
.png)

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভাস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মিলনায়তনের ভেতরে দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে এত রক্ত ও জীবনের বিনিময়ের পর কোনো অবস্থাতেই আর নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।

নাহিদ লিখেছেন, ‘জামায়াতের ইসলামীর তথাকথিত আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) দাবিতে শুরু করা আন্দোলন আসলে ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।’

নির্বাচন কমিশনারদের একজন একটি রাজনৈতিক দলের মতো করে কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

ইনোভিশন কনসাল্টিং-এর জরিপ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রংপুর বিভাগে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, দেশের বেশিরভাগ বিভাগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তার প্রাধান্য বজায় রেখেছে। তবে, বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।

পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

পিআর পদ্ধতিতে দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যের কাছে কখনোই মাথা নত করবে না বিএনপি।’

প্রায় অভিন্ন দাবিতে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও মাঠে নামছে সাতটি রাজনৈতিক দল। দাবি আদায়ে গণসংযোগ ছাড়াও গোলটেবিল আলোচনা, মতবিনিময়, সেমিনার আয়োজনসহ গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তারা।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার কমিশনকে বারবার আলোচনার আহ্বান জানানো হলেও কমিশন বিষয়টিকে উপেক্ষা করেছে। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কমিশনের একগুঁয়েমির কারণেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমা

ফেনীতে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে চরমোনাই পীর
দেশের মানুষ এখন প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতেই ভোট দিতে চায়। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়, আর ফ্যাসিবাদের কোনো সুযোগ থাকে না।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু আপনাদেরও কল্যাণ চাই। আপনারা মনে করেন পিআর পদ্ধতি হলে আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে যাবে? আপনারা তো বলছেন, নির্বাচনে ৯০ পার্সেন্ট ভোট পাবেন। তাহলে আশঙ্কার তো কোনো কারণ নাই। ৬০ পার্সেন্ট ভোট পাইলেও তো আপনারা এককভাবে ক্ষমতায় যাবেন। তাহলে এত ভয় কিসের।’

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে পিআর পদ্ধতি আলোচনায় রয়েছে। একাধিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছে। তবে পিআর পদ্ধতির প্রয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে।

নির্বাচন না হলে জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করবে কীভাবে। আর প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে সে পার্লামেন্টে যাবে কী করে। আর পার্লামেন্টে না গেলে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কোত্থেকে। কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে কি দেশ চালানো যায়? যায় না।