পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক অবস্থা গঠনের সময় ইন্ডিয়ান প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষ হয়। কয়েক কোটি বছর আগের ওই ঘটনায় বর্তমান হিমালয় পর্বতশ্রেণির সৃষ্টি। ওই সময়ই সিলেটের জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পূর্ব তীরে বিশাল আকারের পাথররাজি মাটির ওপরে উঠে আসে।
সিলেটের সাদা-পাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটের আলোচনার মধ্যেই বদল হচ্ছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। সেখানে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভেজালবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন উদ্যোগে আলোচিত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম।
সাদা পাথর লুট
সিলেট বিভাগের পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা দেওয়ার পক্ষে ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা–উন–নবী। গত ২৯ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারির ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত এক সভায় এ মতামত দেন তিনি।
সিলেটে সাদা-পাথর লুটপাট
রাস্তার দুই পাশে বেশ কিছু ক্র্যাশার মিল (পাথর ভাঙার কারখানা)। এর সামনে উন্মুক্ত স্তূপ আকারে রাখা আমদানি করা পাথর। তবে মিলের পেছনে থাকা পাথরগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে বালু ও মাটি দিয়ে। একটু মাটি আলগা করলেই বেরিয়ে আসছে পাথরের মজুদ।
সিলেটের সাদাপাথরে লুটপাট
একই সময়ে বালু-পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় পাথর বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকা ভাঙচুর ও উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
সিলেটে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম গন্তব্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ‘সাদাপাথর’ এলাকা। ধলাই নদীর উৎসমুখে ভারত থেকে নেমে আসা পাথররাজির স্তূপ থেকে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পর্যটনকেন্দ্রটিতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটকের পদচারণা ঘটে। সম্প্রতি সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট শুরু হয়েছে।