leadT1ad

অতীশ দীপঙ্করের নামে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৭
ঢাকার আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান কেন্দ্র আয়োজিত কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: বাসস

মনীষী অতীশ দীপঙ্করের নামে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাকে সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার আশুলিয়ায় বোধিজ্ঞান কেন্দ্র (বৌদ্ধ বিহার) আয়োজিত ‘কঠিন চীবর দান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে মনীষী অতীশ দীপঙ্করের কীর্তি ও বিশ্বজোড়া খ্যাতিতে আমরা গর্বিত। তাঁর জ্ঞান, দর্শন ও কর্ম বাংলাদেশে আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন ‘অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধনে সবাইকে আবদ্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি। বুদ্ধের মতে, মানুষ মৈত্রীপরায়ণ হবে, ক্ষমাশীল হবে এবং লোভ ও মোহহীন হবে। মানুষ মানুষকে শ্রদ্ধা করবে, একে অন্যকে সম্মান করবে।’

বৌদ্ধ ধর্মের পঞ্চশীলকে মানবজীবনের জন্য উত্তম শিক্ষা হিসেবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই পাঁচটি নীতি মানবতাবাদী ও সার্বজনীন অধিকারমূলক। এসব গুণাবলি অর্জন ও চর্চার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে অন্যায়, অবিচার, অনাচার, অপরাধ ও দুর্নীতি বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সকল বৌদ্ধ বিহারে আশ্বিনী পূর্ণিমার পর হতে কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান কর্ম শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, ‘সকল ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করে। বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় বিভেদ নেই। সবাই শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানে থেকে নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণির ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবী সবসময় বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে থাকে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাক্কোদি। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দয়াল কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুভাশীষ চাকমা এবং কর্নেল দিদারুল আলম প্রমুখ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত