স্ট্রিম প্রতিবেদক
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে সরকার। তবে কত টাকা বাড়বে এবং কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে কিছু এখনও জানানো হয়নি। এদিকে দাম বাড়তে পারে— এমন খবরে সয়াবিন তেলের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য অন্য সময়ে সরকারি সিদ্ধান্তের আগে আগে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা গেলেও এবার বাজারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত ১৮৯-১৯০ টাকাতেই। খোলা সয়াবিনের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। এছাড়া পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৯ টাকা করে লিটার।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘শুনেছি মিটিং হয়েছে। কিন্তু দাম তো বাড়েনি। সরকার দাম বাড়াইলে আমরাও বাড়াব। তারা কিছু জানায় নাই, তাই আগের দামেই বিক্রি করতেছি।’
সরকার ও ব্যবসায়ীদের মিটিংয়ের পর তেল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা জানতে চাইল তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয় নাই, তাইলে বেশি দামে কীভাবে বিক্রি করবো? তেলের গায়ে রেট লেখা থাকে। বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ নাই। নতুন রেট লেখা বোতল আসলে তখন বেশি দামে বিক্রি করবো।’
এর আগে গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা বলা হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে।
তবে বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর ভোজ্যতেলের দাম কত বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে ক্রেতারা আশঙ্কা করছিলেন, সরকার সিদ্ধান্ত জানানোরে আগেই বেড়ে যাবে সয়াবিন তেলের দাম। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম আগের মতোই আছে। কিন্তু দাম বাড়ার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক ক্রেতা।
কারওয়ান বাজারে ঘুরে কথা হয় আনোয়ার হোসেন সঙ্গে। রাজধানীর মগবাজার থেকে এসেছেন তিনি। সবজি, মাছ, মুদি বাজারসহ সয়াবিন তেলও কিনেছেন তিনি। আনোয়ার স্ট্রিমকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সরকারও নাকি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেয়েছে। এগুলো শুনতে পাচ্ছি। কত টাকা বাড়বে, তা বুঝতে পারছি না। দুইদিন পর পর এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তেছে যে, বাজারে আসা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে তেলের দাম বাড়বে খবরে আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। বেশি করে তেল কিনছেন গ্রাহকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী স্ট্রিমকে বলেন, ‘তেলের দাম আগের মতোই আছে। আগের দামেই বিক্রি করছি। কিন্তু দাম বাড়বে খবর শুনে অনেকে বেশি করে কিনছেন। যে আগে পাঁচ লিটার নিত, এখন সে দশ লিটার নিচ্ছে।’
সয়াবিনের দাম কতটা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি)। সংস্থাটির দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে সরকার। তবে কত টাকা বাড়বে এবং কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে কিছু এখনও জানানো হয়নি। এদিকে দাম বাড়তে পারে— এমন খবরে সয়াবিন তেলের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অবশ্য অন্য সময়ে সরকারি সিদ্ধান্তের আগে আগে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা গেলেও এবার বাজারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত ১৮৯-১৯০ টাকাতেই। খোলা সয়াবিনের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। এছাড়া পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৯ টাকা করে লিটার।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘শুনেছি মিটিং হয়েছে। কিন্তু দাম তো বাড়েনি। সরকার দাম বাড়াইলে আমরাও বাড়াব। তারা কিছু জানায় নাই, তাই আগের দামেই বিক্রি করতেছি।’
সরকার ও ব্যবসায়ীদের মিটিংয়ের পর তেল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা জানতে চাইল তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয় নাই, তাইলে বেশি দামে কীভাবে বিক্রি করবো? তেলের গায়ে রেট লেখা থাকে। বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ নাই। নতুন রেট লেখা বোতল আসলে তখন বেশি দামে বিক্রি করবো।’
এর আগে গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান মইনুল খান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কথা বলা হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে।
তবে বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। তারপর ভোজ্যতেলের দাম কত বাড়ানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে ক্রেতারা আশঙ্কা করছিলেন, সরকার সিদ্ধান্ত জানানোরে আগেই বেড়ে যাবে সয়াবিন তেলের দাম। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম আগের মতোই আছে। কিন্তু দাম বাড়ার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক ক্রেতা।
কারওয়ান বাজারে ঘুরে কথা হয় আনোয়ার হোসেন সঙ্গে। রাজধানীর মগবাজার থেকে এসেছেন তিনি। সবজি, মাছ, মুদি বাজারসহ সয়াবিন তেলও কিনেছেন তিনি। আনোয়ার স্ট্রিমকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সরকারও নাকি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেয়েছে। এগুলো শুনতে পাচ্ছি। কত টাকা বাড়বে, তা বুঝতে পারছি না। দুইদিন পর পর এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তেছে যে, বাজারে আসা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে তেলের দাম বাড়বে খবরে আগের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। বেশি করে তেল কিনছেন গ্রাহকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী স্ট্রিমকে বলেন, ‘তেলের দাম আগের মতোই আছে। আগের দামেই বিক্রি করছি। কিন্তু দাম বাড়বে খবর শুনে অনেকে বেশি করে কিনছেন। যে আগে পাঁচ লিটার নিত, এখন সে দশ লিটার নিচ্ছে।’
সয়াবিনের দাম কতটা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি)। সংস্থাটির দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বাংলাদেশি গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কোনো ধরনের লেনদেন না করা সত্ত্বেও গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকটির প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে ২০২২ সালে ট্রাকে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ভর্তুকি মূল্যে এই ট্রাক সেল পরিচালনা করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও চলতি মাসের ১৩ তারিখ ট্রাক সেল বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিপাকে পড়েছেন অন
১ দিন আগেরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান কার্যক্রম দেখে লজ্জা লাগে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
৩ দিন আগেবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।
৩ দিন আগে