সিলেটের সাদাপাথরে লুটপাট
দুদক সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাথর লুটের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন এই লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, প্রশাসন কেন নিরব ছিল, প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কী না এবং লুট করা পাথর কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সিলেটের ‘সাদাপাথর’ পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় ব্যাপক পাথর লুটপাটের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ছাড়াও প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কী না খতিয়ে দেখবে তারা। এ ছাড়া জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবস্থিত ওই এলাকা পরির্দশন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের একটি প্রতিনিধি দল।
এদিকে সাদাপাথরসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো রক্ষার দাবিতে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে শহরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া একই সময়ে বালু-পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় পাথর বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকা ভাঙচুর ও উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
পাথর লুটপাটের ঘটনাটি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, সাদাপাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে–এসব তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান হিসেবে থাকবেন একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। আগামী রবিবারের (১৭ আগস্ট) ভেতর তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। এতে উঠে আসবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিভিন্ন সুপারিশমালা।
জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সিলেটের সাদাপাথরে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। আমাদের ব্যাকআপ যেগুলো রয়েছে, যেমন–ক্রাশার মিল অপসারণ, বিদুৎ বিচ্ছিন্নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কার্যক্রমের বিষয়ে দেখা গেছে, এক জায়গায় কিছুটা বিচ্যুতি ঘটলেও অন্য জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’
এদিকে বুধবার দুপুরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল সাদাপাথর এলাকা পরির্দশনে যায়। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন, জনসাধারণের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে এমন লুটপাট হতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণও তাঁরা অনুসন্ধান করছে।
দুদক সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাথর লুটের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন এই লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, প্রশাসন কেন নিরব ছিল, প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কী না এবং লুট করা পাথর কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া যাবে বিধিমোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই প্রকাশ্যে লুটে নেওয়া হয় সাদাপাথরের পাথর। গত ১৫ দিনেই একেবারে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে সাদাপাথর কেন্দ্রটি। এই সময়ে শত কোটি টাকার পাথর ও নদী তীরের লুটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাদাপাথরসহ জেল সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো রক্ষার দাবিতে বুধবার বিকেলে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাপা’র জেলা শাখা। সংগঠনের জেলা সভাপতি জামিল আহমেদ চৌধুরী সভাপতিত্বে শুরুতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সাধারণ সম্পাদক কাসমির রেজা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সিলেটের সাদাপাথর ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবাধে এবং পরিকল্পিতভাবে এসব পর্যটন স্পট থেকে শত শত কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট করে নিয়ে গেছে। এখন যদি পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে অন্যান্য স্পটগুলোর একই পরিণতি হতে পারে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপা সিলেটের সহসভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ সমিতি সিলেটের সভাপতি মোজাক্কির হোসেন কামালী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাদাত চৌধুরী, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকি, ফয়জুর রহমান ফয়েজসহ অন্যরা।
সিলেটের ‘সাদাপাথর’ পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় ব্যাপক পাথর লুটপাটের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা ছাড়াও প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কী না খতিয়ে দেখবে তারা। এ ছাড়া জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবস্থিত ওই এলাকা পরির্দশন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের একটি প্রতিনিধি দল।
এদিকে সাদাপাথরসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো রক্ষার দাবিতে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে শহরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া একই সময়ে বালু-পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় পাথর বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকা ভাঙচুর ও উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
পাথর লুটপাটের ঘটনাটি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, সাদাপাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে–এসব তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান হিসেবে থাকবেন একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। আগামী রবিবারের (১৭ আগস্ট) ভেতর তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। এতে উঠে আসবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিভিন্ন সুপারিশমালা।
জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সিলেটের সাদাপাথরে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়। আমাদের ব্যাকআপ যেগুলো রয়েছে, যেমন–ক্রাশার মিল অপসারণ, বিদুৎ বিচ্ছিন্নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কার্যক্রমের বিষয়ে দেখা গেছে, এক জায়গায় কিছুটা বিচ্যুতি ঘটলেও অন্য জায়গায় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’
এদিকে বুধবার দুপুরে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল সাদাপাথর এলাকা পরির্দশনে যায়। সেখানে স্থানীয় প্রশাসন, জনসাধারণের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে এমন লুটপাট হতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণও তাঁরা অনুসন্ধান করছে।
দুদক সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাথর লুটের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন এই লুটের সঙ্গে কারা জড়িত, প্রশাসন কেন নিরব ছিল, প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কী না এবং লুট করা পাথর কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া যাবে বিধিমোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই প্রকাশ্যে লুটে নেওয়া হয় সাদাপাথরের পাথর। গত ১৫ দিনেই একেবারে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে সাদাপাথর কেন্দ্রটি। এই সময়ে শত কোটি টাকার পাথর ও নদী তীরের লুটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সাদাপাথরসহ জেল সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো রক্ষার দাবিতে বুধবার বিকেলে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাপা’র জেলা শাখা। সংগঠনের জেলা সভাপতি জামিল আহমেদ চৌধুরী সভাপতিত্বে শুরুতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সাধারণ সম্পাদক কাসমির রেজা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সিলেটের সাদাপাথর ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থান থেকে অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। মাত্র কয়েক মাসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবাধে এবং পরিকল্পিতভাবে এসব পর্যটন স্পট থেকে শত শত কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট করে নিয়ে গেছে। এখন যদি পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে অন্যান্য স্পটগুলোর একই পরিণতি হতে পারে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপা সিলেটের সহসভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জ সমিতি সিলেটের সভাপতি মোজাক্কির হোসেন কামালী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাদাত চৌধুরী, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকি, ফয়জুর রহমান ফয়েজসহ অন্যরা।
আাইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার হবে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই।’
৯ মিনিট আগেস্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘মেয়ে বাড়িতে এসে আমাদের ঘটনার কথা জানায়। মামলা করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’
১৯ মিনিট আগেএকটি কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে মতামত গ্রহণের জন্য অনলাইনে জরিপ করছে জাতীয় বেতন কমিশন। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে ১৫ অক্টোবর প্রশ্নমালা কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত থাকবে।
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার পর প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে