leadT1ad

শান্তিতে নোবেলজয়ী কে এই মারিয়া কোরিনা মাচাদো

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৬
ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ এবং বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: সংগৃহীত।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এবার ভেনেজুয়েলার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছে। এই পুরস্কার তাকে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান স্বৈরশাসনের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি কমিটির এই দৃষ্টিভঙ্গীরও প্রতিফলন যে, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য’, বিশেষ করে যখন বিশ্বে গণতন্ত্র সংকুচিত হচ্ছে।

৫৬ বছর বয়সী মাচাদো ভেনেজুয়েলার প্রথম নারী হিসেবে এই সম্মান পেলেন। তিনি এমন কিছু পুরস্কারপ্রাপ্ত নেতার দলে যুক্ত হলেন, যারা নিপীড়নের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের জন্য পরিচিত। যেমন অং সান সু চি (১৯৯১) এবং লেইমা গবোয়ে (২০১১)।

মারিয়া কোরিনা মাচাদোর পরিচয়

মাচাদো ১৯৬৭ সালে ভেনেজুয়েলার কারাকাসে এক শিল্পপতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি দেশটির ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘আন্দ্রেস বেলো’ থেকে সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

পেশাজীবনে প্রাথমিকভাবে তিনি খাদ্য খাতের একজন শিল্প প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তা ছিলেন। তবে ২০০০-এর দশকের শুরুতে তার দেশ প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের স্বৈরশাসনের দিকে ধাবিত হওয়ায় তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত হন।

২০১০ সালে প্রথম তিনি স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে ভেনেজুয়েলার জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। দ্রুতই তিনি স্বৈরশাসনের এক কঠোর সমালোচক হিসেবে খ্যাতি পান। ২০০২ সালে তিনি ভোটাধিকার ও নির্বাচনের স্বচ্ছতার জন্য ‘সুমাতে’ নামের একটি এনজিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হন।

মাচাদো তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা, নীতিতে অটলতা এবং গান্ধীবাদী অহিংস নীতির জন্য পরিচিত। তিনি নিষেধাজ্ঞা, গ্রেফতার এবং নির্বাসনের হুমকির মধ্যেও লুকিয়ে ভেনেজুয়েলায় থেকে বিরোধী দলগুলোর সমন্বয় করছেন।

স্বৈরতন্ত্র থেকে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য সংগ্রাম করেন মাচাদো। ছবি: সংগৃহীত।
স্বৈরতন্ত্র থেকে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য সংগ্রাম করেন মাচাদো। ছবি: সংগৃহীত।

মাচাদোর ব্যক্তিগত জীবন তার ত্যাগকে প্রতিফলিত করে। তিনি তিন সন্তানের মা। সমালোচকরা তাকে এলিটিস্ট বা যুক্তরাষ্ট্রের মূর্তিপূজক হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। তবে সমর্থকরা তাকে ‘লা লুচা’ (দ্য ফাইটার) হিসেবে সম্মান করেন।

২০২৩ সালের প্রাথমিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিরোধীদলের ভোটের ৯২% অর্জন করে জাতীয় খ্যাতি পান। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক মাদুরো সরকার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়নি।

কেন তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তারা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে সম্মান জানিয়েছে ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার নিরলস প্রচেষ্টা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে উত্তরণের সংগ্রামের’ জন্য।

এটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বলা হয়েছিল— যারা ‘জাতিগুলোর ভ্রাতৃত্ব, স্থায়ী সেনাবাহিনী হ্রাস বা বিলোপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে সর্বোত্তম কাজ করেছেন’, তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।

তার কর্মকাণ্ড তিনটি প্রধান ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো— বিভক্ত বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রিত করা, সমাজের সামরিকীকরণের বিরোধিতা করা এবং অহিংসভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।

ফ্রিডম হাউসের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ৭০টি দেশে গণতন্ত্রের অবনতি ঘটে। এই প্রেক্ষাপটে নোবেল কমিটি মাচাদোর কর্মকাণ্ডকে একধরনের প্রতিরোধ হিসেবে দেখেছে—যেখানে তিনি নির্বাচনী কারচুপি ও দমননীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের নির্বাচনে সরকারের দাবি অনুযায়ী নিকোলাস মাদুরো জয়ী হলেও, প্রমাণে দেখা যায় বিরোধী প্রার্থীরই স্পষ্ট বিজয় হয়েছিল। এই অবস্থায় মাচাদোর প্রতি স্বীকৃতি লাতিন আমেরিকার ‘অন্ধকার বেড়ে ওঠা’ সময়ের বিরুদ্ধে এক সতর্কবার্তা।

তেলসমৃদ্ধ গণতন্ত্র থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রে রূপ নেওয়া ভেনেজুয়েলার করুণ বাস্তবতা—যেখানে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ শরণার্থী এবং দারিদ্র্যের হার প্রায় ৮০ শতাংশ— বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের সংকটের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে।

কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস বলেছেন, ‘তিনি এক সাহসী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শান্তির দূত—যিনি ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।’

মাচাদো প্রমাণ করেছেন, গণতন্ত্রের হাতিয়ারই শান্তির হাতিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।
মাচাদো প্রমাণ করেছেন, গণতন্ত্রের হাতিয়ারই শান্তির হাতিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।

নোবেল কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মাচাদো ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে ল্যাটিন আমেরিকার সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ নাগরিক সাহসের উদাহরণ। তিনি দেশটির বিভক্ত বিরোধীদলগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিরোধীদলগুলো তার অনুপ্রেরণায় মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে একমত হয়েছে। এটিই গণতন্ত্রের মূলনীতি—আমরা মতভেদ সত্ত্বেও জনগণের শাসনের নীতি রক্ষা করতে প্রস্তুত। বর্তমান গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার সময়ে, এই সাধারণ ভিত্তি রক্ষা করা আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

ভেনেজুয়েলা একটি অপেক্ষাকৃত গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ থেকে এখন একটি নির্মম স্বৈরশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে। অধিকাংশ মানুষ গভীর দারিদ্র্যে ভুগছেন, আর অল্প সংখ্যক অভিজাতরা নিজেদের ধনী করছেন। রাষ্ট্রের সহিংস ব্যবস্থা দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৮০ লাখ মানুষ নিপীড়নের মুখে দেশ ত্যাগ করেছে। বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা নির্বাচনী জালিয়াতি, আইনি হয়রানি ও কারাগারে আটকের মাধ্যমে নিপীড়িত হচ্ছে।

নোবেল কমিটি বলেছে, স্বৈরশাসকরা ক্ষমতা গ্রহণ করলে, স্বাধীনতার সাহসী রক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র নির্ভর করে সেই মানুষদের উপর, যারা নীরব থাকেন না, বিপজ্জনক হলেও এগিয়ে আসেন। তারা মনে করিয়ে দেন যে স্বাধীনতাকে কখনো স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যাবে না, বরং সবসময় রক্ষা করতে হবে— কথা, সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে। মাচাদো প্রমাণ করেছেন, গণতন্ত্রের হাতিয়ারই শান্তির হাতিয়ার। তিনি ভিন্ন ভবিষ্যতের আশা বহন করেন—যেখানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হয় এবং তাদের কথাও শোনা যায়।

মাচাদোর রাজনৈতিক সংগ্রাম

ভেনেজুয়েলার স্বৈরশাসকরা দেশটিতে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত কঠিন করে দিয়েছে। ২০ বছর আগে মাচাদো ‘সুমাতে’ নামে একটি গণতান্ত্রিক উন্নয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘এটি বুলেটের বদলে ব্যালটের সিদ্ধান্ত।’ এরপর রাজনৈতিক দপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থায় তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও জনপ্রতিনিধিত্বের জন্য কাজ করেন। তিনি বছরের পর বছর ভেনেজুয়েলার জনগণের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মাচাদো বিরোধী দলগুলোর জোটের প্রধান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন মাদুরো সরকার তাকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়নি। এরপর তিনি অন্য দলের প্রার্থী এডমুন্ডো গনজালেজ উররুতিয়ার পক্ষে সমর্থন দেন। নির্বাচনের সময় শত শত স্বেচ্ছাসেবক রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে ভোট দেন। তাঁরা নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন, যাতে নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়। হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঝুঁকি সত্ত্বেও দেশের নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রে নজর রাখেন। এভাবে তারা মাদুরো সরকারের ভোট কারচুপি প্রতিরোধ করে।

গত বছর থেকে মাচাদোকে আত্মগোপনে থেকে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর থেকে মাচাদোকে আত্মগোপনে থেকে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

নোবেল কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের আগে ও চলাকালীন সময়ে বিরোধীদলগুলোর এই সামষ্টিক সংগ্রাম উদ্ভাবনী, সাহসী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ছিল। বিরোধীদলগুলো নিজেরা ভোট গণণা করে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করলে আন্তর্জাতিকভাবেও তা সমর্থন পায়। ফলাফলে দেখা যায়, বিরোধীদল পরিষ্কারভাবে জয়ী হয়েছে। কিন্তু মাদুরো সরকার নির্বাচনের ফল মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ক্ষমতা ধরে রাখে।

নোবেল কমিটির মতে, গণতন্ত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পূর্বশর্ত। তবে আমরা এখন এমন এক বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে গণতন্ত্র ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। একের পর এক স্বৈরশাসকরা শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও আইন লঙ্ঘন করছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিভে যাচ্ছে, সমালোচকরা কারাগারে যাচ্ছে এবং সমাজগুলো সামরিকায়িত ও স্বৈরশাসিত হওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ২০২৪ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু খুব কম নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও মুক্ত নির্বাচন হয়েছে।

শুরু থেকেই নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি এমন সব সাহসী নারী ও পুরুষদের স্বীকৃতি দিয়েছে, যারা নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যারা কারাগারে, রাস্তায় ও জনসভায় স্বাধীনতার আশা বহন করেছেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের মাধ্যমে পৃথিবী বদলে দিয়েছেন। গত বছর থেকে মাচাদোকে আত্মগোপনে থেকে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। তবে জীবনের ওপর বড় ঝুঁকির মধ্যেও তিনি দেশে থেকেই লড়াই চালিয়ে গেছেন। এটি কোটি কোটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হয়েছে।

প্রতিক্রিয়া ও বৈশ্বিক প্রতিধ্বনি

শুক্রবার বিকালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার পর ভেনেজুয়েলার বিরোধী শিবিরে এবং প্রবাসে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো একে ‘আমেরিকার ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে, অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তায় মারিয়া কোরিনা মাচাদো বলেন, ‘এ পুরস্কার ভেনেজুয়েলার সেসব নাগরিকের জন্য, যারা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে।’

বিশ্বনেতারাও প্রতিক্রিয়া জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন একে ‘সাহসের স্বীকৃতি’ বলে মন্তব্য করেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা শান্তিপূর্ণ সংলাপের আহ্বান জানান। তবে সমালোচকেরা সতর্ক করেছেন, এই পুরস্কার হয়তো দমননীতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে—যেমনটি ২০১৯ সালে হুয়ান গুয়াইদোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর দেখা গিয়েছিল।

মাচাদোর নোবেল পুরস্কার ভেনেজুয়েলার সংকটকে—অর্থনৈতিক ধস থেকে শুরু করে কলম্বিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশে শরণার্থী স্রোত পর্যন্ত—বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে। এটি ২০২৫ সালের রাজনৈতিক রূপান্তর আলোচনার সময় মাদুরো সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়িয়েছে।

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রিডনেসের ভাষায়, ‘তিনি এমন এক ভবিষ্যতের আশার প্রতীক, যেখানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের কথাও শোনা হবে।’ তবে নোবেল শান্তি পুরস্কারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পশ্চিমাদের পক্ষপাতের নিদর্শন হিসেবেও দেখেন অনেকে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত