কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন
কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, রৌমারীর চর শৌলমারী ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙন।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
‘নদীর ডাকে ডর নাগে। রাইতের বেলায় নাতি-নাতনি নিয়া গোমাইতে (ঘুমাতে) পারি না, কহুন যে বাড়ি নদীতে যায় হেরলাইগা ঘড় বাঙতেছি। আমার বেডা ডাহায় (ঢাকায়) গার্মিসে (গার্মেন্টস) চাকরি করে। বাইড়তে ছোডো ছোডো বেডা-বেডি আর মেছাল (মেয়ে) মানুষ ছাড়া কেউ নাই। এই বাড়িঘর কোনে নিয়া যামু, কিভাবে নিয়া যামু বুছতেছি না।’
কথাগুলো বলতে বলতে চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সাহের বানুর। তিনি কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর মতো অনেকেই নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ওই এলাকা ছাড়াছেন।
রৌমারীর চর শৌলমারী ও রাজিবপুরের কোদালকাটিতে গিয়ে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি, বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের কবলিত বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। একসঙ্গে পুরো গ্রামে ভাঙন আঘাত হানায় কেউ কাউকে সহযোগিতাও করতে পারছে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মধ্যেও।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, রৌমারীর চর শৌলমারী ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কোদালকাটি এলাকায় পাকা সড়কসহ বেশ কিছু বৈদ্যুুতিক খুঁটি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে।
বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে জেলার সবকটি নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দুধকুমার ও তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার কিছুটা ওপর দিয়ে, তবে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। এতে জেলার চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির পাশাপাশি কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলেও হিমশিম খাচ্ছে পাউবো।
জানা গেছে, নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ের দিকে চাপতে শুরু করে স্রোত। গত কয়েকদিনের ভাঙনে থেতরাই ইউনিয়নে প্রায় ১৫টি বাড়ি, চর শৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুরের প্রায় ১২টি বাড়ি ও কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী এলাকার প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে কৃষকের এক মাত্র অবলম্বন প্রায় ৫০ একর ফসলি জমিও।
রাজিবপুরের কোদালকাটি এলাকার খয়রাত জামান বলেন, ‘ভিটেমাটি সব নদীতে চলে গেছে। কুমিল্লা, টাঙ্গাইলে আমরা কামলা দিয়ে কোনোমতে জীবন চালাই। ঘর দুইটা ভাঙছি, এখন কোথাও গিয়ে যে বাড়ি করব, সে জায়গাও আমার নাই। রাস্তার পাশে আপাত হ্যাংলা (হেলান) দিয়া রাখছি, দেখি কারো জমিতে তোলা যায় কি না।’
পাউবোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বন্যা মৌসুমে কুড়িগ্রামে কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। রৌমারীর চর শৌলমারী ও রাজিবপুরের কোদালকাটিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। তবে পানি বেশি হওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো কিছু বরাদ্দ চলে এসেছে। আশা করছি ভাঙন রোধ করতে পারব।’
‘নদীর ডাকে ডর নাগে। রাইতের বেলায় নাতি-নাতনি নিয়া গোমাইতে (ঘুমাতে) পারি না, কহুন যে বাড়ি নদীতে যায় হেরলাইগা ঘড় বাঙতেছি। আমার বেডা ডাহায় (ঢাকায়) গার্মিসে (গার্মেন্টস) চাকরি করে। বাইড়তে ছোডো ছোডো বেডা-বেডি আর মেছাল (মেয়ে) মানুষ ছাড়া কেউ নাই। এই বাড়িঘর কোনে নিয়া যামু, কিভাবে নিয়া যামু বুছতেছি না।’
কথাগুলো বলতে বলতে চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সাহের বানুর। তিনি কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর মতো অনেকেই নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ওই এলাকা ছাড়াছেন।
রৌমারীর চর শৌলমারী ও রাজিবপুরের কোদালকাটিতে গিয়ে দেখা গেছে, নদী ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি, বসতভিটা ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের কবলিত বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। একসঙ্গে পুরো গ্রামে ভাঙন আঘাত হানায় কেউ কাউকে সহযোগিতাও করতে পারছে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মধ্যেও।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, রৌমারীর চর শৌলমারী ও উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কোদালকাটি এলাকায় পাকা সড়কসহ বেশ কিছু বৈদ্যুুতিক খুঁটি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে।
বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে জেলার সবকটি নদ-নদী পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দুধকুমার ও তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার কিছুটা ওপর দিয়ে, তবে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। এতে জেলার চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির পাশাপাশি কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এসব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলেও হিমশিম খাচ্ছে পাউবো।
জানা গেছে, নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড়ের দিকে চাপতে শুরু করে স্রোত। গত কয়েকদিনের ভাঙনে থেতরাই ইউনিয়নে প্রায় ১৫টি বাড়ি, চর শৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুরের প্রায় ১২টি বাড়ি ও কোদালকাটি ইউনিয়নের পাইকান্টারী এলাকার প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে কৃষকের এক মাত্র অবলম্বন প্রায় ৫০ একর ফসলি জমিও।
রাজিবপুরের কোদালকাটি এলাকার খয়রাত জামান বলেন, ‘ভিটেমাটি সব নদীতে চলে গেছে। কুমিল্লা, টাঙ্গাইলে আমরা কামলা দিয়ে কোনোমতে জীবন চালাই। ঘর দুইটা ভাঙছি, এখন কোথাও গিয়ে যে বাড়ি করব, সে জায়গাও আমার নাই। রাস্তার পাশে আপাত হ্যাংলা (হেলান) দিয়া রাখছি, দেখি কারো জমিতে তোলা যায় কি না।’
পাউবোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বন্যা মৌসুমে কুড়িগ্রামে কয়েকটি জায়গায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। রৌমারীর চর শৌলমারী ও রাজিবপুরের কোদালকাটিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। তবে পানি বেশি হওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো কিছু বরাদ্দ চলে এসেছে। আশা করছি ভাঙন রোধ করতে পারব।’
দেশে বর্তমানে ৩০৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে সক্রিয়ভাবে উৎপাদনে আছে প্রায় ২৫০টি কোম্পানি। বাপির প্রাথমিক জরিপে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, শুধু শীর্ষ ৪৫টি কোম্পানিরই প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে গেছে।
৯ মিনিট আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ‘বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দিচ্ছে না কাতার’ শীর্ষক খবরকে ‘একেবারেই গুজব’ বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, কাতারের শ্রমবাজার যথারীতি চালু আছে এবং এ ধরনের মিথ্যা তথ্য মহলবিশেষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।
২২ মিনিট আগেচলতি বছরের ১ অক্টোবর লিবিয়া প্রবাসী মো. হাসান আশরাফ (সামায়ূন) ওরফে হাসান মোল্লা নামে একজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজ থেকে ঘটনা সামনে আসা শুরু হয়। হাসানের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে।
২৪ মিনিট আগেদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা ‘চরম নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেছে গণসংহতি আন্দোলন। সরকারের ‘নির্বিকার’ ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে দলটি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
৪৩ মিনিট আগে