স্ট্রিম প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ও সিলেটের মাঝামাঝি এলাকায় কিছু ভূতাত্ত্বিক চ্যূতি রয়েছে। সেখানে জমা আছে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি। আজ সকালে (শুক্রবার) নরসিংদী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তা এর সংযোগস্থলেই হয়েছে। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় স্ট্রিমকে এসব কথা বলেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার স্ট্রিমকে জানান, বাংলাদেশে স্মরণকালে এত তীব্র মাত্রার ঝাঁকুনি কেউ অনুভব করেনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদী।
অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার স্ট্রিমকে বলেন, ‘৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের নরসিংদীতে। মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরতায়। এর ইন্টেনসিটি হচ্ছে এলাকা ভেদে ৫ থেকে ৬। অনেক বিল্ডিংয়ের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা।’
বাংলাদেশকে এই ভূমিকম্প বিশেষ কোনো বার্তা দিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দিচ্ছে। আমরা যা বলে সাবধান করেছিলাম তাই হতে যাচ্ছে। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়ে আছে, এটা সেটারই একটি আলামত। আজকের ভূমিকম্পটা তো সেই প্লেটের সংযোগস্থলেই হয়েছে।’
অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে, এটা ৭ বা সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়নি। কিন্তু অতি নিকটেই এমন মাত্রার ভূমিকম্প আবার হতে পারে। যেহেতু শক্তি জমা হয়ে আছে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার, আমাদের গবেষণায় দেখেছি, তাহলে এই শক্তিটাকে তো বের হতে হবে। আজ মোটামুটি একটা বড় মাত্রার শক্তি, ছয় মাত্রার, বের হলো। আরও কয়েক হাজার গুণ শক্তি এখনো জমা হয়ে আছে। ওই শক্তিটাও যে বের হবে, আজকের ভূমিকম্প সেটারই আলামত। আজকের ভূমিকম্পটা ওই সংযোগস্থলেই হয়েছে।’
এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের করণীয় জানতে চাইলে অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘মানুষের করণীয় সম্পর্কে তো বহু আগে থেকে বলে আসছি, সেটা তো সরকারগুলো মানছে না। মানুষও সেটা নিয়ে ভাবছে না। ভূমিকম্পের সময় কীভাবে দুয়েক কদমের মধ্যে নিজেকে নিরাপদস্থলে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে সেটার মহড়া দিতে হবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়। অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তর অক্ষাংশ ২৩ দশমিক ৭৭ ডিগ্রি এবং পূর্ব দ্রাঘিমা ৯০ দশমিক ৫১ ডিগ্রি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগারগাঁও কেন্দ্র থেকে এর দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার পূর্বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটিকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এই মাত্রার ভূমিকম্পে ভবন দুলে ওঠা, দরজা-জানালা কেঁপে ওঠা, তাক বা আসবাবের জিনিস নড়ে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। দুর্বল ভবনে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে, তবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে।

চট্টগ্রাম ও সিলেটের মাঝামাঝি এলাকায় কিছু ভূতাত্ত্বিক চ্যূতি রয়েছে। সেখানে জমা আছে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি। আজ সকালে (শুক্রবার) নরসিংদী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তা এর সংযোগস্থলেই হয়েছে। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় স্ট্রিমকে এসব কথা বলেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার স্ট্রিমকে জানান, বাংলাদেশে স্মরণকালে এত তীব্র মাত্রার ঝাঁকুনি কেউ অনুভব করেনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদী।
অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার স্ট্রিমকে বলেন, ‘৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের নরসিংদীতে। মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরতায়। এর ইন্টেনসিটি হচ্ছে এলাকা ভেদে ৫ থেকে ৬। অনেক বিল্ডিংয়ের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা।’
বাংলাদেশকে এই ভূমিকম্প বিশেষ কোনো বার্তা দিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দিচ্ছে। আমরা যা বলে সাবধান করেছিলাম তাই হতে যাচ্ছে। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়ে আছে, এটা সেটারই একটি আলামত। আজকের ভূমিকম্পটা তো সেই প্লেটের সংযোগস্থলেই হয়েছে।’
অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘ভাগ্য ভালো যে, এটা ৭ বা সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়নি। কিন্তু অতি নিকটেই এমন মাত্রার ভূমিকম্প আবার হতে পারে। যেহেতু শক্তি জমা হয়ে আছে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার, আমাদের গবেষণায় দেখেছি, তাহলে এই শক্তিটাকে তো বের হতে হবে। আজ মোটামুটি একটা বড় মাত্রার শক্তি, ছয় মাত্রার, বের হলো। আরও কয়েক হাজার গুণ শক্তি এখনো জমা হয়ে আছে। ওই শক্তিটাও যে বের হবে, আজকের ভূমিকম্প সেটারই আলামত। আজকের ভূমিকম্পটা ওই সংযোগস্থলেই হয়েছে।’
এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের করণীয় জানতে চাইলে অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘মানুষের করণীয় সম্পর্কে তো বহু আগে থেকে বলে আসছি, সেটা তো সরকারগুলো মানছে না। মানুষও সেটা নিয়ে ভাবছে না। ভূমিকম্পের সময় কীভাবে দুয়েক কদমের মধ্যে নিজেকে নিরাপদস্থলে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে সেটার মহড়া দিতে হবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়। অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে উত্তর অক্ষাংশ ২৩ দশমিক ৭৭ ডিগ্রি এবং পূর্ব দ্রাঘিমা ৯০ দশমিক ৫১ ডিগ্রি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগারগাঁও কেন্দ্র থেকে এর দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার পূর্বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটিকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এই মাত্রার ভূমিকম্পে ভবন দুলে ওঠা, দরজা-জানালা কেঁপে ওঠা, তাক বা আসবাবের জিনিস নড়ে যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। দুর্বল ভবনে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে, তবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে।

একটি ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার প্রায় ৩৫ শতাংশ ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকি ঠেকাতে এখনই সব আবাসিক ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী।
২ ঘণ্টা আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যতদিন আলেম-ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত হবে না, ততদিন দেশে শান্তি-সুখ আসতে পারে না।’ এ কারণে তিনি আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে তাঁদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর পলাশে ভূমিকম্পের সময় মাটির দেওয়াল ধসে কাজিম আলী (৭৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে