
.png)

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার মূল অর্থনৈতিক উৎস—জ্বালানি আয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি, তাই মোটামুটি আত্মবিশ্বাসীও। তবে, এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত মার্কিন শুল্ক আরও হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতিতে নিজের বলয়ভুক্ত দেশগুলোকে একপ্রকার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রদানকারীর ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নীতির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেই নিরাপত্তা পুরোপুরি তুলে নিয়েছে।

বাণিজ্য শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আদালতে দেওয়া রায় বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা অধিকাংশ শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত। শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট (আইইইপিএ) আইনের অপব্যবহার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক নিয়ে সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্যারিফ আলোচনায় ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করাকে অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের পড়তে শুরু করেছে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) যুক্তরাষ্ট্রে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১১১ কোটি ডলার কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ বা তারও কম করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেন ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার? বাংলাদেশের বাণিজ্যে কেমন হতে পারে এর প্রভাব?

ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশ। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবেই পরিচিত।

প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব বেশি মধুর নয়। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। তবে গত মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যারা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাশিয়া থেকে তেল কিনে পুতিনকে অর্থায়ন করবে, তাদের ওপরও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের আমদানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। যা চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।

ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ভাষায়, দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিষ্ঠানের শক্তি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিশ্বাসের মাত্রার ওপর অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করে।

দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসেই পুরোনো কৌশলে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ককে হাতিয়ার বানিয়ে শুরু করেছেন নতুন এক বাণিজ্যযুদ্ধ। তাঁর চোখে এটি শুধু অর্থনৈতিক নীতি নয়, বরং বহুমুখী লক্ষ্য অর্জনের কৌশল।