জাতিসংঘের প্রতিবেদন

.png)

দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে এক চরম ভূ-রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আঞ্চলিক সংঘাতের তীব্রতা আর প্রতিটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা মিলিতভাবে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনকি এই অস্থিরতার ঢেউ বাংলাদেশের স্থিতিশীলতায় আঘাত হানার ঝুঁকি তৈরি করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় কি ‘চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ অক্ষ’ গড়ে উঠছে?
শেখ হাসিনার পতনের পর মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দাবি করে, তারা একটি বাস্তববাদী ও ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে। এতে বাংলাদেশ নতুন এক পররাষ্ট্রনীতি পুনর্গঠনের পথে এগোচ্ছে।

বাংলাদেশে নিঃশব্দে পুনর্নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্য। তুরস্কের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা পেতে যাচ্ছে তুরস্কের তৈরি দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এসআইপিইআর)। পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে যৌথভাবে তুর্কি যুদ্ধ ড্রোন তৈরিরও।

আবারও যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনায় কাঁপছে দক্ষিণ এশিয়া! আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজকের চলতি হাওয়ায় জানবো পাক–আফগান দ্বন্দ্বের ইতিহাস আর বর্তমান বাস্তবতার আদ্যোপান্ত।

দক্ষিণ এশিয়ায়— বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল হঠাৎ করে জন্ম নেয়নি। এর পেছনে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্মীয় মিশ্রণ, ঔপনিবেশিক শাসকদের কৌশল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন এবং উপনিবেশ-পরবর্তী আত্মপরিচয়ের সংকট।

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রম আবারও বাগরাম বিমানঘাঁটিকে বিশ্ব রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় তরুণদের নেতৃত্বে একের পর এক আন্দোলন দেখা যাচ্ছে। এসব আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত সরকারকেও ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে— বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই অঞ্চল কি জেনারেশন জেড তথা জেন জি (১৯৯৭–২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) বিপ্লবের কেন্দ্র হয়ে উঠছে?

নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান। এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতি
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ‘মিনিল্যাটারালিজম’ বা ক্ষুদ্র জোটভিত্তিক সহযোগিতা তুলনামূলকভাবে নতুন এক ধারণা। বিশ্বব্যপী এখন কূটনৈতিক পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এই বদলের সঙ্গে সঙ্গে অনেক দেশ এখন কঠোর সামরিক জোটে না গিয়ে বরং সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে নির্দিষ্ট ইস্যুতে একত্রিত হচ্ছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, হিন্দুকুশ হিমালয় (এইচকেএইচ) উদ্যোগ সফল করতে হলে ভারত ও চীনকে ‘সরাসরি ও চোখে চোখ রেখে’ দেখতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন থেকে বঞ্চিত। তাই হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য আগামী বছরের নির্বাচন হবে বড় পরীক্ষা।’