.png)

স্ট্রিম ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান (সিজেসিএসসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও সফরের মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও তারা মতবিনিময় করেন।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাতে তাঁরা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দ্য ডন জানায়, গত বছর আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে। এ প্রেক্ষাপটে জেনারেল মির্জা বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে আছেন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জেনারেল মির্জা ঢাকায় সেনা সদর দপ্তরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই সেনা কর্মকর্তা প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্প্রসারিত ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সামরিক নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত বিনিময় সফর অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হন।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা
দ্য ডনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৈঠকে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়। দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনায় প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পাকিস্তান আইএসপিআর আরও জানায়, দুই দেশই স্বীকার করে যে বিভ্রান্তিকর ও বিভাজনমূলক তথ্য প্রচারণা নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হচ্ছে। এ ধরনের হুমকির মোকাবিলায় যৌথ সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগ জোরদারের বিষয়ে তারা একমত হন।
এর আগের দিন জেনারেল মির্জা বাংলাদেশের বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সব বৈঠকেই পক্ষগুলো প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
জেনারেল মির্জা পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে সাক্ষাৎ করেন। তখন উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে একটি ‘দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন, যাতে তারা বহিরাগত প্রভাবের বিরুদ্ধে দৃঢ় থাকতে পারে।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে অপসারণের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই অগ্রগতি স্পষ্ট।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভুয়া তথ্যপ্রবাহের হুমকি নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগ থেকে দুই দেশ সামরিক বিনিময়, যৌথ মহড়া ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যদিও এখনো বড় কোনো অস্ত্রচুক্তি হয়নি, তবে সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতি ইঙ্গিত দিচ্ছে—দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা বিন্যাসে নতুন রূপ দিতে পারে।
সামনে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্প্রসারিত যৌথ মহড়ার আনুষ্ঠানিক চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি অক্টোবরে ঘোষিত নিয়মিত নেতৃত্ব পর্যায়ের বিনিময় সফর এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।
উভয় দেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিবেশে নিজেদের স্থিতিশীলতা বাড়াতে এই অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে চায়। ভুয়া তথ্যপ্রবাহ ও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতারও সম্ভাবনা রয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব
অবশ্য কিছু বাধা এখনো রয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা বাংলাদেশকে ক্রমাগত চাপের মুখে ফেলছে, যা পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রক্রিয়া এখনো চলমান, ফলে দ্রুত প্রতিরক্ষা সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, পাকিস্তানও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে, যা বৃহৎ প্রতিরক্ষা বিনিয়োগে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
ভূরাজনৈতিক দিক থেকে এই ঘনিষ্ঠতাকে ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সম্ভাব্য ‘নতুন প্রতিরক্ষা জোট’-এর ইঙ্গিত দেয়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তারা এই সম্পর্ককে ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখাচ্ছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাহ্যিক শক্তিগুলোও বিনিয়োগ ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এই সম্পর্কের গতিপথ প্রভাবিত করতে পারে।
জুলাই মাসে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জোটবদ্ধতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে আগ্রহের একটি সম্ভাব্য মিলনস্থল রয়েছে যা ভারতের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
যাইহোক, বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এই পুনরুত্থান দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবমুখী কূটনীতির একটি উদাহরণ। ২০২৪ সালের প্রাথমিক আলোচনার পর ২০২৫ সালের অক্টোবরে উচ্চপর্যায়ের সফর এই প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিয়েছে।
ধারাবাহিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক কাঠামো গঠনে সহায়ক হবে, যা দুই দেশের নিরাপত্তা অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান (সিজেসিএসসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও সফরের মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও তারা মতবিনিময় করেন।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাতে তাঁরা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দ্য ডন জানায়, গত বছর আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে। এ প্রেক্ষাপটে জেনারেল মির্জা বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে আছেন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জেনারেল মির্জা ঢাকায় সেনা সদর দপ্তরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই সেনা কর্মকর্তা প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্প্রসারিত ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সামরিক নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত বিনিময় সফর অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হন।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা
দ্য ডনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৈঠকে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়। দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনায় প্রশিক্ষণ, যৌথ মহড়া এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পাকিস্তান আইএসপিআর আরও জানায়, দুই দেশই স্বীকার করে যে বিভ্রান্তিকর ও বিভাজনমূলক তথ্য প্রচারণা নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে উদ্ভূত হচ্ছে। এ ধরনের হুমকির মোকাবিলায় যৌথ সহযোগিতা ও সমন্বিত উদ্যোগ জোরদারের বিষয়ে তারা একমত হন।
এর আগের দিন জেনারেল মির্জা বাংলাদেশের বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সব বৈঠকেই পক্ষগুলো প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
জেনারেল মির্জা পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে সাক্ষাৎ করেন। তখন উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে একটি ‘দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন, যাতে তারা বহিরাগত প্রভাবের বিরুদ্ধে দৃঢ় থাকতে পারে।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে অপসারণের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই অগ্রগতি স্পষ্ট।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভুয়া তথ্যপ্রবাহের হুমকি নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগ থেকে দুই দেশ সামরিক বিনিময়, যৌথ মহড়া ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যদিও এখনো বড় কোনো অস্ত্রচুক্তি হয়নি, তবে সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতি ইঙ্গিত দিচ্ছে—দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা বিন্যাসে নতুন রূপ দিতে পারে।
সামনে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্প্রসারিত যৌথ মহড়ার আনুষ্ঠানিক চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি অক্টোবরে ঘোষিত নিয়মিত নেতৃত্ব পর্যায়ের বিনিময় সফর এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।
উভয় দেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিবেশে নিজেদের স্থিতিশীলতা বাড়াতে এই অংশীদারত্বকে কাজে লাগাতে চায়। ভুয়া তথ্যপ্রবাহ ও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতারও সম্ভাবনা রয়েছে।
চ্যালেঞ্জ ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব
অবশ্য কিছু বাধা এখনো রয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা বাংলাদেশকে ক্রমাগত চাপের মুখে ফেলছে, যা পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের প্রক্রিয়া এখনো চলমান, ফলে দ্রুত প্রতিরক্ষা সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, পাকিস্তানও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে, যা বৃহৎ প্রতিরক্ষা বিনিয়োগে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
ভূরাজনৈতিক দিক থেকে এই ঘনিষ্ঠতাকে ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সম্ভাব্য ‘নতুন প্রতিরক্ষা জোট’-এর ইঙ্গিত দেয়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তারা এই সম্পর্ককে ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখাচ্ছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাহ্যিক শক্তিগুলোও বিনিয়োগ ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এই সম্পর্কের গতিপথ প্রভাবিত করতে পারে।
জুলাই মাসে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জোটবদ্ধতা ভারতের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে আগ্রহের একটি সম্ভাব্য মিলনস্থল রয়েছে যা ভারতের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
যাইহোক, বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এই পুনরুত্থান দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবমুখী কূটনীতির একটি উদাহরণ। ২০২৪ সালের প্রাথমিক আলোচনার পর ২০২৫ সালের অক্টোবরে উচ্চপর্যায়ের সফর এই প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিয়েছে।
ধারাবাহিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলে এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক কাঠামো গঠনে সহায়ক হবে, যা দুই দেশের নিরাপত্তা অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
.png)

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চার দিনব্যাপী আলোচনার পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে ২৮ অক্টোবর। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে ‘শেষ চেষ্টা’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অভিযোগের কারণে আলোচনাটি ভেঙে পড়ে।
১৭ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গঠিত গাজা শান্তি চুক্তি-র অংশ হিসেবে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে (আইএসএফ) সেনা পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। দেশটির সরকার ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী যে মৃত্যুগুলো ঘটে, তার প্রায় ৭০ শতাংশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ল্যানসেট কাউন্টডাউন অন হেলথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২৫ গ্লোবাল রিপোর্টে।
৬ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মন্থা মঙ্গলবার রাতে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকুল অতিক্রম করেছে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে অন্ধ্র প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো বাতাস এবং বন্যা দেখা দিয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে