স্ট্রিম ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে বারবার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার অন্তত পাঁচটি দাবি মিথ্যা ও ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এসব দাবি ছিল জলবায়ু সংকট, অভিবাসন এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রসঙ্গ ঘিরে।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বহু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে জেল দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগের সরকারের সময় রেকর্ডসংখ্যক অপরাধী দেশে প্রবেশ করেছিল এবং এখন সবাইকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
বাস্তবতা:
গত মার্চে ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলানকে এল সালভাদরের কথিত সন্ত্রাসবাদের কারাগার (সিকোট) নামে পরিচিত একটি কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরই যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাও ছোটখাটো অপরাধ— যেমন দোকান থেকে চুরি বা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ।
দেশটির প্রশাসনের অভিযোগ, তারা ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামের গ্যাংয়ের সদস্য।
আগের সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে রেকর্ডসংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসীর প্রবেশ ধরা পড়ে। তবে অপরাধমূলক রেকর্ডধারীর সংখ্যা বাড়লেও মোট শতাংশ খুব বেশি হয়নি এবং কখনো রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়নি। প্রকৃতপক্ষে কমই ছিল।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘ কেবল শক্ত ভাষায় চিঠি লিখে, কিন্তু বাস্তব কোনও পদক্ষেপ নেয় না। তার মতে, কথা নয় শুধু বাস্তব পদক্ষেপই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি ‘৭টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন।’
বাস্তবতা:
জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু সংঘাতের সমাধান করেছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধসহ নামিবিয়া, এল সালভাদর, মোজাম্বিক ও কম্বোডিয়ার গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি তার উদাহরণ। তবে জাতিসংঘ ব্যর্থতাও স্বীকার করেছে, যেমন ১৯৯০-র দশকে রুয়ান্ডা ও বসনিয়ার গণহত্যা ঠেকাতে না পারার জন্য।
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের দাবিকে বিশেষজ্ঞরা ‘উচ্চ সমস্যাযুক্ত’ বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, গত জুনে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ থেমেছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই যে কোনও সময় নতুন করে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ হতে পারে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বা নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কিছু সময়ের জন্য কার্যকর হলেও এসব সমঝোতা নাজুক এবং অনেকক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হয়নি।
এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধ করার বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রশাসন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করেছে। সীমান্ত অতিক্রমকারীদের আটক ও বহিষ্কার শুরু করার পর আর কেউ আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি ইউরোপে অভিবাসন বাড়ার জন্য ‘গ্লোবালিস্ট মাইগ্রেশন এজেন্ডা’কে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ‘ওপেন বর্ডার’নীতি ব্যর্থ তাই এটা নিয়ে পরীক্ষা চালানো এখনই বন্ধ করা উচিত। ট্রাম্প বলেন, এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো ‘নরকে যাচ্ছে’।
বাস্তবতা:
ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কয়েক মাসে অবৈধ সীমান্ত পারাপারের সংখ্যা সত্যিই কমে যায়। তবে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যাটি জটিল এবং ‘নিয়ন্ত্রণহীন অভিবাসন পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে’— এ দাবি সঠিক নয়। এর পাশাপাশি, প্রশাসনের নেওয়া নানা পদক্ষেপ আদালতে আটকে গেছে বা বাতিল হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো ‘নরকে যাচ্ছে’ বলার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা যায় না। অনেক ইউরোপীয় দেশ অভিবাসন থেকে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সুফলও পায়, যদিও চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
এ ছাড়া ‘ওপেন বর্ডার’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যাতায়াত সহজ করেছে। তবে বাইরের সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর স্বাধীনভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু করে।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের মতোই রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র দিয়ে আলাদা হলেও ইউরোপ রাশিয়ার খুব কাছেই। তাই ইউরোপকে আরও সক্রিয় হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো রাশিয়ার তেল ও গ্যাস কিনছে।
বাস্তবতা:
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি অনেকাংশে কমিয়েছে। ২০২২ সালের আগে যে মাত্রায় তারা রাশিয়ার তেল কিনত, এখন তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তবে কয়েকটি দেশ এখনো রাশিয়ার জ্বালানি নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে হাঙ্গেরি, যার প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো সম্প্রতি বলেছেন, তারা রাশিয়ার জ্বালানি নিতে থাকবে।
স্লোভাকিয়াও পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস গ্রহণ করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কনজারভেটিভ রাজনৈতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন।
ইইউ ইতোমধ্যে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সব সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পকে খারিজ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতারণা বলে অভিহিত করেন। তার দাবি, জলবায়ু নিয়ে জাতিসংঘ, বিজ্ঞানী মহল ও অন্যান্য সংস্থার পূর্বাভাস ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাস্তবতা:
বিজ্ঞানীদের মধ্যে সুস্পষ্ট ঐকমত্য রয়েছে যে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৯১ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন মানব কর্মকাণ্ডই জলবায়ু সংকটের মূল কারণ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং টেকসই প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোর ব্যবহার জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে সহায়তা করে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে বারবার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার অন্তত পাঁচটি দাবি মিথ্যা ও ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এসব দাবি ছিল জলবায়ু সংকট, অভিবাসন এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রসঙ্গ ঘিরে।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, এল সালভাদর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বহু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে জেল দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগের সরকারের সময় রেকর্ডসংখ্যক অপরাধী দেশে প্রবেশ করেছিল এবং এখন সবাইকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
বাস্তবতা:
গত মার্চে ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলানকে এল সালভাদরের কথিত সন্ত্রাসবাদের কারাগার (সিকোট) নামে পরিচিত একটি কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশেরই যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাও ছোটখাটো অপরাধ— যেমন দোকান থেকে চুরি বা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ।
দেশটির প্রশাসনের অভিযোগ, তারা ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামের গ্যাংয়ের সদস্য।
আগের সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে রেকর্ডসংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসীর প্রবেশ ধরা পড়ে। তবে অপরাধমূলক রেকর্ডধারীর সংখ্যা বাড়লেও মোট শতাংশ খুব বেশি হয়নি এবং কখনো রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়নি। প্রকৃতপক্ষে কমই ছিল।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘ কেবল শক্ত ভাষায় চিঠি লিখে, কিন্তু বাস্তব কোনও পদক্ষেপ নেয় না। তার মতে, কথা নয় শুধু বাস্তব পদক্ষেপই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি ‘৭টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন।’
বাস্তবতা:
জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহু সংঘাতের সমাধান করেছে। ইরান-ইরাক যুদ্ধসহ নামিবিয়া, এল সালভাদর, মোজাম্বিক ও কম্বোডিয়ার গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি তার উদাহরণ। তবে জাতিসংঘ ব্যর্থতাও স্বীকার করেছে, যেমন ১৯৯০-র দশকে রুয়ান্ডা ও বসনিয়ার গণহত্যা ঠেকাতে না পারার জন্য।
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের দাবিকে বিশেষজ্ঞরা ‘উচ্চ সমস্যাযুক্ত’ বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, গত জুনে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ থেমেছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই যে কোনও সময় নতুন করে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ হতে পারে।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বা নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কিছু সময়ের জন্য কার্যকর হলেও এসব সমঝোতা নাজুক এবং অনেকক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হয়নি।
এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধ করার বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ হয়নি।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প দাবি করেন, তার প্রশাসন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করেছে। সীমান্ত অতিক্রমকারীদের আটক ও বহিষ্কার শুরু করার পর আর কেউ আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি ইউরোপে অভিবাসন বাড়ার জন্য ‘গ্লোবালিস্ট মাইগ্রেশন এজেন্ডা’কে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ‘ওপেন বর্ডার’নীতি ব্যর্থ তাই এটা নিয়ে পরীক্ষা চালানো এখনই বন্ধ করা উচিত। ট্রাম্প বলেন, এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো ‘নরকে যাচ্ছে’।
বাস্তবতা:
ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কয়েক মাসে অবৈধ সীমান্ত পারাপারের সংখ্যা সত্যিই কমে যায়। তবে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যাটি জটিল এবং ‘নিয়ন্ত্রণহীন অভিবাসন পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে’— এ দাবি সঠিক নয়। এর পাশাপাশি, প্রশাসনের নেওয়া নানা পদক্ষেপ আদালতে আটকে গেছে বা বাতিল হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো ‘নরকে যাচ্ছে’ বলার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা যায় না। অনেক ইউরোপীয় দেশ অভিবাসন থেকে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সুফলও পায়, যদিও চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
এ ছাড়া ‘ওপেন বর্ডার’ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেনজেন চুক্তিভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যাতায়াত সহজ করেছে। তবে বাইরের সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর স্বাধীনভাবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু করে।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের মতোই রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র দিয়ে আলাদা হলেও ইউরোপ রাশিয়ার খুব কাছেই। তাই ইউরোপকে আরও সক্রিয় হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো রাশিয়ার তেল ও গ্যাস কিনছে।
বাস্তবতা:
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি অনেকাংশে কমিয়েছে। ২০২২ সালের আগে যে মাত্রায় তারা রাশিয়ার তেল কিনত, এখন তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তবে কয়েকটি দেশ এখনো রাশিয়ার জ্বালানি নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে হাঙ্গেরি, যার প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো সম্প্রতি বলেছেন, তারা রাশিয়ার জ্বালানি নিতে থাকবে।
স্লোভাকিয়াও পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস গ্রহণ করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কনজারভেটিভ রাজনৈতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছেন।
ইইউ ইতোমধ্যে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সব সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন।
ট্রাম্প যা বলেছেন:
ট্রাম্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পকে খারিজ করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতারণা বলে অভিহিত করেন। তার দাবি, জলবায়ু নিয়ে জাতিসংঘ, বিজ্ঞানী মহল ও অন্যান্য সংস্থার পূর্বাভাস ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বাস্তবতা:
বিজ্ঞানীদের মধ্যে সুস্পষ্ট ঐকমত্য রয়েছে যে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ৯১ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানী মনে করেন মানব কর্মকাণ্ডই জলবায়ু সংকটের মূল কারণ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং টেকসই প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোর ব্যবহার জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস কমাতে সহায়তা করে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি প্রয়াত লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে একটি দুর্নীতিমূলক চুক্তি করেছিলেন। ২০০৭ সালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে
৪৪ মিনিট আগেসিঙ্গাপুরে আসামের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যু ঘিরে রহস্য আরও জটিল হচ্ছে। সিঙ্গাপুর হাইকমিশন থেকে মৃত্যুসনদ পাওয়া গেলেও ভারতে আবার নতুন করে ময়নাতদন্ত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতে লাদাখের রাজ্য মর্যাদা ও চাকরিতে কোটার দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে অনশন করছিলেন জলবায়ু আন্দোলন কর্মী সোনম ওয়াংচুক। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভও চলছিল। কিন্তু সেই বিক্ষোভ গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ সহিংসতায় রূপ নেয়।
৮ ঘণ্টা আগেগাজা সিটি, ফিলিস্তিন-যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা যেন থামছেই না। ভোর থেকে চালানো নির্মম বোমা হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগে