জেন-জি প্রজন্মের পছন্দ হিসেবেই সুশীলা কার্কি নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিনি শপথ নেন। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মাথায় তার পদত্যাগের দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটিতে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপাতি সুশিলা কার্কি-কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বিতর্কের সময় বিক্ষোভের নেতাদের কঠিন কঠিন প্রশ্ন করা হয় এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীদের সঙ্গে রিয়েল টাইমে যোগাযোগও করা হয়।
তাহলে ভারতের কী করণীয়? প্রমাণভিত্তিক কূটনীতি, সহযোগিতার হাত বাড়ানো এবং সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে তোলা। অযাচিত হস্তক্ষেপের পরিবর্তে বিশ্বাসযোগ্য সহযোগিতা তৈরি করাই হবে নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখার একমাত্র পথ।
জেন-জি বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছিল নেপাল। তবে সংকট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
অধ্যাপক ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শীতল নিবাসে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল তাকে শপথ পাঠ করান। এসময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতি
নেপালের চলমান পরিস্থিতি চীন, ভারত ও পাকিস্তান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর কারণ, নেপালের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ইতিহাসে বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা।
কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর নেপালের বিক্ষুব্ধ তরুণরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাবেক বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে।
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক বিচারপতি সুশিলা কারকি নিয়োগ পাচ্ছেন। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরকারপ্রধান হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা সংসদে হামলা চালায়, বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করা হয়। কাঠমান্ডুর এই দৃশ্য অনেককেই গত বছর বাংলাদেশে এবং ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার অস্থির পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলসহ ৫৮ জন দেশে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে বাংলাদেশি একটি পরিবার হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বাংলাদেশি এক তরুণী ও তার সঙ্গীও হামলার শিকার হয়েছেন।
জেন-জি বিক্ষোভের জেরে কাঠমান্ডুতে আটকা পড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশে ফিরছে। আজ আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কারকিকে সমর্থন জানিয়েছেন রাজধানী কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ।
অবশেষে জানা গেল নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করা কে পি শর্মা অলির অবস্থান। জেন-জিদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে অলি জানিয়েছেন, তিনি এখন কাঠমান্ডু উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত শিবপুরীতে সামরিক নিরাপত্তায় আছেন।
বিক্ষোভের তিন দিনের মাথায় ‘আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে’ বলে অভিযোগ তুলেছেন নেপালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া জেনজি প্রজন্ম। তাদের ভাষ্য, ‘সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীরা’ এই আন্দোলন ছিনতাই করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে।