leadT1ad

গাজায় লাশের সারি, জাতিসংঘ বলছে 'সন্ত্রাস' চালাচ্ছে ইসরায়েল

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ১৭
ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবন থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ছবি: মোহাম্মেদ সাবের, ইপিএ

গাজা সিটি, ফিলিস্তিন-যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা যেন থামছেই না। ভোর থেকে চালানো নির্মম বোমা হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘গাজা শহরের ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালাতে বাধ্য করছে।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তাদের পদাতিক ইউনিট 'নাহাল ব্রিগেড' গাজা শহরের গভীরে প্রবেশ করে অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক যোদ্ধাকে হত্যা এবং একটি সামরিক কম্পাউন্ড ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। এই অভিযানের ফলে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং যারা শহরে রয়ে গেছেন, তারা খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে চরম মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।

মৃত্যুপুরী গাজা

অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪ শ ১৯ ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ১ শ ৬০ জনেরও বেশি। হাজার হাজার মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১ শ ৩৯ জন নিহত হয়েছিলেন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে ‘গাজা শহরের ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাস চাপিয়ে দেওয়ার’ শামিল বলে অভিহিত করেছে। সংস্থাটি বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হামলা এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে বাস্তুচ্যুত করার ঘটনা একটি স্থায়ী জনতাত্ত্বিক পরিবর্তনের অপচেষ্টা, যা জাতিগত নিধনের সমতুল্য।

অবরোধ ভাঙার চেষ্টা ও হামলা

এদিকে, গাজার ওপর চাপানো সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজের বহর ওই অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ড্রোন থেকে তাদের জাহাজের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল আগেই এই নৌবহরকে থামানোর জন্য ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।

যুদ্ধ, ধ্বংস আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে গাজার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে স্বজনহারাদের কান্না আর বারুদের গন্ধে। প্রতিটি বোমা হামলার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি, আর বিশ্ব দেখছে একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এক মানবিক বিপর্যয়।

Ad 300x250

সম্পর্কিত