১০টা ৩ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে এক এক করে মোট ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহায়তা করেছে।
২ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের।
৫ ঘণ্টা আগেঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেইন বলেন, ‘আমি কড়া করে কিছু বলিনি। শুধু ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের কথা বলেছি। প্রচার চালানো হচ্ছে নিয়ম মানতে।’ তবে ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেননি।
১৭ ঘণ্টা আগে