রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (রাকসু) প্রথম কার্যনির্বাহী অধিবেশন শেষে ১২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এসময় আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাকসু তহবিলের পূর্ণাঙ্গ হিসাব দেখানোর দাবি করা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাকসু তহবিলের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রদর্শন করতে হবে। নির্বাচনের পর থেকেই প্রশাসনের কাছে রাকসুর তহবিলের হিসাব চাওয়া হলেও তা এখনো প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে অধিবেশনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা ১৫ দিনের মধ্যে গত ৩৫ বছরের তহবিলের বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস. এম. সালমান সাব্বির। তিনি জানান, প্রথম অধিবেশনে এক মাসের জন্য ১২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—রাকসু তহবিলের যথাযথ হিসাব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসাইনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের জন্য রোডম্যাপ তৈরি, সমাজ স্বীকৃত পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা (আল মামুন ইস্যু), প্রত্যেক হলে পানির ফিল্টার মেশিন স্থাপন এবং একাডেমিক ভবনে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন।
এ ছাড়াও ছাত্রী হলের সামনে ফার্মেসি, সুপারশপ ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত, মহিলা জিমনেসিয়াম চালু, হল ও একাডেমিক ভবনে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত, আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচিগুলো এক মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সব কর্মসূচিই রাকসু তহবিলের ওপর নির্ভরশীল নয়। অনেক উদ্যোগ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আছে। তাই আমরা আশা করি, এক মাসের মধ্যেই অধিকাংশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।