leadT1ad

৯টি নৌযান এবার একসঙ্গে গাজার দিকে এগোচ্ছে: শহীদুল আলম

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
কনশানস জাহাজের বেশিরভাগ যাত্রী সংবাদিক ও চিকিৎসাকর্মী। ছবি: সংগৃহীত।

ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজাগামী জাহাজ ‘কনশানস’ তার সামনে থাকা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। নৌযানগুলোর মধ্যে ‘কনশানস’ সবচেয়ে বড় এবং দ্রুতগতিতে চলছিল। তবে এখন কনশানসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়েছে এবং সব নৌযান একসঙ্গে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম আজ শনিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানান। তিনিও কনশানস জাহাজটিতে আছেন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরেরই একটি জাহাজ কনশানস। এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি। সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজ এবং ৫০০-র বেশি অ্যাকটিভিস্টকে ইসরায়েল গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই আটক করেছে।

সাংবাদিকদের বহন করায় কনশাসনসকে ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ও বলা হচ্ছে। জাহাজটিতে মোট ৯৬ জন অ্যাকটিভিস্ট আছেন, যার মধ্যে ৮২ জনই মিডিয়া ও চিকিৎসা পেশাজীবী। এদের মধ্যে আবার মিডিয়া ব্যক্তিত্বই বেশি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘কনশানস’ জাহাজটিতে ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আছেন। এফএফসির সর্বশেষ এই মিশন গত বুধবার যাত্রা শুরু করে। তাদের লক্ষ্য তথ্যের ওপর ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙ্গা এবং গাজার বাস্তব চিত্র তুলে ধরা।

দুই বছর ধরে ইসরায়েল বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ওপরও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, অনেকে আটক ও কারাগারে বন্দী আছেন।

ফেসবুক পোস্টে শহীদুল বলেন, ‘আমরা মূলত কোনও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য যাচ্ছি না। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। আমরা সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাতে যাচ্ছি। আমরা বিশেষ করে মিডিয়ার ওপর এবং তথ্যের ওপর ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙতে চাই। আমরা গাজার বাস্তব পরিস্থিতি পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই।’

শহীদুল আরও বলেন, ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস এক অসাধারণ ধারণা। গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং ভণ্ডামির কারণে বিশ্বের সাধারণ জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাজার জাহাজের এই ধারণাটি প্রতীকী। তবে নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর এটি।’

শহীদুল জানান, কনশানস সবার শেষে (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালি থেকে রওনা করেছিল। আর ওই আটটি নৌযান কনশানসের আগে রওনা করেছিল। এ ছাড়া আরও দুটি বোটও আগে ছিল। তবে ওই দুটি বোটের অবস্থান এখনো নিশ্চিত নয়। কনশানস সবার শেষে রওনা করলেও এটির গতি বেশি হওয়ায় আগে রওনা করা আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন কনশানসের গতি কমানো হয়েছে এবং ৯টি নৌযান একযোগে এগিয়ে যাচ্ছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত