leadT1ad

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের ফুল ও কাঁটা

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ২৭
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৪৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংগৃহীত ছবি

অভূতপূর্ব এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হয়। পরে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙক্ষা ছিল অনেক। সবাই ভেবেছিল, এই সরকার দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাবে। তাই এই এক বছর ছিল সদ্য স্বৈরাশাসনমুক্ত একটি দেশের জন্য নানা চ্যালেঞ্জ, সংকট ও সম্ভাবনার বছর। এতে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল আনতে পারেনি। ফুলের সুবাসের পাশাপাশি কাঁটারও আঘাত ছিল।

ক্ষমতার পালাবদলের সেই দিনগুলো

২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন অল্প সময়ের মধ্যেই সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। সে সময় সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন ৮৩৬ জন। অন্যদিকে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, শহিদের সংখ্যা প্রায় ১৪০০-এর কাছাকাছি।

৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করার মুহূর্ত। সংগৃহীত ছবি
৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করার মুহূর্ত। সংগৃহীত ছবি

৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করার পর একটি সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। ৮ আগস্ট এই সরকার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

সাফল্যের খেরোখাতা: এক বছরে অর্জন

২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব তিনটি–গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। চলতি বছরের ২৪ মে এক বিবৃতিতে একই কথা পুনরাবৃত্তি করে উপদেষ্টা পরিষদ।

এই তিনটি দায়িত্বের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিনে বেশ কিছু বক্তব্য এসেছে সরকারের তরফ থেকে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বরাতে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু আজ থেকে। দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে নির্বাচন সুন্দরভাবে করা।

এর আগে ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা- নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।’

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বহুল আকাঙ্খিত জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।’

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

এ ছাড়া জুলাই সনদের কাজ চলছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

রাষ্ট্র সংস্কারে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে ছিল–-সংবিধান, বিচার, নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, শ্রম, স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলো ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, এই ১১ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন থেকে আইন উপদেষ্টা ১২১টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার সুপারিশ করেছিলেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে ১৬টি । প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৮৫টি সুপারিশ। ১০টির আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি ১০টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

আর বিচারের প্রসঙ্গে প্রেস সচিব জানান, চারটি মামলার বিচার শুরু হয়েছে, ২৭টি তদন্ত পর্যায়ে আছে ও ১৬টি মামলার চার্জশিট হয়েছে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। গত বছরের জুনের তুলনায় এ বছরের জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে তিন দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। ২০২৪ সালের জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট খাদ্য মূলস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক চার দুই শতাংশ। এ বছরের জুনে তা কমে হয়েছে সাত দশমিক তিন নয় শতাংশ। শুধু খাদ্য মূল্যস্ফীতি নয়, কমেছে সাধারণ মূল্যস্ফীতিও। গত বছরের জুন মাসে সাধারণ মুল্যস্ফীতি যেখানে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, চলতি বছরের জুনে সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে। এটি গত প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে।

গত অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ৩০৩৩ কোটি ডলার। এতে রপ্তানি আয়ে প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে টাকার মান আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েকবার আলোচনা করে বাংলাদেশ। ফলে এ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।  স্ট্রিম গ্রাফিক
বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্ট্রিম গ্রাফিক

গতকাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অন্তর্বর্তী সরকারের ১২টি সাফল্য দাবি করে পোস্ট দেন প্রেস সচিব শফকুল আলম। এগুলো হলো, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, অর্থনীতির পুনরুদ্ধার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জুলাই সনদ, জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের বিচার, নির্বাচনী রোডম্যাপ ও সংস্কার, প্রতিষ্ঠানিক ও আইনি সংস্কার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট অধিকার, পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য, প্রবাসী ও শ্রমিক অধিকার, শহীদ ও আহতদের সহায়তা, সমুদ্রসম্পদ ও অবকাঠামো উন্নয়ন।

গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে: টিআইবি

গত এক বছরে সরকার বহু সাফল্য অর্জন করলেও বেশ কিছু জায়গায় আশানুরূপ ফল আনতে পারেনি বলে মত নানা বিশ্লেষকের।

গত ৪ আগস্ট এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেদিন রাজধানীর ধানমন্ডিতে এ বিষয়ক একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করা হয়। ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে গত এক বছরে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়টি উঠে আসে। বলা হয়, এক বছরে ৪৭১টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১২১ জন নিহত হয়েছেন।

গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে জানিয়ে টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে মৌলিক সংস্কারের পরিবর্তে কেবল পদোন্নতি, পদায়ন ও বদলির বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এক বছরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। খুন, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ, আন্দোলন, লুটপাট, অরাজকতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বা মব জাস্টিসের উত্থান আমরা লক্ষ্য করেছি।’

মো. জুলকারনাইন আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়োগকৃত বিচারক ও কৌঁসুলিদের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনা রয়েছে। তাঁদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এবং কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও ঢালাও মামলা, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট মামলা না দেওয়ার ফলে মামলার ভিত্তি দুর্বল হয়েছে। এবং এ কারণে মামলার প্রতিবেদন তৈরিতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে।’

৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতির অবনতির পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায় দেখছে টিআইবি। স্ট্রিম ছবি
৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতির অবনতির পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায় দেখছে টিআইবি। স্ট্রিম ছবি

বাধার মুখে অন্তর্বর্তী সরকার

গত ২৪ মে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জানায়, তাদের দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য ও কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।’

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরস্থিতির অবনতির পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায় দেখছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। ৪ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ট্র্যাডিশনাল বা কনভেনশনাল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে যারা ছিলেন, তাদের একাংশের মধ্যে দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে গ্রেপ্তার বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অনাচার, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব–এটা কিন্তু ঠিক ৫ আগস্টের বিকেলবেলা থেকেই আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি এবং পুরো বছরই সেটা অব্যাহত ছিলো, ঘনীভূত হয়েছে আরও ব্যাপকভাবে। কোনো কোনো দল উচ্চ পর্যায় থেকে ঘোষণা দিয়েছেন, তার বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন, অনেককেই দল থেকে বহিষ্কার করেছেন কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রিত হয়নি। নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি দলগুলো। সেই দায় দলগুলোকে নিতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত