leadT1ad

অর্থনীতি নিয়ে স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাসের কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ২৭
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি, তাই মোটামুটি আত্মবিশ্বাসীও। তবে, এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি আগের চেয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগে হার ছিল ১১ থেকে ১৪, এখন ৮ শতাংশের কাছাকাছি। যদি ৪ শতাংশে নামাতে পারতাম, তাহলে সবাই খুশি হতো।

তিনি বলেন, আমাদের বেসটাই খারাপ ছিল। নামিয়ে আনা কঠিন ছিল, তবুও পেরেছি। এখন চ্যালেঞ্জ হলো ফুড ও নন-ফুড— দুটোই আরও কমানো। নন-ফুডের মধ্যে বাসভাড়া, জ্বালানি, বিদ্যুৎ— এসব বিষয় আছে, যেগুলো নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

আমেরিকার নতুন শুল্ক নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, শুল্ক কার্যকর হয়েছে, কিন্তু যে সিলিং দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা ইতিমধ্যে সার্বিকভাবে চার বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি।

নতুন পে-স্কেল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সেটা পরে দেখব। যাওয়ার আগে একসময় বলব।

নির্বাচনের জন্য ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বডি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে—এটা কি অপচয় নয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা পরে বুঝতে পারবেন।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, দারিদ্র্যের হার বেড়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এখন তাত্ত্বিক আলোচনায় যাচ্ছি না। তারা কীভাবে দারিদ্র্য মাপে, আমি জানি। পাঁচ হাজার লোককে ফোন করে ইন্টারভিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত দিলে সেটা খুব নির্ভরযোগ্য হয় না। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু ‘এত শতাংশ বেড়ে গেছে’—এভাবে বলা কঠিন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন— খুব কঠিন করে দারিদ্র্য মাপতে হবে না। দরিদ্র মানুষকে দেখলেই চিনতে পারবেন—তার চেহারা, আচরণেই সেটা বোঝা যায়।

বাংলাদেশ সরকার ২.২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে চীন থেকে ২০টি যুদ্ধজাহাজ কিনছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সে বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি যোগ করেন, জানলেই কি সবকিছু বলে দিতে হবে?

‘আমাদের কেন যুদ্ধজাহাজের দরকার হচ্ছে?’— এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা তাদের বিষয়। তারা মূল্যায়ন করে করছে, আমরা তার মধ্যে নেই। আমি অর্থের সংস্থানের…। এখন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না, যোগ করেন তিনি।

ওয়াশিংটন সফরে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আইএমএফের পাইপলাইনে আরও কিছু অর্থ আছে। এছাড়া এডিবি, এআইডিবি, বিশ্বব্যাংক— এগুলোও রয়েছে। মোটামুটি চলমান যেগুলোতে কমিটমেন্ট আছে, তার মধ্যে দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে। বাকিগুলো আমাদের নিয়মিত ফলোআপের অংশ। এবারে কোনো নতুন আলোচনার বিষয় নেই।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের কী পরিকল্পনা আছে— এবার তা খুব খোলাখুলিভাবে আলোচনা হবে না। নতুন সরকার আসার পর বড় সিদ্ধান্ত নেবে, আমাদের অবস্থান সেটাই।

Ad 300x250

সম্পর্কিত