.png)

ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ধর্মীয় বক্তা এবং বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতা এখন বাংলাদেশে। তাঁরা এসেছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশে যোগ দিতে। এমন সময়ে তাঁদের আগমন ঘটেছে, যখন বাংলাদেশের রাজনীতি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতির মাঠে প্রভা

সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় সরকার পরিবর্তন বা পতনের মূল কারণ ছিল ‘অদক্ষ ও দুর্বল শাসনব্যবস্থা’। গত শুক্রবার ভারতে পালিত ‘জাতীয় একতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সরদার প্যাটেল স্মারক বক্তৃতায় দোভাল এ কথা বলেন।

তরুণেরা কোনো নির্দিষ্ট নেতা বা দলের বিরুদ্ধে লড়ছে না; তারা লড়ছে একটি পচে যাওয়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। যে ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, প্রতিষ্ঠান ও নীতি—সবকিছুই সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে একটি ক্ষুদ্র সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জেনজি বিপ্লব ঘটে। সারা দেশে প্রশ্ন উঠেছিল—‘তাদের নেতা কে?’ কিন্তু আসল প্রশ্ন ছিল ভিন্ন। অতীতে কোনো বিপ্লব শত্রুর কারণে ধ্বংস হয়নি। ধ্বংস হয়েছে সেইসব নেতাদের কারণে যারা বিপ্লবের নামে ক্ষমতা দখল করেছিল। এবার কোনো নেতা না থাকাটাই ছিল সবচেয়ে বড়

নেপালে জেনজি বিপ্লবের তরুণ নেতার সাক্ষাৎকার
সম্প্রতি গণ-অভ্যুত্থানে নেপাল সরকারের পতন হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিল তরুণেরা। তারা নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে সুদান গুরুংকে। নেপালি জনগণের কাছে তাঁর কণ্ঠস্বর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে পুলিশকে গুলি করার কোনো নির্দেশ দেয়নি সরকার। আবার গুলিগুলো করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে, যা পুলিশের কাছে নেই। তাই বিক্ষোভে কারা গুলি করেছে তার তদন্ত চেয়েছেন দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।

দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণদের নেতৃত্বে একের পর এক আন্দোলন দেখা যাচ্ছে। এসব আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে— বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই অঞ্চল কি জেনারেশন জেড তথা জেন জি (১৯৯৭–২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) বিপ্লবের কেন্দ্র হয়ে উঠছে?

জেন-জি প্রজন্মের পছন্দ হিসেবেই সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিনি শপথ নেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মাথায় তার পদত্যাগের দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটিতে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপাতি সুশিলা কার্কি-কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বিতর্কের সময় বিক্ষোভের নেতাদের কঠিন কঠিন প্রশ্ন করা হয় এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে রিয়েল টাইমে যোগাযোগও করা হয়।

তাহলে ভারতের কী করণীয়? প্রমাণভিত্তিক কূটনীতি, সহযোগিতার হাত বাড়ানো এবং সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তোলা। অযাচিত হস্তক্ষেপের পরিবর্তে বিশ্বাসযোগ্য সহযোগিতা তৈরি করাই হবে নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখার একমাত্র পথ।

জেন-জি বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিল নেপাল। তবে সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।

অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান। এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতি

নেপালের চলমান পরিস্থিতি চীন, ভারত ও পাকিস্তান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর কারণ, নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ইতিহাসে বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা।

কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর নেপালের বিক্ষুব্ধ তরুণরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাবেক বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে।