leadT1ad

গণহত্যা বন্ধ করুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন থামান: জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের আবেদন

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২৯
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে তাঁর ভাষণে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার কথা তুলে ধরে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। আব্বাস বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি প্রায় দুই বছরের পর, যখন আমাদের গাজা উপত্যকার মানুষ গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, অনাহার ও স্থানচ্যুতির মুখোমুখি হয়েছে।’

তিনি তাঁর বক্তব্য দেন ভিডিওতে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে তাঁকে ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে ভিসা দেয়নি।

আব্বাস আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন নিয়ে জাতিসংঘের ১,০০০-এর বেশি রেজুলেশন এসেছে, একটিও কার্যকর করা হয়নি।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘সত্তর লাখ ফিলিস্তিনি এখনও ১৯৪৮ সালের শুরু হওয়া স্থানচ্যুতির ট্র্যাজেডির মধ্যে বসবাস করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণ বছরের পর বছর দখল, হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার, বসতি স্থাপন, সম্পদ ও ভূমি দস্যুতা সহ্য করেছে। আর তা আজও চলছে—কোনও দমন বা জবাবদিহি ছাড়াই।’

আব্বাস অধিবেশনে বলেন, ‘সেটলাররা বাড়ি ও মাঠ জ্বালায়, গাছ উপড়ে ফেলে, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উপর হামলা চালায়।… ইসরায়েলিরা দিনের আলোয় হত্যাকাণ্ড চালায়।’ তিনি জেরুজালেম, হেব্রন ও গাজা উপত্যকায় ইসলামিক ও খ্রিস্টান ধর্মীয় স্থানে হামলার কথাও তুলে ধরে বলেন যে, মসজিদ, চার্চ এবং কবরস্থান ধ্বংস করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র আগ্রাসন নয়। এটি যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই সব অপরাধ নথিভুক্ত ও পর্যবেক্ষণযোগ্য। ইতিহাসে এই সব ঘটনা মানবিক ট্র্যাজেডির সবচেয়ে ভয়াবহ অধ্যায় হিসেবে গণ্য হবে।’

আব্বাস বলেন, ‘এত কিছুর পরও আমরা ৭ অক্টোবর হামাসের কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করি।’ তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের জিম্মি করার কাজ ফিলিস্তিনি জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে না। এটি তাদের স্বাধীনতার ন্যায্য সংগ্রামও নয়।’ তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনের একটি অঙ্গ। আমরা সেখানে শাসন ও নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। সেখানে হামাসের কোনও ভূমিকা থাকবে না।’

বিষয়:

Ad 300x250

সম্পর্কিত