.png)
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা

স্ট্রিম প্রতিবেদক

গত চার দশকে ঢাকা শহরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পরিমাণ সাত গুণ বেড়েছে। একই সময়ে হারিয়ে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাশয় এবং ভূমির তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ’ এসব তথ্য জানায়। প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ‘প্রকৃতিবিহীন ঢাকা? প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক টেকসই নগর ভাবনার পুনর্বিচার’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শহরের ভূ-তাপমাত্রা বেড়েছে উল্লেখ করে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ বলেন, ঢাকার ভূ-তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে ঢাকার কোনো কোনো এলাকাতেই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেই। ঢাকার শ্যামপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, রামপুরা ও দারুসসালামসহ বেশ কিছু এলাকা ভয়াবহ গরমের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা প্রায়শই ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। ঢাকার মোট ৫০টি থানার ৩৭টিই এখন নিরাপদ নির্মাণসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকায় জলাশয়ের তথ্য তুলে ধরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ বলেন, ১৯৮০ থেকে এ পর্যন্ত ঢাকার ৬০ শতাংশ জলাশয় বিলুপ্ত হয়েছে। অবশিষ্ট জলাশয়গুলো শহরের মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এলাকাজুড়ে। এ ছাড়া সূত্রাপুর, মিরপুর, গেন্ডারিয়া, কাফরুলসহ বেশ কিছু এলাকা প্রায় জলাশয়শূন্য। ৫০টির মধ্যে কেবল ৬টি থানা ন্যূনতম জলাশয়ের পরিমাণ পূরণ করতে পারছে।
গবেষণা পরিচালক ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা হবে ২ দশমিক ৫ কোটি। বর্তমানে গাছপালার হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ, জলাশয় ৪ থেকে ৫ শতাংশ, আর তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ঢাকার প্রকৃতি ধ্বংসের মুখোমুখি। সিঙ্গাপুর ও সিউলের মতো নগরীগুলো গাছপালার পরিমাণ ৩০ থেকে ৪৭ শতাংশ বজায় রাখে। এমনকি দিল্লি ও জাকার্তাও ঢাকার চেয়ে এগিয়ে। শুধু পাকিস্তানের করাচি ঢাকার নিচে, আমরাও সে পথে এগিয়ে চলেছি। ঢাকাকে করাচি করতে না চাইলে সিঙ্গাপুরের মতো প্রকৃতিভিত্তিক শহরের মডেল গ্রহণ করতে হবে।’
জাকির হোসেন আরও বলেন, উন্নয়নের নামে ঢাকার প্রকৃতি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সমুদ্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার প্রজাতির প্রাণী। আমাদের শহরের দূষণ দিন দিন বাড়ছে। বায়ুদূষণের কারণে ঢাকায় কী পরিমাণ ইনহেলার বিক্রি বেড়েছে, এটা খেয়াল করলেই তা বোঝা যায়।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আহ্বান জানিয়েছে, জলাশয় ও বনাঞ্চল দখল করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করা, ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ডিএপি) সংস্কার, পরিবেশগত বাফার ও সংকটপূর্ণ এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা, জলাশয় পুনরুদ্ধার করা ও কমিউনিটিগুলোকে প্রকৃতির রক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে।
এম. জাকির হোসেন খান পরিচালনায় গত ৪৪ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র ও নগর তাপমাত্রা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা এই গবেষণায় সহায়তা করেছেন সাবরিন সুলতানা ও মো. ফুয়াদ হাসান।

গত চার দশকে ঢাকা শহরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পরিমাণ সাত গুণ বেড়েছে। একই সময়ে হারিয়ে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ জলাশয় এবং ভূমির তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ’ এসব তথ্য জানায়। প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ‘প্রকৃতিবিহীন ঢাকা? প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক টেকসই নগর ভাবনার পুনর্বিচার’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শহরের ভূ-তাপমাত্রা বেড়েছে উল্লেখ করে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ বলেন, ঢাকার ভূ-তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে ঢাকার কোনো কোনো এলাকাতেই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেই। ঢাকার শ্যামপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, রামপুরা ও দারুসসালামসহ বেশ কিছু এলাকা ভয়াবহ গরমের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা প্রায়শই ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। ঢাকার মোট ৫০টি থানার ৩৭টিই এখন নিরাপদ নির্মাণসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকায় জলাশয়ের তথ্য তুলে ধরে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ বলেন, ১৯৮০ থেকে এ পর্যন্ত ঢাকার ৬০ শতাংশ জলাশয় বিলুপ্ত হয়েছে। অবশিষ্ট জলাশয়গুলো শহরের মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এলাকাজুড়ে। এ ছাড়া সূত্রাপুর, মিরপুর, গেন্ডারিয়া, কাফরুলসহ বেশ কিছু এলাকা প্রায় জলাশয়শূন্য। ৫০টির মধ্যে কেবল ৬টি থানা ন্যূনতম জলাশয়ের পরিমাণ পূরণ করতে পারছে।
গবেষণা পরিচালক ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা হবে ২ দশমিক ৫ কোটি। বর্তমানে গাছপালার হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ, জলাশয় ৪ থেকে ৫ শতাংশ, আর তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। ঢাকার প্রকৃতি ধ্বংসের মুখোমুখি। সিঙ্গাপুর ও সিউলের মতো নগরীগুলো গাছপালার পরিমাণ ৩০ থেকে ৪৭ শতাংশ বজায় রাখে। এমনকি দিল্লি ও জাকার্তাও ঢাকার চেয়ে এগিয়ে। শুধু পাকিস্তানের করাচি ঢাকার নিচে, আমরাও সে পথে এগিয়ে চলেছি। ঢাকাকে করাচি করতে না চাইলে সিঙ্গাপুরের মতো প্রকৃতিভিত্তিক শহরের মডেল গ্রহণ করতে হবে।’
জাকির হোসেন আরও বলেন, উন্নয়নের নামে ঢাকার প্রকৃতি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সমুদ্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হাজার প্রজাতির প্রাণী। আমাদের শহরের দূষণ দিন দিন বাড়ছে। বায়ুদূষণের কারণে ঢাকায় কী পরিমাণ ইনহেলার বিক্রি বেড়েছে, এটা খেয়াল করলেই তা বোঝা যায়।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ আহ্বান জানিয়েছে, জলাশয় ও বনাঞ্চল দখল করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করা, ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ডিএপি) সংস্কার, পরিবেশগত বাফার ও সংকটপূর্ণ এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা, জলাশয় পুনরুদ্ধার করা ও কমিউনিটিগুলোকে প্রকৃতির রক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে।
এম. জাকির হোসেন খান পরিচালনায় গত ৪৪ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র ও নগর তাপমাত্রা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা এই গবেষণায় সহায়তা করেছেন সাবরিন সুলতানা ও মো. ফুয়াদ হাসান।
.png)

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭৫ সাল আলোচিত, ঘটনাবহুল ও অস্থির একটি বছর। একদলীয় বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে ওই বছরের প্রথম দিকে অন্য সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক কর্মকর্তার নেতৃত্বে সংঘটিত হয় একটি রক্তাক্ত সেনা-অভ্যুত্থান। এতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।
১৪ মিনিট আগে
রাজশাহীতে চলতি বছরের ১০ মাসে নতুন করে ২৮ জনের দেহে এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই পুরুষ। এ ছাড়া একজন আছেন তৃতীয় লিঙ্গের। আর এই সময়ের মধ্যে নিরাময় অযোগ্য ব্যাধিটিতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কথা প্রায়শ শোনা যায়। তবে মাইকিং করে ভাইকে মারামারিতে আহ্বান জানানোর ঘটনা একটু অভাবনীয়ই। সেই কাজই করেছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বৈরীহরিণমারী গ্রামের আব্দুল কদ্দুস মিয়া।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার, ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। দিনটিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার যৌথ অভ্যুত্থানে দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটেছিল।
৩ ঘণ্টা আগে