leadT1ad

ট্রাম্পের ওপর গোপনে নজর রাখতেন যৌন-অপরাধী জেফরি এপস্টেইন

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এপস্টেইনের কর্মীরা তাকে নিয়মিতভাবে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমানের চলাচল ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে জানাতেন। ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের ফাঁস হওয়া কিছু ইমেইল থেকে জানা গেছে তিনি ট্রাম্পের ওপর নিয়মিত নজর রাখতেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন হাউস ওভারসাইট কমিটি জেফরি এপস্টেইন সংক্রান্ত নতুন কিছু নথি প্রকাশ করে।

এতে এমন ইমেইল পাওয়া গেছে, যা দেখায়—দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী এপস্টেইন দীর্ঘ সময় ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতেন। ট্রাম্পের জন্য এটি রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিকর সময়, কারণ তাঁর প্রচারণায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিচারবিভাগ এখনো সংশ্লিষ্ট নথি প্রকাশ করেনি।

প্রকাশিত নতুন নথি থেকে জানা গেছে, জেফরি এপস্টেইনের কর্মীরা নিয়মিতভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যাতায়াত সম্পর্কে তাকে অবহিত করতেন। এই তথ্য তার নিজস্ব ভ্রমণ পরিকল্পনার সঙ্গেও সম্পর্কিত ছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পরও এপস্টেইন বহু বছর ধরে তার বিষয়ে খবরাখবর রাখতেন।

২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই যোগাযোগে দেখা যায়, এপস্টেইনের কর্মীরা নিয়মিতভাবে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমানের চলাচল ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে জানাতেন। তাদের সম্পর্ক ২০০৪ সালে খারাপ হয়ে যায়।

২০১১ সালের এক ইমেলে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প এপস্টিনের পাম বিচের বাড়িতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিকারের সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা’ সময় কাটান এবং ‘মেয়েদের সম্পর্কে জানতেন’, যদিও তিনি নির্যাতনে অংশ নেননি।

সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর এপস্টেইন তার সহযোগীদের কাছে দাবি করেন যে, তার কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য তথ্য আছে এবং তিনি চাইলে ‘তাকে ধ্বংস করে দিতে পারেন।’ তিনি নিজেকে ট্রাম্পের ভেতরের তথ্য জানা ব্যক্তি হিসেবেও উপস্থাপন করেন।

হোয়াইট হাউস এই নথি প্রকাশকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মরিয়া প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে। ট্রাম্প পুরোনো মন্তব্য পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তিনি ২০০২ সালে এপস্টেইনকে ‘চমৎকার ব্যক্তি’ বলেছিলেন, কিন্তু অনিয়ম জানতে পেরে তাকে মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে নিষিদ্ধ করেন।

এই নথি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে ৫ লাখেরও বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেলকে সংশ্লিষ্ট নথি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।

যদিও এখনো নতুন কোনো আইনি পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়নি, তবে এসব তথ্য ট্রাম্পের ‘সম্পর্ক ছিন্ন’ দাবিকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে বিরোধীদের প্রচারে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ট্রাম্প সংক্রান্ত সংবাদ পাঠানো ও ব্যক্তিগত মন্তব্য

এপস্টেইনের সহযোগীরা তাঁকে ট্রাম্প-সম্পর্কিত অনেক সংবাদ প্রতিবেদন ফরওয়ার্ড করতেন। এর মধ্যে ছিল রজার স্টোনের গ্রেফতার ও মাইকেল কোহেনের তদন্তে সহযোগিতা সংক্রান্ত খবর।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সাবেক অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্সকে লেখা এক ইমেলে এপস্টেইন লিখেছিলেন, ‘ট্রাম্প—প্রায় পাগল। ডার্শ (অ্যালান ডারশোভিটজ) তার চেয়ে সামান্য ভালো।’

সামার্স জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘ট্রাম্প কি পুরোপুরি পাগল হয়ে যাবে?’

এপস্টেইন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। আগেও তাকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। সে অনেক চাপ সামলায়। আশা করি তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ অভিযুক্ত হবে, নাহলে অনিশ্চয়তার চাপ তাঁকে আরও অস্থির করে তুলবে।’

মার্চ ২০১৮ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিক ল্যান্ডন থমাস জুনিয়র তাঁকে ডেইলি বিস্ট-এর একটি নিবন্ধ পাঠান, যেখানে ট্রাম্পের ‘মানসিক ভেঙে পড়া’র সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ছিল।

এপস্টেইন জবাব দেন, ‘সে একা বোধ করছে, পাগল! আমি শুরু থেকেই বলেছি—অবিশ্বাস্যভাবে খারাপ মানুষ। অনেকেই ভেবেছিল আমি রূপক অর্থে বলছি, কিন্তু এখন পরিষ্কার যে সে ভেঙে পড়তে পারে। স্টর্মি ড্যানিয়েলস? মিথ্যার পর মিথ্যা।’

এপস্টেইন একবার দাবি করেন, তার কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য তথ্য আছে এবং তিনি চাইলে ‘তাকে ধ্বংস করে দিতে পারেন।’
এপস্টেইন একবার দাবি করেন, তার কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য তথ্য আছে এবং তিনি চাইলে ‘তাকে ধ্বংস করে দিতে পারেন।’

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন মন্তব্য করেন, ‘এই ইমেলগুলো আসলে কিছুই প্রমাণ করে না।’ সামার্সের প্রতিনিধি কোনো মন্তব্য করেননি।

ভিসস্কি নিয়মিতভাবে ট্রাম্পের ভ্রমণসূচি এপস্টেইনকে জানাতেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের এক ইমেলে তিনি লেখেন, ‘ট্রাম্পের বিমান শুক্রবার বিকেল ৫টায় অরল্যান্ডোতে নামবে এবং রাত ১০টার দিকে পাম বিচে পৌঁছাবে। সম্ভবত ১১টা বাস্তবসম্মত সময়।’

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে ভিসস্কি লিখেছিলেন, ‘শুনেছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার সেন্ট থমাসে আসছেন।’

সেই বছর নভেম্বরে এপস্টিন তাঁর দ্বীপ লিটল সেন্ট জেমস সফরের পরিকল্পনা নিয়ে পাইলটকে লেখেন, ‘আমরা ২৬ তারিখ সকালে দ্বীপে যাব, এরপর নিউ ইয়র্কে সপ্তাহটি কাটাব। ট্রাম্পও ওই সপ্তাহে শহরে থাকবে।’ ইমেলে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো ইঙ্গিত ছিল না।

ভিসস্কি জানিয়েছিলেন, ‘আমরা যদি সকালেই যাই, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। ট্রাম্প বিকেল ৩টার আগে যাচ্ছেন না।’ একই মাসে তিনি আরও জানান, ‘ট্রাম্প পাম বিচে থাকাকালে সাধারণ বিমান চলাচলের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যেই আগমন ও প্রস্থান অনুমোদিত।’

এই নথিগুলো ইঙ্গিত দেয়—এপস্টেইন ট্রাম্পের চলাফেরার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে নজর রেখেছিলেন এবং তাঁর বিষয়ে ব্যক্তিগত মন্তব্যও করতেন।

এপস্টেইনের ইমেইল প্রকাশে ট্রাম্প বিতর্ক আবারও সামনে

২০১৮ সালের মার্চ মাসে এপস্টেইনের পাইলট ল্যারি ভিসস্কি ট্রাম্পের যাতায়াত সংক্রান্ত আরেকটি আপডেট পাঠান। তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ, বুধবার বিকেল ৩টায় টিটারবোরো নিশ্চিত হয়েছে। শুক্রবার ট্রাম্প পাম বিচে আসবেন, সময় পরে জানাবো।’

সেই বছরের ডিসেম্বরেও ভিসস্কি আরেকটি ইমেল পাঠান। তাতে তিনি লেখেন, ‘যেহেতু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো পাম বিচে আসেননি, তাই ২৬ ডিসেম্বর এলএস৩-এ আপনার রওনা দেওয়ার সময় ড্যারেন ও ডেভ কি আপনাকে পাম বিচ থেকে নিতে আসবে? নাকি বোকা থেকে যাত্রা পছন্দ করবেন? বর্তমানে পাম বিচে কোনো নিরাপত্তা সমস্যা নেই।’

যৌন পাচার মামলায় গ্রেফতারের কয়েক মাস আগে এপস্টেইন নিজে কর্মীদের জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার আমাদের পাশের বাসায় থাকবেন। তাই সিক্রেট সার্ভিসের উপস্থিতি থাকলে অবাক হবেন না।’ একজন কর্মী জবাব দেন, ‘ধন্যবাদ স্যার, আগাম জানানোর জন্য।’

তবে ট্রাম্পই একমাত্র উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ছিলেন না, যার যাতায়াত নিয়ে এপস্টেইন আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। নথিতে দেখা যায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এপস্টেইনের এক সহকারী তাকে জানান, ‘ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ ওয়েস্ট পাম বিচে আছেন এবং বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে রওনা দেবেন।’

ইমেইলে আরও লেখা ছিল, ‘তিনি পাম বিচের গ্যালাক্সি র‍্যাম্পে অবস্থান করছেন। বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। তাই আমাদের ২টা বা ৪টার মধ্যে উড্ডয়ন করতে হবে।’

১৯৯৭ সালে মার-এ-লাগোতে জেফ্রি এপস্টেইন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৯৭ সালে মার-এ-লাগোতে জেফ্রি এপস্টেইন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ সালের তিনটি পূর্বে অপ্রকাশিত ইমেল প্রকাশ করেন। সেখানে এপস্টেইন ট্রাম্পকে ‘দ্য ডগ দ্যাট হ্যাজ নট বার্কড’ বলে উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন, ট্রাম্প তাঁর বাড়িতে এক শিকারের সঙ্গে ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা’ ছিলেন ও ‘মেয়েদের ব্যাপারে জানতেন।’

এই নথি প্রকাশ আবারও ট্রাম্পের সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। কয়েক মাস ধরে চলা এই ইস্যুতে জনমনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা আবারও জেফরি এপস্টেইনের ভুয়া গল্প তুলছে, কারণ তারা সরকারের অচলাবস্থার ব্যর্থতা ঢাকতে মরিয়া।’

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, ডেমোক্র্যাটরা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাছাই করা ইমেল ফাঁস করে উদারপন্থী গণমাধ্যমে মিথ্যা গল্প ছড়াচ্ছে, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কালিমালিপ্ত করা যায়।’

তিনি আরও দাবি করেন, ইমেলে উল্লিখিত ভুক্তভোগী আসলে প্রয়াত ভার্জিনিয়া জিউফ্রে, যিনি ‘বারবার বলেছেন ট্রাম্প কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন না।’

লেভিট বলেন, ‘ট্রাম্প বহু বছর আগে এপস্টেইনকে তাঁর ক্লাব থেকে বের করে দিয়েছিলেন, কারণ সে নারী কর্মীদের, বিশেষ করে জিউফ্রের প্রতি, অনুচিত আচরণ করেছিল।’

তিনি যোগ করেন, ‘এই গল্পগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাধারণ আমেরিকান নাগরিক সহজেই বুঝতে পারেন, এটি শুধু সরকারের পুনরায় কার্যক্রম শুরু থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কৌশল।’

ট্রাম্প ও এপস্টেইনের সম্পর্ক

জেফরি এপস্টেইন ২০১৯ সালে বিচারাধীন অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। তিনি ১৯৮০ থেকে ২০০০ দশকের নিউ ইয়র্ক ও পাম বিচের প্রভাবশালী মহলে সক্রিয় ছিলেন। সে সময় তাঁর সামাজিক পরিসরে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

ফ্লাইট লগ, ছবি ও উদ্ধৃতি অনুযায়ী, ট্রাম্প ও এপস্টেইনের সম্পর্ক ২০০৪ সালের দিকে খারাপ হয়। পাম বিচের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের পর তাদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

২০২১ সালে প্রকাশিত ফ্লাইট লগ অনুযায়ী, ট্রাম্প অন্তত সাতবার এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমান ‘ললিতা এক্সপ্রেসে’ ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালের একটি যাত্রায় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন।

২০০২ সালে নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এপস্টেইনকে ‘চমৎকার মানুষ’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘সে সুন্দরী নারীদের পছন্দ করে, কিছুটা কম বয়সী।’

এপস্টেইনের ঠিকানা বইয়ে ট্রাম্পের অন্তত ১৪টি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে।

২০০৪ সালে ট্রাম্প এপস্টেইনকে তাঁর মার-এ-লাগো ক্লাব থেকে নিষিদ্ধ করেন। অভিযোগ ছিল, এপস্টেইন ক্লাবের এক সদস্যের অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিলেন।

২০১৯ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি গত ১৫ বছর ধরে এপস্টেইনের সঙ্গে কথা বলেননি এবং বলেন, ‘আমি তাঁর ভক্ত নই।’

এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর বাসভবনে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভিডিও করতেন, যাতে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ বা সুবিধা আদায় করা যায়।

নতুন প্রকাশিত ইমেইলগুলো থেকে ধারণা পাওয়া যায়, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও তিনি ট্রাম্পের চলাফেরা ও কার্যকলাপ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি হয়তো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার বা নিজের সামাজিক অবস্থান পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা ছিল।

তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট

Ad 300x250

সম্পর্কিত