leadT1ad

ডাকসুকে কেন্দ্র করে ৬ দফা দাবি প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫৭
ছয় দফা দাবিতে প্রতিরোধ পর্ষদের সংবাদ সম্মেলন। সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) কেন্দ্র করে ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল। আজ রোববার বেলা একটার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো জানান এ প্যানেলের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই যে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেছেন বিভিন্ন পরিষদের নেতারা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনে, নির্বাচন কমিশনের সামনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেছে, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কথা বলছে না। এখান এই ধরনের ঘটনা ঘটতেছে যে অবাধ টাকার খেলা শুরু হয়ে গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এখন প্রতিনিয়ত গিফট বিতরণ হচ্ছে। কাদেরকে গিফট দিচ্ছে? কোনো কোনো ক্ষেত্রে গিফটের ক্ষেত্রে ধর্মীয় উপহারগুলো সংযুক্ত করছে। যাতে ধর্ম নিয়ে, ধর্মকে নিয়ে মানুষকে ব্যবহার করতে পারে।’

দাবি ছয়টি হলো

১। যেসব ব্যক্তি অতীতে শিক্ষার্থী নিপীড়ন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হামলাসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ বা গুরুতর অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।

২। বর্তমান কেন্দ্র সংখ্যা সীমিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া জরুরি। এ ছাড়া আবাসিক হলগুলির নিকটবর্তী ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে ভোট দিতে পারেন।

৩। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বা পরপরই পরীক্ষা থাকায় অনেক প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে পাঁচ থেকে এগারোই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকল পরীক্ষা স্থগিত রেখে কেবল ক্লাস চালু রাখতে হবে।

৪। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাগুলিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যে কলাভবনের সামনে মঞ্চ করে কোরআন বিতরণ, মিছিলের মাধ্যমে ফর্ম তোলা, ফর্ম উত্তোলনে বাধা দেয়া, নিয়ম ভঙ্গ করে বিলবোর্ড বা ব্যানার প্রদর্শন করা, বিভিন্ন হল বা মসজিদে প্রচারণা ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।

৫। ভোটারদের সুবিধার্থে প্রার্থীদের নামের পাশে তাঁদের ছবি সংযুক্ত করতে হবে, যাতে বিভ্রান্তির সুযোগ না থাকে।

৬। অনেকের জন্য স্বল্প সময়ে হল কার্ড করা বা কার্ড নবায়ন করা কষ্টসাধ্য। তাই ভোটদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বৈধ ডকুমেন্ট থাকার ভিত্তিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা দরকার।

এ দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় প্যানেলটির পক্ষ থেকে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত