কামরুল হাসান
জুলাই সনদে সই অনুষ্ঠানের একদিন বাকি থাকলেও গণভোট এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। ভিন্নমত কাটাতে আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ৩২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে সেখানেও ঐকমত্য হয়নি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জুলাই সনদে সই।
বৈঠক শেষে বামজোটের চারটি দল এবং তাদের জোটসঙ্গী গণফোরাম জানায়, অঙ্গীকারনামায় পরিবর্তন করা না হলে জুলাই সনদ তারা সই করবে না। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানায়, ১৭ অক্টোবর নির্ধারিত অনুষ্ঠানে তারা জুলাই সনদে সই করবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে জামায়াত বলেছে, তারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও বামপন্থী কয়েকটি দল জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নির্ধারিত অনুষ্ঠানে সনদে সই করবে।
সভা শুরুর বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় সনদের কপি শুধু অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়—এই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সরকারকেও অনুরোধ জানানো হবে, যেন এটি নাগরিক পর্যায়ে বিতরণের ব্যবস্থা করে।’
জুলাই সনদের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত রয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। যদিও জাতীয় সনদে সব তথ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে, তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের লক্ষ্য—একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন আয়োজন। জুলাই সনদ ও নির্বাচন সরাসরি সম্পর্কিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার সমগ্র জাতির দাবি, বিএনপিও সেই সংস্কার চায়।’
বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। ঐকমত্য কমিশনের কাজই ছিল এসব ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা। গণভোটের মাধ্যমে একই দিনে জাতীয় নির্বাচনের সময় জনগণের সম্মতি নেওয়া যেতে পারে। আর যে দল জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘স্বাক্ষর নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তা দেখি না। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি, ইনশা আল্লাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব।’
তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে দলের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, গণভোট নির্বাচনের আগে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হোক। কারণ, একদিনে দুই ভোট হলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে জুলাই সনদ ও নির্বাচন সরাসরি সম্পর্কিত নয়—এ বিষয়ে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, ‘গণভোট হচ্ছে সংস্কার-সংক্রান্ত। আর জাতীয় নির্বাচন একটি রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচনের আগেই জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি। তাই আমরা নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের কথা বলেছি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনও নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন বলেন, ‘আমরা চাই, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জাতির কাছে স্পষ্ট করা হোক। কেবল সনদ স্বাক্ষর করলেই চলবে না—কীভাবে এটি আইনি ভিত্তি পাবে, গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সংবিধানে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে—এসব বিষয় পরিষ্কার না হলে সনদ কার্যকর হবে না।’
এনসিপির পক্ষে আখতার হোসেন প্রস্তাব দেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ’ বা ‘সংবিধান সংস্কার আদেশ’ নামে একটি অধ্যাদেশ যেন জারি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত গণভোটের প্রশ্ন এবং বাস্তবায়ন কাঠামো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তাই আমরা স্বাক্ষর করব কি করব না—তা কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও সরকারের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করছে।’ তাই আমরা স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।
এ দিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে কেউ সংকট সৃষ্টি করলে ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবে। কারণ, ঐক্যের ভাঙন মানে আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসা।’
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমাদের দাবি—জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের গণভোট একই দিনে হোক। আমরা ইতিবাচকভাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এছাড়া গণঅধিকারের পক্ষে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁন—দুজনই সই করবেন বলে
এ দিকে বামজোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ জানিয়েছেন, বাসদ, সিপিবি, জাসদ (বাংলাদেশ), বাসদ (মার্কসবাদী) এবং গণফোরাম অঙ্গীকারনামায় কিছু সংশোধন না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না। তাঁর মতে, জুলাই সনদের কিছু ধারায় নীতি ও বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে ‘দলীয় প্রাধান্য’ বজায় রয়েছে, যা ‘সর্বসম্মত ঐকমত্যের’ পরিপন্থী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, আবার কিছু বিষয়ে ভিন্নমতও (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। তবে এগুলোর মীমাংসা হবে গণভোটের মাধ্যমেই।’
জুনায়েদ সাকি ব্যাখ্যা করেন, ‘গণভোটে জনগণ পুরো জুলাই সনদ—এর ঐকমত্য অংশ ও নোট অব ডিসেন্টসহ—হ্যাঁ বা না ভোটে অনুমোদন দেবেন। সেই অনুমোদনই ভবিষ্যৎ সংসদকে সংবিধান সংস্কারের ক্ষমতা দেবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। ৫০ বছরের ইতিহাসে এভাবে দলীয় বিভাজন পেরিয়ে রাষ্ট্রসংস্কার নিয়ে এমন আলোচনা নজিরবিহীন। ১৭ অক্টোবরের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্যের নতুন অধ্যায় হবে। সেখানে তাদের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক সব দল সই করবে। স্বাক্ষরের পর এটি সরকারের দায়িত্ব—কীভাবে এটি আইনি রূপ দেবে।’
এদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রধান উপদেষ্টার কাছে সরাসরি ‘রুলিং’ চেয়ে জানতে চান, গণভোট নভেম্বরে হবে, নাকি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘যেহেতু সব দলের বক্তব্য শেষ, এখন জনগণের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনি জানিয়ে দেন, আমরা মেনে নেব।’
জুলাই সনদে সই অনুষ্ঠানের একদিন বাকি থাকলেও গণভোট এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। ভিন্নমত কাটাতে আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ৩২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে সেখানেও ঐকমত্য হয়নি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জুলাই সনদে সই।
বৈঠক শেষে বামজোটের চারটি দল এবং তাদের জোটসঙ্গী গণফোরাম জানায়, অঙ্গীকারনামায় পরিবর্তন করা না হলে জুলাই সনদ তারা সই করবে না। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানায়, ১৭ অক্টোবর নির্ধারিত অনুষ্ঠানে তারা জুলাই সনদে সই করবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে জামায়াত বলেছে, তারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও বামপন্থী কয়েকটি দল জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) নির্ধারিত অনুষ্ঠানে সনদে সই করবে।
সভা শুরুর বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় সনদের কপি শুধু অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়—এই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সরকারকেও অনুরোধ জানানো হবে, যেন এটি নাগরিক পর্যায়ে বিতরণের ব্যবস্থা করে।’
জুলাই সনদের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত রয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। যদিও জাতীয় সনদে সব তথ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে, তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের লক্ষ্য—একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নির্বাচন আয়োজন। জুলাই সনদ ও নির্বাচন সরাসরি সম্পর্কিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার সমগ্র জাতির দাবি, বিএনপিও সেই সংস্কার চায়।’
বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে, সেখানে নোট অব ডিসেন্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। ঐকমত্য কমিশনের কাজই ছিল এসব ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা। গণভোটের মাধ্যমে একই দিনে জাতীয় নির্বাচনের সময় জনগণের সম্মতি নেওয়া যেতে পারে। আর যে দল জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘স্বাক্ষর নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তা দেখি না। আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি, ইনশা আল্লাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকব।’
তবে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে দলের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, গণভোট নির্বাচনের আগে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হোক। কারণ, একদিনে দুই ভোট হলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এর সাথে জুলাই সনদ ও নির্বাচন সরাসরি সম্পর্কিত নয়—এ বিষয়ে একমত পোষণ করে তিনি বলেন, ‘গণভোট হচ্ছে সংস্কার-সংক্রান্ত। আর জাতীয় নির্বাচন একটি রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচনের আগেই জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি। তাই আমরা নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের কথা বলেছি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনও নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন বলেন, ‘আমরা চাই, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জাতির কাছে স্পষ্ট করা হোক। কেবল সনদ স্বাক্ষর করলেই চলবে না—কীভাবে এটি আইনি ভিত্তি পাবে, গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সংবিধানে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে—এসব বিষয় পরিষ্কার না হলে সনদ কার্যকর হবে না।’
এনসিপির পক্ষে আখতার হোসেন প্রস্তাব দেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ’ বা ‘সংবিধান সংস্কার আদেশ’ নামে একটি অধ্যাদেশ যেন জারি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত গণভোটের প্রশ্ন এবং বাস্তবায়ন কাঠামো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তাই আমরা স্বাক্ষর করব কি করব না—তা কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত ও সরকারের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করছে।’ তাই আমরা স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।
এ দিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে কেউ সংকট সৃষ্টি করলে ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবে। কারণ, ঐক্যের ভাঙন মানে আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসা।’
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমাদের দাবি—জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের গণভোট একই দিনে হোক। আমরা ইতিবাচকভাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এছাড়া গণঅধিকারের পক্ষে দলের সভাপতি নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁন—দুজনই সই করবেন বলে
এ দিকে বামজোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ জানিয়েছেন, বাসদ, সিপিবি, জাসদ (বাংলাদেশ), বাসদ (মার্কসবাদী) এবং গণফোরাম অঙ্গীকারনামায় কিছু সংশোধন না হলে সনদে স্বাক্ষর করবে না। তাঁর মতে, জুলাই সনদের কিছু ধারায় নীতি ও বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে ‘দলীয় প্রাধান্য’ বজায় রয়েছে, যা ‘সর্বসম্মত ঐকমত্যের’ পরিপন্থী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে, আবার কিছু বিষয়ে ভিন্নমতও (নোট অব ডিসেন্ট) রয়েছে। তবে এগুলোর মীমাংসা হবে গণভোটের মাধ্যমেই।’
জুনায়েদ সাকি ব্যাখ্যা করেন, ‘গণভোটে জনগণ পুরো জুলাই সনদ—এর ঐকমত্য অংশ ও নোট অব ডিসেন্টসহ—হ্যাঁ বা না ভোটে অনুমোদন দেবেন। সেই অনুমোদনই ভবিষ্যৎ সংসদকে সংবিধান সংস্কারের ক্ষমতা দেবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। ৫০ বছরের ইতিহাসে এভাবে দলীয় বিভাজন পেরিয়ে রাষ্ট্রসংস্কার নিয়ে এমন আলোচনা নজিরবিহীন। ১৭ অক্টোবরের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্যের নতুন অধ্যায় হবে। সেখানে তাদের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক সব দল সই করবে। স্বাক্ষরের পর এটি সরকারের দায়িত্ব—কীভাবে এটি আইনি রূপ দেবে।’
এদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রধান উপদেষ্টার কাছে সরাসরি ‘রুলিং’ চেয়ে জানতে চান, গণভোট নভেম্বরে হবে, নাকি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘যেহেতু সব দলের বক্তব্য শেষ, এখন জনগণের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনি জানিয়ে দেন, আমরা মেনে নেব।’
নীলফামারীর ১৭ বছর বয়সী কিশোরী জাফরিন এক দিনের জন্য এসিআই লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার কামরুল হাসানের পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনানী এলাকার ১৩ নং রোডের সি ব্লকের একটি বাসা থেকে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) সাজ্জাত রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বনানী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে। নির্বাচনে মোট ভোটের ৬০ শতাংশ কাস্টিং হয়েছে বলে জানা যায়।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের মুদ্রাবাজারে নকল নোট প্রবেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর নগদ লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বড় অংকের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেল ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৬ ঘণ্টা আগে