গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়ার শব্দ, বাক্য গঠন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা ২০ আগস্ট বিকেল ৪ টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান স্ট্রিমকে জানিয়েছেন, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সালেহ ফুয়াদ।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম: জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে জামায়াতের প্রতিক্রিয়া কী?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: জুলাই সনদ নিয়ে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। জুলাই সনদের ঘোষণা ও এর আইনি ভিত্তি নিয়ে রোববার জামায়াতের জাতীয় সেমিনার রয়েছে। সেখান থেকে আরও সমন্বিত ও স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। আপনিও আসেন।
স্ট্রিম: জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি কেন চাইছেন?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়নের জন্য যে ত্যাগ এবং কুরবানি আমাদের ছাত্র-শিক্ষক-জনতা-শ্রমিক সকলে মিলে করেছি, তা রেকর্ডে থাকা দরকার। সংবিধানে যদি এগুলোর ভিত্তি না হয় পরবর্তী পর্যায়ে যেকোনো প্রতিকূল সরকার এটাকে নাও রাখতে পারে। তাই এর ভিত্তিটা যেন মজবুত থাকে, কেউ যেন এটিকে নষ্ট বা অস্বীকার করতে না পারে, এ জন্য এখনই আমরা সাংবিধানিক ভিত্তি চাই।
জুলাই সনদ কোনো ব্যক্তির প্রপার্টি না। চব্বিশে যে আন্দোলন হয়েছে এর ভিত্তি মজবুত না করলে পরবর্তী পর্যায়ে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা যে সেটা রাখবে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
স্ট্রিম: মজবুত ভিত্তি বলতে কী বুঝাতে চাইছেন?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: মজবুত ভিত্তি বলতে জামায়াত জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে সবার ঐকমত্য হওয়া বুঝায়। এ ব্যাপারে সবার এগ্রিমেন্টটা হয়ে যাওয়া দরকার। সবাই স্বাক্ষর করবে। বর্তমান যে উপদেষ্টাদের সরকার রয়েছে, এই কাজটা তাদেরই করতে হবে। কারণ এঁরা তো এই আন্দোলনের ফসল। এটা না হলে এঁদেরও তো অস্তিত্ব পরবর্তীতে থাকবে না। সেজন্য আমরা বলেছি, এটা এখনই হতে হবে। পরবর্তী সরকারের অধীনে রাখা যাবে না। সে যেই সরকারই হোক না কেন।
স্ট্রিম: এই কাজের এখতিয়ার কি বর্তমান সরকারের রয়েছে?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: কোনো কোনো দল অনেক কিছুই হোক তা চায় না। আমরা বলেছি, অপরাধীদের বিচার করতে হবে। বিচারের ব্যাপারে তাদের অবস্থান বোঝা যায় না। আমরা বলেছি, সংস্কার করতে হবে। তারাও বলছে করতে হবে, কিন্তু ভাষাটা স্পষ্ট না। আমরা মনে করি, বিচার, সংস্কার ও পিআর পদ্ধতি না হলে আগামী নির্বাচনটাও সুস্থ হবে না। কারণ যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই অনেক কিছু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এগুলা বন্ধ করার পথই হচ্ছে পিআর সিস্টেম।
পিআর পদ্ধতি হলে রাজনৈতিক দলের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। বাণিজ্য হয় বলেই পরবর্তীতে ব্যয় করা টাকা উঠিয়ে নিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদি করে মানুষের ওপর জুলুম করে। এভাবেই তারা টাকা উদ্ধার করে। তারা বলে, আমরা যেভাবে ক্ষমতায় আসছি, টাকা-পয়সা খরচ করে সেটা ওঠাইতে হবে। অতীতের দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি। এ জন্য আমরা মনে করছি, পিআর সিস্টেমই একমাত্র সিস্টেম যা দিয়ে সন্ত্রাস, কালো টাকা, চাঁদাবাজি ঠেকানো যেতে পারে।
স্ট্রিম: পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য নতুন ধারণা। জনগণ এটি চাইছে কীনা তা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: এটি যাচাই করার জন্য সরকার গণভোট দিতে পারে। পত্রপত্রিকায় অনেকে পিআরের পক্ষে মতামত দিয়েছেন, আপনি পত্রিকা পড়েননি? তাই জনগণ চাইছে কীনা এই প্রশ্নই আসে না।
স্ট্রিম: জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে জামায়াতের প্রতিক্রিয়া কী?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: জুলাই সনদ নিয়ে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে। জুলাই সনদের ঘোষণা ও এর আইনি ভিত্তি নিয়ে রোববার জামায়াতের জাতীয় সেমিনার রয়েছে। সেখান থেকে আরও সমন্বিত ও স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। আপনিও আসেন।
স্ট্রিম: জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি কেন চাইছেন?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়নের জন্য যে ত্যাগ এবং কুরবানি আমাদের ছাত্র-শিক্ষক-জনতা-শ্রমিক সকলে মিলে করেছি, তা রেকর্ডে থাকা দরকার। সংবিধানে যদি এগুলোর ভিত্তি না হয় পরবর্তী পর্যায়ে যেকোনো প্রতিকূল সরকার এটাকে নাও রাখতে পারে। তাই এর ভিত্তিটা যেন মজবুত থাকে, কেউ যেন এটিকে নষ্ট বা অস্বীকার করতে না পারে, এ জন্য এখনই আমরা সাংবিধানিক ভিত্তি চাই।
জুলাই সনদ কোনো ব্যক্তির প্রপার্টি না। চব্বিশে যে আন্দোলন হয়েছে এর ভিত্তি মজবুত না করলে পরবর্তী পর্যায়ে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা যে সেটা রাখবে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
স্ট্রিম: মজবুত ভিত্তি বলতে কী বুঝাতে চাইছেন?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: মজবুত ভিত্তি বলতে জামায়াত জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারে সবার ঐকমত্য হওয়া বুঝায়। এ ব্যাপারে সবার এগ্রিমেন্টটা হয়ে যাওয়া দরকার। সবাই স্বাক্ষর করবে। বর্তমান যে উপদেষ্টাদের সরকার রয়েছে, এই কাজটা তাদেরই করতে হবে। কারণ এঁরা তো এই আন্দোলনের ফসল। এটা না হলে এঁদেরও তো অস্তিত্ব পরবর্তীতে থাকবে না। সেজন্য আমরা বলেছি, এটা এখনই হতে হবে। পরবর্তী সরকারের অধীনে রাখা যাবে না। সে যেই সরকারই হোক না কেন।
স্ট্রিম: এই কাজের এখতিয়ার কি বর্তমান সরকারের রয়েছে?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: কোনো কোনো দল অনেক কিছুই হোক তা চায় না। আমরা বলেছি, অপরাধীদের বিচার করতে হবে। বিচারের ব্যাপারে তাদের অবস্থান বোঝা যায় না। আমরা বলেছি, সংস্কার করতে হবে। তারাও বলছে করতে হবে, কিন্তু ভাষাটা স্পষ্ট না। আমরা মনে করি, বিচার, সংস্কার ও পিআর পদ্ধতি না হলে আগামী নির্বাচনটাও সুস্থ হবে না। কারণ যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই অনেক কিছু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এগুলা বন্ধ করার পথই হচ্ছে পিআর সিস্টেম।
পিআর পদ্ধতি হলে রাজনৈতিক দলের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। বাণিজ্য হয় বলেই পরবর্তীতে ব্যয় করা টাকা উঠিয়ে নিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদি করে মানুষের ওপর জুলুম করে। এভাবেই তারা টাকা উদ্ধার করে। তারা বলে, আমরা যেভাবে ক্ষমতায় আসছি, টাকা-পয়সা খরচ করে সেটা ওঠাইতে হবে। অতীতের দৃষ্টান্ত আমরা দেখেছি। এ জন্য আমরা মনে করছি, পিআর সিস্টেমই একমাত্র সিস্টেম যা দিয়ে সন্ত্রাস, কালো টাকা, চাঁদাবাজি ঠেকানো যেতে পারে।
স্ট্রিম: পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য নতুন ধারণা। জনগণ এটি চাইছে কীনা তা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: এটি যাচাই করার জন্য সরকার গণভোট দিতে পারে। পত্রপত্রিকায় অনেকে পিআরের পক্ষে মতামত দিয়েছেন, আপনি পত্রিকা পড়েননি? তাই জনগণ চাইছে কীনা এই প্রশ্নই আসে না।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হয়তো আপনাদের সবার আদর্শিক অবস্থান বা পলিটিক্যাল আইডিওলজি এক নাও হতে পারে। এটি কোনও সমস্যার বিষয় না। এটিকে কেউ সমস্যার বিষয় হিসেবে দেখবেন না। তবে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবিচল আস্থা প্রকাশের জায়গায় আমরা সবাই এক।’
১ ঘণ্টা আগেগত পাঁচ আগস্ট দলকে না জানিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতা। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনে তাঁদের সফরের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ে এনসিপি। নোটিশের জবাবে দলীয় শৃঙ্খলার ব্যত্যয় না ঘটায় তাদের দেওয়া শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, তিনি লন্ডনে গিয়ে সিজদা করে ওহী পেয়েছেন যে— নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে হবে। এটি ঠিক হয়নি। তাঁকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই— কেবলা বাংলাদেশের জনগণের দিকে করতে হবে। কারণ তারাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের একটি বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজ দলের অনেক নেতা-কর্মীর সমালোচনার মুখেও পড়েছেন তিনি।
১ দিন আগে