leadT1ad

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের কোনো সুবিধা নেই: আবদুল মঈন খান

ইউএনবি
ইউএনবি
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ০৩
‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনার। ছবি: ইউএনবি

পিআর পদ্ধতিতে দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট পাব, এর বাইরে কিছু নেই। এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হব, অধিক সিট পাব সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি, সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব, এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি (স্ববিরোধী)।’

মঈন খান আরও বলেন, ‘দেখুন, পিআর করার অর্থটা কী? পিআর হচ্ছে আপনি ব্যক্তির যে অবস্থান, সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে দিচ্ছেন অর্থাৎ মানুষ ভোট দেবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘তাহলে কী হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা যে, জনগণ তাদের প্রতিনিধি থাকবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে, সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে, তখনই জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে বলেও দাবি করেছেন আবদুল মঈন খান।

কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

Ad 300x250

সম্পর্কিত