leadT1ad

ভূমিকম্পে হেলে পড়া ধামরাইয়ের সেই ভবন ভাঙা শুরু

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সাভার, ঢাকা

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৮
ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। স্ট্রিম ছবি

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে ধামরাই পৌরসভার ঢুলিভিটা এলাকার ধানসিঁড়ি হাউজিং প্রকল্পে মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনটি ভাঙা শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।

২০২৪ সালের মে মাসে ভবনটি আংশিক হেলে পড়ে। গতকাল শুক্রবারের ভূমিকম্পে আরও বেশি হেলে। ঢাকা স্ট্রিমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর শুরু হয় তোড়জোড়।

ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন। স্ট্রিম ছবি
ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন। স্ট্রিম ছবি

ভবনের মালিক ও স্থানীয়রা জানান, হাউজিং প্রকল্পে পাশাপাশি দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। দুই ভবনের মাঝখানে ১০ ফুট জায়গায় করিডরের মতো আরেকটি চার তলা ভবন করা হয়। এই অংশের ভেতর দিয়ে পেছনের দিকে মূল ভবনে ঢুকতে হয়। করিডরের মতো অংশ পাশের ছয় তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে।

ভবন মালিকের ছেলে মোহাম্মদ মোনায়েম বলেন, ‘আগেই এটি ভাঙার পরিকল্পনা ছিল। প্রশাসন যেটুকু বলবে, সেটুকু ভাঙতাম। কিন্তু শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য দ্রুত ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছি। শনিবার সকাল থেকে ভাঙার কাজ চলছে, দ্রুত শেষ হবে।’

জানা যায়, প্লটটিতে ছয় তলা ভবন করার অনুমতি ছিল। এর মধ্যে সেটি দুটি প্লট আকারে বিক্রি করেন মালিক। চার শতাংশের একটি অংশ কিনে নেন মো. রফিক। তিনি সেখানে তিন তলা ভবন করেন। আর পেছনের দুই শতাংশ জমি কিনে মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন নির্মাণ করেন চার তলা ভবন।

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। স্ট্রিম ছবি
ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ভূমিকম্পে হেলে পড়া চার তলা ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। স্ট্রিম ছবি

এছাড়া তিন তলা ভবন ও পাশের ছয় তলা ভবনের মাঝখানে সড়কের মতো প্রায় ১০ ফুট চওড়া এবং ৪২ ফুট লম্বা জমি কিনে সেখানে করিডরের মতো বর্ধিত চার তলা সংযুক্ত ভবন নির্মাণ করেন জিয়াউদ্দিন। সেটিই ২০২৪ সালে প্রথম হেলে পড়ে। আর শুক্রবার এটি পুরোপুরি কাৎ হয়ে যায়। প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার সকাল থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলছে মালিকপক্ষ।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর আমরা ওখানে লোক পাঠাই। পরিদর্শনের পর ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত