গাজায় ইসরায়েলি হামলার দুই বছর
স্ট্রিম ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা থামছেই না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবনা নিয়ে যখন হামাস আলোচনা করছে, ঠিক তখনো গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের চালানো এ ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ বিশ্ব থেকে দেশটিকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে তুলছে।
তারপরও একরোখা মনোভাব নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকাংশ ইসরায়েলি চান গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক। কারণ তারা মনে করেন, গাজায় কোনো নিরপরাধ মানুষ নেই। তবে সংখ্যায় কম হলেও গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যারা ব্যাপারে প্রতিবাদও করছেন কিছু ইসরায়েলি।
সেপ্টেম্বরের এক উষ্ণতম শুক্রবার কয়েক ডজন ইসরায়েলি গাজা সীমান্তে জড়ো হন। না—কোনো যোদ্ধা বা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হয়ে লড়ার জন্য নয়। তাঁরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণকারী। তাদের দাবি, তাঁদের নাম করে ইসরায়েল গাজায় যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তার অবসান হোক।
এই অ্যাক্টিভিস্টদের অধিকাংশই ইসরায়েলি ইহুদি। কাঁটাতারের বেড়ার দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই ইহুদিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, দশক ধরে চলা ইহুদিবাদী বর্ণবাদী শাসন ব্যবস্থা অবসান এবং গণহত্যা বন্ধে তাদের দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দেশকে বিচ্ছিন্ন করা হোক।
ওই মিছিলে অংশ নেওয়া স্যাপির স্লুজকার আমরান নামের এক ইসরায়েলি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, সরকার এই যুদ্ধ বন্ধ করবে না সে ব্যাপারে আমরা খুব ভালো করে জানি। তাই যতই হাস্যকর শোনাক না কেন, আমরা বিশ্বকে আমাদের বয়কট করার আহ্বান জানাতে এখানে সমবেত হয়েছি।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) গাজা যুদ্ধ শুরুর দুই বছর হলো। স্লুজকার ইসরায়েলের এ যুদ্ধ বিরোধী মনোভাব পোষণকারী সংখ্যালুঘুদের একজন এবং তিনি সচেতনভাবে এটি করছেন।
স্লুজকার আমরান বলেন, এটা খুবই লজ্জাজনক যে আমাদের সঙ্গে আজ খুব বেশি লোকজন নেই। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের নিজেদের সমাজকে চ্যালেঞ্জ জানানো প্রয়োজন…তারা অস্বীকার করছে। আমার মনে হয় এই অস্বীকৃতি থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হলো যতক্ষণ না তারা এই ভয়াবহ সত্যের মুখোমুখি হয় যে আমরা গণহত্যা করছি—ততক্ষণ তাদের হতবাক করা।
গেল সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত সংস্থা প্রথমবারের মত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। যদিও তদন্ত সংস্থার এই ফাইন্ডিংস ইসরায়েল সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।
আর এখানেই ওই অল্প সংখ্যক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে অধিকাংশ ইসরায়েলির দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ফুটে ওঠে। বিপরীত চিত্রটা যে আরও কঠোর এবং নিষ্ঠুরও।
ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী সদেরোত শহরে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালিয়েছিল। এখনো এই শহরটিতে রকেট হামলা হয় কখনো কখনো। তবে এই সদেরোতে একটি উঁচু জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে একদল ইসরায়েলি গাজার ধ্বংসাবশেষ উপভোগ করতে জড়ো হন।
ইসরায়েলিরা অনলাইনে এটিকে ‘সদেরোত সিনেমা’ নাম দিয়েছে। এখান থেকে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ দেখা এখন জনপ্রিয় একটি বিনোদনে পরিণত হয়েছে। তারা টাওয়ার ভিউয়ারের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনে ছোড়া বোমায় ধোয়া উড়তে দেখে। কেউ কেউ পপকর্ন এবং অন্যান্য খাবার নিয়ে আসে। আবার কেউ কেউ যখন বিমান হামলার শব্দ দূর থেকে প্রতিধ্বনিত হয় তখন সেলফি তোলে।
তেমনি এক ইসরায়েলি হলেন রাফায়েল হেমো। তিনি সিএনএনকে বলেন, যখন আমি এখান থেকে গাজা দেখি এবং এখনো দেখি গাজার ভবনগুলো দাঁড়িয়ে আছে তখন তাতে আমার মন খারাপ হয়… আমি চাই গাজার সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাক।
হেমো বলেন, তিনি আর কোন আরবকে ইসরায়েলের পাশে দেখতে চান না। আর ৭ অক্টোবরের ঘটনার পরও গাজার প্রতি বিশ্বের সহানুভূতির জন্য তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের পর আমরা যা পার করে এসেছি, তাদেরও তা করতে হবে। আর গাজা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়া, ২৫০ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করে হামাস। এখন পর্যন্ত ৪৮ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছেন। ধারণা করা হয় এর মধ্যে ২০ জীবিত আছেন।
অনেক ইসরায়েলির কাছে দিনটি খুবই ভয়াবহ। অনেকে একে ইসরায়েলের ৯/১১ মনে করেন। যখনই যুদ্ধ বন্ধের কথা আসে অধিকাংশ ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, কীভাবে ওই হামলা চালানো হয়েছিল এবং জিম্মি করা হয়েছিল তা নিয়েই বেশি ভাবেন। কিন্তু গাজায় কি চলছে তা নিয়ে তারা কমই ভাবেন।
এদিকে, ইসরায়েলে বিক্ষোভও থেমে নেই। ইসরায়েলে এখন প্রতি শনিবার যেন সাপ্তাহিত এক আচারে পরিণত হয়েছে। এদিন নিয়ম করে তেলআবিবে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয় এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে, এক জরিপে দেখা গেঝে অধিকাংশ ইসরায়েলি মনে করেন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া দরকার। গেল শনিবারের বিক্ষোভেও তেমন দাবিই করা হয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা।কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় যে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তা তারা বলেন না, বা বিক্ষোভে তাদের ব্যানারে বিষয়টির উল্লেখ করেন না।
এছাড়া, গত আগস্টে জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির একোর্ড সেন্টার পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬২ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন গাজায় কোনো নিরপরাধ বা নিরীহ মানুষ নেই।
গাজা যুদ্ধ শুরুর দুই বছর পর প্রকৃতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্য বদলে গেছে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ইচ্ছানুযায়ী পুরোপুরি বদলায়নি। সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কাছাকাছি আসার পর, ইসরায়েল এখন আগের বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন থাকার চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিশ্ব থেকেই।
অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর জন্য এটি এমন এক মূল্য যা তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন এবং সঙ্গে ইসরায়েলের নাগরিকদের নিয়ে গেছেন। এবার ইসরায়েলিরা তাঁর পছন্দ মেনে নিক বা না নিক।
অ্যাক্টিভিস্টরা—যাদের অধিকাংশিই ইসরায়েলি-ইহুদি এবং ইসরায়েলি সমাজে সংখ্যালঘু, তারা বলছেন তাদের জনগণের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ। গাজা সীমান্ত বেড়ার কাছে নিজের দেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান হয়তো অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে। কিন্তু তারা যা ঘটতে দেখছে তা মোকাবিলা করা জরুরি মনে করেন তাঁরা।
এম.. নামে এক ইসরায়েলি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার মুখে চুপ থাকতে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি হিসেবে আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। এই অপরাধগুলো আমাদের নামে সংঘটিত হচ্ছে। তাই এগুলো প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা থামছেই না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবনা নিয়ে যখন হামাস আলোচনা করছে, ঠিক তখনো গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের চালানো এ ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ বিশ্ব থেকে দেশটিকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে তুলছে।
তারপরও একরোখা মনোভাব নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকাংশ ইসরায়েলি চান গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক। কারণ তারা মনে করেন, গাজায় কোনো নিরপরাধ মানুষ নেই। তবে সংখ্যায় কম হলেও গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যারা ব্যাপারে প্রতিবাদও করছেন কিছু ইসরায়েলি।
সেপ্টেম্বরের এক উষ্ণতম শুক্রবার কয়েক ডজন ইসরায়েলি গাজা সীমান্তে জড়ো হন। না—কোনো যোদ্ধা বা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হয়ে লড়ার জন্য নয়। তাঁরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণকারী। তাদের দাবি, তাঁদের নাম করে ইসরায়েল গাজায় যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তার অবসান হোক।
এই অ্যাক্টিভিস্টদের অধিকাংশই ইসরায়েলি ইহুদি। কাঁটাতারের বেড়ার দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এই ইহুদিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, দশক ধরে চলা ইহুদিবাদী বর্ণবাদী শাসন ব্যবস্থা অবসান এবং গণহত্যা বন্ধে তাদের দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দেশকে বিচ্ছিন্ন করা হোক।
ওই মিছিলে অংশ নেওয়া স্যাপির স্লুজকার আমরান নামের এক ইসরায়েলি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, সরকার এই যুদ্ধ বন্ধ করবে না সে ব্যাপারে আমরা খুব ভালো করে জানি। তাই যতই হাস্যকর শোনাক না কেন, আমরা বিশ্বকে আমাদের বয়কট করার আহ্বান জানাতে এখানে সমবেত হয়েছি।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) গাজা যুদ্ধ শুরুর দুই বছর হলো। স্লুজকার ইসরায়েলের এ যুদ্ধ বিরোধী মনোভাব পোষণকারী সংখ্যালুঘুদের একজন এবং তিনি সচেতনভাবে এটি করছেন।
স্লুজকার আমরান বলেন, এটা খুবই লজ্জাজনক যে আমাদের সঙ্গে আজ খুব বেশি লোকজন নেই। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের নিজেদের সমাজকে চ্যালেঞ্জ জানানো প্রয়োজন…তারা অস্বীকার করছে। আমার মনে হয় এই অস্বীকৃতি থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হলো যতক্ষণ না তারা এই ভয়াবহ সত্যের মুখোমুখি হয় যে আমরা গণহত্যা করছি—ততক্ষণ তাদের হতবাক করা।
গেল সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত সংস্থা প্রথমবারের মত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। যদিও তদন্ত সংস্থার এই ফাইন্ডিংস ইসরায়েল সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।
আর এখানেই ওই অল্প সংখ্যক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে অধিকাংশ ইসরায়েলির দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ফুটে ওঠে। বিপরীত চিত্রটা যে আরও কঠোর এবং নিষ্ঠুরও।
ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী সদেরোত শহরে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালিয়েছিল। এখনো এই শহরটিতে রকেট হামলা হয় কখনো কখনো। তবে এই সদেরোতে একটি উঁচু জায়গা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে একদল ইসরায়েলি গাজার ধ্বংসাবশেষ উপভোগ করতে জড়ো হন।
ইসরায়েলিরা অনলাইনে এটিকে ‘সদেরোত সিনেমা’ নাম দিয়েছে। এখান থেকে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ দেখা এখন জনপ্রিয় একটি বিনোদনে পরিণত হয়েছে। তারা টাওয়ার ভিউয়ারের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনে ছোড়া বোমায় ধোয়া উড়তে দেখে। কেউ কেউ পপকর্ন এবং অন্যান্য খাবার নিয়ে আসে। আবার কেউ কেউ যখন বিমান হামলার শব্দ দূর থেকে প্রতিধ্বনিত হয় তখন সেলফি তোলে।
তেমনি এক ইসরায়েলি হলেন রাফায়েল হেমো। তিনি সিএনএনকে বলেন, যখন আমি এখান থেকে গাজা দেখি এবং এখনো দেখি গাজার ভবনগুলো দাঁড়িয়ে আছে তখন তাতে আমার মন খারাপ হয়… আমি চাই গাজার সবকিছু মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল হামলা চালিয়ে যাক।
হেমো বলেন, তিনি আর কোন আরবকে ইসরায়েলের পাশে দেখতে চান না। আর ৭ অক্টোবরের ঘটনার পরও গাজার প্রতি বিশ্বের সহানুভূতির জন্য তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের পর আমরা যা পার করে এসেছি, তাদেরও তা করতে হবে। আর গাজা নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়া, ২৫০ জনকে অপহরণ করে জিম্মি করে হামাস। এখন পর্যন্ত ৪৮ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছেন। ধারণা করা হয় এর মধ্যে ২০ জীবিত আছেন।
অনেক ইসরায়েলির কাছে দিনটি খুবই ভয়াবহ। অনেকে একে ইসরায়েলের ৯/১১ মনে করেন। যখনই যুদ্ধ বন্ধের কথা আসে অধিকাংশ ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, কীভাবে ওই হামলা চালানো হয়েছিল এবং জিম্মি করা হয়েছিল তা নিয়েই বেশি ভাবেন। কিন্তু গাজায় কি চলছে তা নিয়ে তারা কমই ভাবেন।
এদিকে, ইসরায়েলে বিক্ষোভও থেমে নেই। ইসরায়েলে এখন প্রতি শনিবার যেন সাপ্তাহিত এক আচারে পরিণত হয়েছে। এদিন নিয়ম করে তেলআবিবে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয় এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে, এক জরিপে দেখা গেঝে অধিকাংশ ইসরায়েলি মনে করেন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া দরকার। গেল শনিবারের বিক্ষোভেও তেমন দাবিই করা হয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা।কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় যে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তা তারা বলেন না, বা বিক্ষোভে তাদের ব্যানারে বিষয়টির উল্লেখ করেন না।
এছাড়া, গত আগস্টে জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির একোর্ড সেন্টার পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬২ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন গাজায় কোনো নিরপরাধ বা নিরীহ মানুষ নেই।
গাজা যুদ্ধ শুরুর দুই বছর পর প্রকৃতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্য বদলে গেছে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ইচ্ছানুযায়ী পুরোপুরি বদলায়নি। সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কাছাকাছি আসার পর, ইসরায়েল এখন আগের বছরের পর বছর বিচ্ছিন্ন থাকার চেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিশ্ব থেকেই।
অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর জন্য এটি এমন এক মূল্য যা তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন এবং সঙ্গে ইসরায়েলের নাগরিকদের নিয়ে গেছেন। এবার ইসরায়েলিরা তাঁর পছন্দ মেনে নিক বা না নিক।
অ্যাক্টিভিস্টরা—যাদের অধিকাংশিই ইসরায়েলি-ইহুদি এবং ইসরায়েলি সমাজে সংখ্যালঘু, তারা বলছেন তাদের জনগণের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা গুরুত্বপূর্ণ। গাজা সীমান্ত বেড়ার কাছে নিজের দেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান হয়তো অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে। কিন্তু তারা যা ঘটতে দেখছে তা মোকাবিলা করা জরুরি মনে করেন তাঁরা।
এম.. নামে এক ইসরায়েলি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার মুখে চুপ থাকতে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি হিসেবে আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। এই অপরাধগুলো আমাদের নামে সংঘটিত হচ্ছে। তাই এগুলো প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য।’
অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধে মিসরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চুক্তি করতে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল পরোক্ষভাবে এই আলোচনা করছে।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের আগস্টের শেষ দিকে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার মাধ্যমে কয়েক মাস ধরে মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের করা দাবিকে স্বীকার করে নেয় জাতিসংঘ।
৪ ঘণ্টা আগেএ মাসের শুরতে গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এটি ছিল একটি বেসামরিক মানবিক মিশন, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙা। এতে প্রায় ৪৫০ জন আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী আটক হন। ইতালি, স্পেন, নিউজিল্যান্ড, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরা ফেরত গিয়ে অভিযোগ করেছেন, আটক অবস্
১৯ ঘণ্টা আগেএই বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন তিন গবেষক—মেরি ই. ব্রানকাও, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি। ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাঁরা এ সম্মানজনক পদকে ভূষিত হচ্ছেন।
২১ ঘণ্টা আগে