.png)

স্ট্রিম সংবাদদাতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের হিজাব পরা একটি ছবি নিয়ে এক শিক্ষকের পোস্ট ঘিরে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। এ পোস্ট ‘পর্দার অবমাননা’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিও জানান তারা।
সোমবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে রাকসু নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারসহ উপস্থিত কয়েকশো শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন নবনির্বাচিত রাকসু হল সংসদ প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে বোরখা-হিজাব পরা ছবি নিয়ে পোস্ট করেন। কিছুক্ষণ পর ডিলিটও করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টের স্ক্রিনশট বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক শুরু হয়। রাতেই ‘পর্দা অবমাননার’ প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আ-আল মামুন ডিলিট করা পোস্টে লেখা ছিল, ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার (প্যান্ট), আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’

এ প্রসঙ্গে রাকসুর মহিলা সম্পাদক সায়েদা হাফসা বলেন, ‘হিজাব পরেও নারীরা যখন অপ্রতিরোধ্য, তখন একটা পক্ষ তাদের বাধা দিয়ে, কটূক্তি করে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের ছবি যুক্ত করে বলেছেন, টু কোয়ার্টার ও মদের বোতল নিয়ে ক্লাসে আসতে চান। টু কোয়ার্টার আর মদের বোতল কি সমাজ মূল্যায়ন করে? একইভাবে বোরখাকে নিয়ে কী সামাজিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়? তিনি যা করতে চেয়েছেন, এখন তা করে দেখাক। এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে বহিষ্কার করতে হবে।’
রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘যদি তার মেরুদণ্ড সোজা থাকেন অবশ্যই অবশ্যই তিনি বিভাগে মদের বোতল ও হাফ পেন্ট পরে আসবেন, অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শোকজ করবে। আমরা তাঁর বিভাগের সামনে অবস্থান নেবো। তিনি তিন সেকেন্ড ধরে পোস্ট রেখেছিলেন, নাকি তিন মিনিট রেখেছিলেন; তা আমাদের বোঝার বিষয় নয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের বোনেরা ছিলের না। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বোনেরা ছিলেন। তাই শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, হিজাবের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, মুসলমানের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে।’

আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আগামীকাল (আজ) ৯টা থেকে অবস্থান করবো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে। জনাব আল মামুন সাহেব, আপনার বর্ণনা করা অবস্থায় আগামীকাল বিভাগে আসবেন। আপনার পোশাকের স্বাধীনতা দেখতে চাই। হিজাব ইস্যু যেহেতু সামনে এসেছে। এটার একটা এন্ডিং টানা প্রয়োজন। এখনো অনেক ডিপার্টমেন্টেই নিকাবের জন্য কটূক্তি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা নীতিমালা প্রণয়ন না করলে এটা থামবে না। যেমনটা ঢাবিতে করেছে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষক আ-আল মামুন তার বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে ব্যখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই পোস্টে কি কিছু রিয়াকশন আছে? নাই। এই পোস্ট কতক্ষণ ছিল, ছিল ৩ সেকেন্ড হয়তো। হিজাবের বিরুদ্ধে কথা ছিল? না। পোশাকের স্বাধীনতার কথা ছিল! আমি একজন একাডেমিশিয়ান, আমি বিচিত্র উপায়ে নোট নেই এবং ভাবি। পরে বিস্তারিত লিখি। পোশাক নিয়ে আমার ভাবনা পোস্ট করেই পারসনালাইজ করে রাখলাম। কিন্তু উন্মত্ত শাবকরা জাল পেতে বসে থাকে আপনাকে বিপদে ফেলার জন্য! কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার, অপরের বিপদ তৈরি করা মানে, বিপদের এক অসীম বাস্তবতা জারি রাখা হয়!’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের হিজাব পরা একটি ছবি নিয়ে এক শিক্ষকের পোস্ট ঘিরে উত্তাল হয়েছে ক্যাম্পাস। এ পোস্ট ‘পর্দার অবমাননা’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিও জানান তারা।
সোমবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে রাকসু নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারসহ উপস্থিত কয়েকশো শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন নবনির্বাচিত রাকসু হল সংসদ প্রতিনিধিদের শপথ অনুষ্ঠানে বোরখা-হিজাব পরা ছবি নিয়ে পোস্ট করেন। কিছুক্ষণ পর ডিলিটও করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টের স্ক্রিনশট বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক শুরু হয়। রাতেই ‘পর্দা অবমাননার’ প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
আ-আল মামুন ডিলিট করা পোস্টে লেখা ছিল, ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার (প্যান্ট), আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’

এ প্রসঙ্গে রাকসুর মহিলা সম্পাদক সায়েদা হাফসা বলেন, ‘হিজাব পরেও নারীরা যখন অপ্রতিরোধ্য, তখন একটা পক্ষ তাদের বাধা দিয়ে, কটূক্তি করে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিদের ছবি যুক্ত করে বলেছেন, টু কোয়ার্টার ও মদের বোতল নিয়ে ক্লাসে আসতে চান। টু কোয়ার্টার আর মদের বোতল কি সমাজ মূল্যায়ন করে? একইভাবে বোরখাকে নিয়ে কী সামাজিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়? তিনি যা করতে চেয়েছেন, এখন তা করে দেখাক। এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে বহিষ্কার করতে হবে।’
রাকসু জিএস সালাউদ্দিন আম্মার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘যদি তার মেরুদণ্ড সোজা থাকেন অবশ্যই অবশ্যই তিনি বিভাগে মদের বোতল ও হাফ পেন্ট পরে আসবেন, অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শোকজ করবে। আমরা তাঁর বিভাগের সামনে অবস্থান নেবো। তিনি তিন সেকেন্ড ধরে পোস্ট রেখেছিলেন, নাকি তিন মিনিট রেখেছিলেন; তা আমাদের বোঝার বিষয় নয়। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের বোনেরা ছিলের না। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত বোনেরা ছিলেন। তাই শিক্ষার্থীদের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, হিজাবের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে, মুসলমানের অস্তিত্বে আঘাত লেগেছে।’

আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আগামীকাল (আজ) ৯টা থেকে অবস্থান করবো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে। জনাব আল মামুন সাহেব, আপনার বর্ণনা করা অবস্থায় আগামীকাল বিভাগে আসবেন। আপনার পোশাকের স্বাধীনতা দেখতে চাই। হিজাব ইস্যু যেহেতু সামনে এসেছে। এটার একটা এন্ডিং টানা প্রয়োজন। এখনো অনেক ডিপার্টমেন্টেই নিকাবের জন্য কটূক্তি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা নীতিমালা প্রণয়ন না করলে এটা থামবে না। যেমনটা ঢাবিতে করেছে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষক আ-আল মামুন তার বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে ব্যখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই পোস্টে কি কিছু রিয়াকশন আছে? নাই। এই পোস্ট কতক্ষণ ছিল, ছিল ৩ সেকেন্ড হয়তো। হিজাবের বিরুদ্ধে কথা ছিল? না। পোশাকের স্বাধীনতার কথা ছিল! আমি একজন একাডেমিশিয়ান, আমি বিচিত্র উপায়ে নোট নেই এবং ভাবি। পরে বিস্তারিত লিখি। পোশাক নিয়ে আমার ভাবনা পোস্ট করেই পারসনালাইজ করে রাখলাম। কিন্তু উন্মত্ত শাবকরা জাল পেতে বসে থাকে আপনাকে বিপদে ফেলার জন্য! কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার, অপরের বিপদ তৈরি করা মানে, বিপদের এক অসীম বাস্তবতা জারি রাখা হয়!’
.png)

খসড়া আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ডাকের অধীনে একটি ‘নিয়ন্ত্রণ উইং’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই উইং বাণিজ্যিক ডাক ও কুরিয়ার অপারেটরদের লাইসেন্স দেবে এবং তাদের কার্যক্রম তদারকি করবে। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
১০ মিনিট আগে
‘আমি বরং অবাক হয়েছি যে, আপনাদের মধ্যে অনেক সিনিয়র পুরনো সাংবাদিক ছিলেন, কিন্তু কেউ এই প্রশ্নটি তুলেননি। যেহেতু তিনি (ভারতের পররাষ্ট্র সচিব) সুযোগ দিয়েছেন, আপনারা যদি বিব্রত করতে না চান, তখনও সুযোগে প্রশ্নটি করা উচিত ছিল,’ বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি গ্রাম থেকে সোমবার রাতে শেখ মিফতা ফাইজাকে আটক করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধানের পদে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত পত্র সকল জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
৩ ঘণ্টা আগে