leadT1ad

২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতি তার গতিপথ হারিয়েছিল: জামায়াত

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

বক্তৃতা করছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। স্ট্রিম ছবি

আজ থেকে উনিশ বছর আগে বাংলাদেশের রাজনীতি তার গতিপথ হারিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত নেতারা। তারা বলেছেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নৃশংস ও নিষ্ঠুর রাজনীতির সূচনা করেছিল।’

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতের সমাবেশে লগি-বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের হামলা ও হত্যার ঘটনার বিচার দাবিতে রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর দুটি এলাকায় পৃথক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররমে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মহানগর দক্ষিণের নেতারা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন বলেছেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতি তার গতিপথ হারিয়েছিল। ওইদিন আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল জামায়াত ও শিবিরের ওপর। ওইদিনই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আওয়ামী লীগ।’

নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘লাশের ‍ওপরে নৃত্য করার মতো এমন নৃশংস ঘটনা আর পৃথিবী দেখে নাই। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ যারা করেছে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডের মামলাকে মেরে ফেলেছে। এই মৃত মামলাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার করতে হবে।’

জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। স্ট্রিম ছবি
জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। স্ট্রিম ছবি

অন্যদিকে বায়তুল মোকাররমের সমাবেশে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরতা ও নৃশংসতা দেখানো হয়েছে। হাসিনাসহ চৌদ্দ দলের মেনন, ইনুকে বিচারের আওতায় আনার জন্য হয় সরকারের আইন মন্ত্রণালয়কে এই মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, তা নাহলে বিদ্যমান ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব নিতে হবে, এই হত্যাকাণ্ডের পুরো তদন্ত হোক। এই ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার করা হোক।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন, নভেম্বরের ১৫ দিনে বিক্ষোভ, হরতাল, ঘেরাও। আমরা সরকারের স্বরাষ্ট্র ও আইন উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাকে বলবো, এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের প্রহসনের পাঁয়তারা করছেন। একই দিনে গণভোট যারা করতে চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের ঘটনায় শুধু শেখ হাসিনা নয়, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ চৌদ্দ দলের খুনিরা জড়িত। ওই দিন সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের চৌদ্দজন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।’

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ওই দিন ছিল চারদলীয় জোটের ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন। কথা ছিল, বিএনপি তাদের অফিসের সামনে আর জামায়াত বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করবে। কিন্তু এর দুদিন আগেই শেখ হাসিনা সারাদেশের তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার জন্য আহ্বান জানায়।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত