leadT1ad

জাকসু নির্বাচন প্রত্যাখ্যান শিক্ষক নেটওয়ার্কের, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৯
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের লোগো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। পাশাপাশি এই নির্বাচনে ওঠা নানা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তও চেয়েছে সংগঠনটি। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনটি পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপরই বর্তায়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ‘নানা কারসাজি’ উন্মোচন হওয়া জরুরি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, জাকসু নির্বাচন একদিকে যেমন ছিল ত্রুটিপূর্ণ, তেমনই বিতর্কিত। একজন তরুণ শিক্ষককে তার জীবন দিয়ে অব্যবস্থাপনায় ভরা নির্বাচনটির এই প্রক্রিয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই এর অদক্ষতা, লোকবল বাড়াতে অনীহা, সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব, প্রার্থী বিশেষের প্রতি বিরূপতা ইত্যাদি বিবেচনা করলে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পটভূমিতে মারাত্মক অদক্ষতার একটা পরিবেশ আমরা দেখতে পাই।

জাকসু নির্বাচনের ১৬টি সমস্যা চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সেগুলো বিবৃতিতে তুলেও ধরা হয়েছে।

সমস্যাগুলো হলো—ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা ও ব্যালট, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ভিপিপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল করা, ব্যালট পেপার ছাপানোর পর ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স হলে হলে পাঠানোর অভিযোগ, নির্বাচনের আগের রাত আড়াইটায় পোলিং এজেন্ট রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া, ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া এবং ছাত্রীদের হল পরিদর্শনে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া, নির্ধারিত ভোটারের চাইতে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ, অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়া, ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় বৈধ শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ভোট দিতে পারেনি ও জাল ভোটের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়া কয়েকটি হলের একাধিক প্রার্থীর নাম ছাপা না হওয়া বা কয়জন সদস্যকে ভোট দিতে হবে সেই নির্দেশনায় ভুল অংক লেখা থাকা, নির্ধারিত সময়ে সকল হলে ভোট প্রদান শেষ না হওয়া, ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনায় প্রশ্ন ওঠায় হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্তের পর বাস্তব পদ্ধতি অনুসরণ না করা, নির্বাচনে নানা দায়িত্বে থাকা তিনজনের নির্বাচনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ ও অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়ার অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া ও নির্বাচনের দিন দুপুরের পর এইসব অভিযোগ তুলে অংশগ্রহণকারী ৮টি প্যানেলের মধ্যে ৫টি প্যানেলের নির্বাচন বর্জন করা, ক্যাম্পাসে সকল খাবার দোকান ও চা এর দোকান বন্ধ রাখা ও নির্বাচনের দিন দুপুরের পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেইটে জড়ো হওয়া, পাঁচজনের নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করার পর তিনজন কমিশনারের সইয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যেকোনো প্রকারে একটি দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সমস্ত মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী, রিটানিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনারদের বর্জন, পদত্যাগ ও সমস্ত অভিযোগকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত